কেস স্টাডি ১ঃ মিনা ঘরের বড় মেয়ে। পিতা পেশায় কৃষক। এক ভাই মধ্যপ্রাচ্যে থাকায় আর্থিক অবস্থা নিম্ন-মধ্যবিত্ত থেকে উত্তরণের পথে। ঘরে আছে আরও ছোট দুই বোন। আর্থিক টানাটানির মধ্যে বসবাস হলেও পরিবারটি শিক্ষানুরাগী । বড় ভাই উচ্চমাধ্যমিক পাশ। মিনাও মাধ্যমিকে প্রথমবার খারাপ করলেও পরেরবার প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। এরপর উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পার হয়ে ডিগ্রী পরীক্ষায়ও রেকর্ড সংখ্যক নাম্বার নিয়ে পুরো থানায় শীর্
[center]ভালোবাসি এই দুরন্ত দুপুর গনগনে রোদে
ছোঁয়াছোঁয়ি করা পাশাপাশি বসে
একসাথে বাড়ি ফেরা,
আবোলতাবোল বকে যেতে যেতে
হাতপাগুলো এলোমেলো ছুড়ে
এদিক সেদিক অযথাই চেয়ে
একটুখানি ছুঁয়ে দিতে ভীষণ লাগে।
ভরদুপুরে ক্লাসের শেষে
তোমার জন্য অপেক্ষাতে
বসে থাকা ও লাগে ভালো,
বিকেল শেষে তুমি এলে
টিএসসি কিংবা পুরান ঢাকায়
চটপটির ওই সেই দোকানে
খেতে খেতে ঝালের চোটে
চোখের কোণে পানি আসা ও ভীষণ লাগে।
বাসে ঝুলে ঝুলে মহাখালি পার হবার সময় একদিন হঠাৎ একটা দোকানের নাম পরে অনেক ভালো লাগলো - সিল্ভার রেইন। ভেবে দেখলাম বর্ষার সময় আসলেই পৃথিবী অনেকটা রুপলি হয়ে যায়। পৃথিবীতে রুপলি জিনিস কি কি আছে ভাবতে ভাবতে কিছু সাদাকালো ছবির চিন্তা মাথায় এসেছিল।
স্বপ্ন তো ছিল স্বপ্ন না দেখার………….
প্রথম বিকেলে, তোমার কাঠলিচু চোখ
হঠাৎ ধসে পড়ল আমার চোখে
আর স্বপ্নরাও খসে পড়তে থাকল
অবরিাম নৃত্যপটু পাখিদের ডানা থেকে
ক্রমাগত প্রণয়সিক্ত ফুলের সুরভি থেকে
এমনকি কোমর বাঁকিয়ে তারা এল
দুবেলা রান্না করা আটপৌরে গিন্নীদের চোখ থেকেও।
স্বপ্নরা রক্তাক্ত হরিণের ক্ষুর
শিশির ফোটার মতো হাওয়ায়ও মিলিয়ে গেল খুব
নীল নেই, ধূসর মেঘে আকাশ ছেয়ে
আছে বরোষার আগমনী পাখায়
চেপে ভাসিয়ে দিচ্ছে স্মৃতি-
স্মৃতিতে বর্ষণমুখর সন্ধ্যা অপেক্ষায়
ঢিসক্লেইমার: এই লেখাটা আমার উর্বর মস্তিষ্কের সাময়িক উত্তেজনা এবং কিছু দীর্ঘমেয়াদী উত্তেজনা হ্রাস করার উদ্দেশ্যে নামানো হয়েছে। কাজেই ইহার কোন তথ্যসূত্র চাইলে নিজ দায়িত্বে খুঁজিয়া লইতে হইবেক -- আমার মনে হয়, এর সূত্রগুচ্ছগুলোর কিছু অংশ আমার তথাকথিত উর্বর মস্তিষ্কে জটা পাকাইয়া রহিয়াছে।
---
যদি বলা হয় কী কাজ কর? তাহলে আমার মেয়ে হয়তো বলবে "কুকুল দেখি' -- আসলেই সে ইউটিউবে চালিয়ে রাখা কুকুরের ঘেউ ঘেউ দেখছে। কিন্তু আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমার প্রতিষ্ঠান আর পদবী বলবো হয়তো। অর্থাৎ কাজ বলতে আমি চাকুরী বাকুরীকেই বুঝিয়ে থাকি -- এই কাজের বিনিময়ে আমি বেতন পাই। এই লেখার পয়েন্ট অব ভিউ হল, যেই কাজ কোন না কোন ভাবে সমাজে অবদান রাখে। ... ... নাহ্ ঠিক মনমত হল না ... ... আরেকবার একটু গুছিয়ে শুরু করার চেষ্টা করি:
আমার দিদিমণি-কোনো অসাধারণ নারী হয়তো নন, কিন্তু এই সাধারণ নারীটি তার অভিজ্ঞতার ঝুলি দিয়ে অন্তত একটি জীবনকে ঋদ্ধ করেছেন। আমি তার কাছে ঋণী। সাতচল্লিশের দেশবিভাগে বাংলাদেশের যেই বাড়িটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই বাড়ির সেই ভয়ালরাতের নির্মমতার প্রত্যক্ষদর্শী, মুক্তিসংগ্রামের অস্থির সেই দিনের সাক্ষী এই নারী গত ১৫ই জুন,২০১১ সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। এ কবিতায় তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।
[justify]
সকালবেলা অফিসে যাওয়ার সময় বিলবোর্ডটা চোখে পড়ে। বাসা থেকে দুই কদম দূরেই। সকালের নরম আলোও শব্দগুলোর কাঠিন্য কমাতে পারে না। আবার বিকেলে অফিস থেকে বের হয়ে রাস্তায় উঠলেও সেই একই বিলবোর্ডটাই দেখি। এই খোদ মার্কিন দেশে আমার প্রতিদিনের আসা এবং যাওয়ার রাস্তার দুদিকেই মাত্র কয়েক মাইল ব্যবধানে লাস্যময়ী নারীর বদলে আছে ক্ষুধার বিজ্ঞাপন।
বৃষ্টি ঝরাতে হলে হাত উল্টো করে প্রার্থনা করতে হয় কিংবা মেঘমল্লার গাওয়া তানসেন হতে হয় কিংবা কাদাকুদো মেখে ব্যাঙের বিয়ে দিতে হয় কিংবা মেঘ দে পানি দে বলে আব্বাসউদ্দিনের মতো জিকির করতে হয় কিংবা নিদেনপক্ষে স্বচ্ছ শাড়িপরা সিনেমার নায়িকা নাচাতে হয়...