কয়েক মাস আগে এক সদ্য পরিচিতের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। যেচে পড়ে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করায় তার উপর যথেষ্ট বিরক্ত ছিলাম! "কী হে! কী অবস্থা! এখন তো একটু ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে..." টাইপ কথা বলে কেটে পড়ার তাল করছি, আচমকা লোকটি একেবারে আমার হৃদয়ের দুর্বলতম কোনে ঘাই মেরে বসল!
[justify]
আমার দাদার নাম ছিল ওমর আলী বক্স। উনি সেই নাম পালটে নাম নেন আমির হোসেন। কোথাও কোনো ফর্ম পূরণ করতে গেলে আমি মনে মনে ওনাকে ধন্যবাদ দেই, উনি এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তটা না নিলে এই মার্কিন দেশে আমার লাস্ট নেম হতো Box। সেটা হয়ত আমার সহকর্মী জাস্টিন হুকারের চেয়ে ভালো হতো, কিন্তু বিড়ম্বনা থেকেই যেত। এই ছোট্ট সিদ্ধান্তটা থেকে ওনার দূরদৃষ্টির পরিচয়টা বেশ পাওয়া যায়।
১।
নোনা ধরা দেয়ালটার উপর দিয়ে হাত বুলিয়ে নিতেই কেমন সাদা লবণের মত বালুর গুড়ো ঝরে পড়লো খাটের কোনটাতে। বিছানার চাদরটাও ধোয়া হয় না কতদিন। সব সময় গুমট হয়ে থাকে ঘরটা। পাশের বাসাটা উঁচু হতে হতে এখন সাততলা হবে হবে করছে। তখনি মনে পরে সেখানে ছিল একটি বেড়ার ঘড়, একটি মজা পুকুর। বৃষ্টি হলে পুকুর আর রাস্তায় পানি জমে এক হয়ে যেত। তখন কনকদের বাসাটা নতুন। আশে পাশের সব বাড়ি থেকে উঁচু ছিল বাড়িটা। সে এই বাড়িতেই তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছে। ছাদে দাড়িয়ে বাড়ির দুই পাশে দুটো পুকুরে মাছের ঘাই দেয়া ঢেউ এর দিকে তাকিয়ে সে তার জীবনের কত সকাল-সন্ধ্যা কাটিয়েছে।
কালীদাস থেকে রবীনদ্রনাথ মৌসুমের প্রথম মেঘ এবং বৃস্টি নিয়ে অনেক যল্পনা কল্পনা করেছেন। সাহিত্যের প্রত্যেক শাখায় অনভুতির অবাধ বিচরন করেছেন, লিখেছেন কবিতা, গান, নাটক, প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস। বাঙ্গালী মনে ক্ষেত্র প্রস্তুতই আছে। একটু শুধু বর্ষার ছোঁয়া, যাদু বলেই মন মেঘের সঙ্গী হয়ে উড়ে যায় অসীম দিগন্তে!!
সবাই তাকে হাতুড়ে ডাক্তার বলে, যদিও তার কাজকারবার করাত নিয়ে।
শোনা গেছে, দেবতা থর তার হাতুড়ি খুঁজে না পেয়ে এনার পেছনে টিকটিকি লাগিয়েছেন।
যাঁরা জানেন না, তাঁদের অনেকেরই মনে চিন্তা খেলা করে, এই লোকগুলো নিজেরা লিনাক্স ব্যবহার করে ভাল কথা, কিন্তু আমাদের পিছে লাগছে ক্যান? এঁদের স্বার্থ কী? এদের কি মহাপুরুষ রোগে ধরছে? কাউরে ইমপ্রেস করতে চায়? নাকি কেউ কি এঁদের টাকা দেয়?: দেয় মনে হয়, অবশ্যই দেয় ….
[i]কবে যেন চলে গেছিস তুই, হিমঝরা শীতের শেষরাত্রি ভোর হয়ে গেছে। শুধু ফেলে রেখে গেছিস কিছু কমলা-গোলাপী নখরঞ্জনী, মরিচারঙের দাগলাগা ঘী-রঙের রুমাল, কোণাওঠা আয়না একটা আর আলতার একটা আধা-ফুরানো শিশি।
গানটা প্রথম শুনি তিরানব্বই এর গ্রীষ্মে। ছায়াচ্ছন্ন, পুরোনো একটা মফস্বল শহরের মায়াবী এক দুপুরে। স্কুল গরমের ছুটি। (হ্যাঁ, সেইসময়কার স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি বলে একটা ব্যপার ছিলো।) আমি সকাল থেকেই ঘাঁটি গেড়েছি এক বন্ধুর বাসায়। ওদের বাসা শহরের একেবারে মধ্যিখানে হলেও বাসার সামনে একটা আর পেছনে দুইটা পুকুর ছিলো। আর পেছনে প্রায় অন্ধকার জঙ্গলের মতো একটা বাগান। তাই পুরো সকাল আর দুপুরবেলা কেটেছে ওদের বাগান