মিশকালো সিরিঙ্গে চেহারার কালীমোহন বুড়োকে দেখলেই আমার মেছো ভুতের কথা মনে হত। তখন সদ্য সদ্য নিজেই বানান করে গল্পের বই পড়তে শিখে গেছি। ছবিওলা বাংলার ভূতের গল্প মুখস্ত প্রায়। কালী বুড়ো আমাদের জমি দেখা শোনা করার প্রাচীন কামলা। ময়লাটে হেটো ধূতি আর হাতে একটা নারকেলি হুঁকো - এইই হল তার সারাবছরের ভূষণ। খুব শীতে বড়জোর একটা মার্কিন কাপড়ের টুকরো চাদরের মত গায়ের ওপর ফেলে রাখত । গ্রামের মাটির বাড়িটার
১.
শুকিয়ে যাওয়া ডোবার ধারে
একটি শামুক
রোদে পুড়ে হয়ে উঠে
বৃষ্টি-কামুক
এই উপকথা পর্তুগালের। কিন্তু কেমন করে যেন আমাদের ঘরের, মাঠের, ঘাটের চেনা গল্পের সাথে মিলে যায়। আদিপুস্তকের জোনার গল্পের সঙ্গেও মিল আছে এই গল্পের আর ইতালির পিনোক্কিও কাহিনির সঙ্গেও মিল আছে।
সকাল থেকেই আকাশে মেঘের ঘনঘটা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে খানিকটা এগুতেই শুরু হয়ে গেল তুমুল বৃষ্টি। ছাতা-টাতা নিই নি সাথে, স্কুলে পৌঁছুতে পৌঁছুতে ভিজে একেবারে জবজবে হয়ে গেলাম। ও মা! দেখি ক্লাসে না গিয়ে সবাই মাঠে দাপাদাপি করছে!