গল্পঃ মৃত্যুচ্ছা পর্ব-১
গল্পঃ মৃত্যুচ্ছা পর্ব-২
তখন যেন পৃথিবীর আর সবকিছুকে আমি ভুলে গেলাম। যেন আমি পৃথিবী, তপুকে সূর্য করে প্রদক্ষিণ করছি। যা কোনদিন হবে না ভেবেছিলাম, তা-ই হল। আমি প্রেম সাগরে শুধু হাবুডুবুই খেলাম না, একদম ভেসে গেলাম। প্রেমিক-প্রেমিকাদের যেসব জিনিসগুলো আমার বিরক্তিকর লাগত, আমি ঠিক তাই-তাই করতে লাগলাম। প্রতি ঘন্টায় ফোন করে তপুর সাথে কথা বলা, তপু আমার প্রতি একটু অমনোযোগী হলেই মন খারাপ করা, একটু তীব্র স্বরে কথা বললেই কেঁদে চোখ ভাসানো, রাতে তপুর সাথে কথা না বললে অস্থিরতায় ঘুমাতেই না পারা, সকালে উঠে তপুর গলাই প্রথমে শুনতে চাওয়ার ইচ্ছা—সে এক কঠিন তালিকা যা বলে শেষ করা যাবে না। আরেকটা ব্যাপার যা না বললেই নয় তা হল, আমি নিবিড়ভাবে তপুর পছন্দ-অপছন্দগুলো নিজের করে নিলাম।
“I am America. I am the part you won't recognize. But get used to me. Black, confident, cocky; my name, not yours; my religion, not yours; my goals, my own; get used to me.” ~Muhammad Ali
বিষাদ-সিন্ধুর আমাদের গৃহ প্রবেশ ঘটেছিলো পরম আনন্দের দিনে। কারা যেনো একসাথে মীর মোশাররাফ হোসেনের বিষাদ-সিন্ধু, মোকছেদুল মুমেনীন আর আবুল হাসানাতের বিশেষ বিজ্ঞানের একখণ্ড বই আমাদের বিয়েতে উপহার দিয়েছিলো।
'স্বদেশকে চেনে বলেই ওরা বিশ্বকে চিনতে পারে।' কারা? - এই প্রশ্নের উত্তর আমি জানি।
উত্তর: ফরাসিরা।
[justify][left]বাংলা ব্যাকরণ পড়েছি সেই ৭/৮ বছর আগে। খুব প্রিয় বিষয়গুলোর একটি ছিল। তখন মাঝে মাঝে মনে হত বড় হয়ে ঢাবিতে বাংলায় পড়ব। আরো কত আকাঙ্ক্ষা ছিল তার ইয়ত্তা নাই! যদিও উচ্চ মাধ্যমিকে বা পরে ভার্সিটি ভর্তির সময় দৃঢ় সংকল্প ছিল ঢাবির ফার্মেসিতে পড়ব, চান্স পাওয়ার পরও পিতাজান ভর্তি হতে দেন নাই! যাই হোক বাজে কথা রেখে এই পোস্ট যে কারণে সে কথায় আসি।
সচলায়তনের পাতায় অনেক কবিতা দেখি, কবিতার প্রশংসা দেখি। কিন্তু বিধাতা আমায় সে রসবোধ দেননি কবিতার রস আস্বাদন করার মত। আমার মত যাদের মেট্রিক বাংলা পরীক্ষার খাতায় কবিতার মূলভাব লিখ প্রশ্নের উত্তরে চোখ বুজে মুখস্ত উগড়ে দেয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিল না, তাদের কাব্য-প্রতিভাকে উৎসাহিত, উদযাপিত করার জন্য এই পোস্ট। মডুরা যদি ছাড়পত্র দেয় তবে আপনিও এর রস আস্বাদন করুন- রস-যোগ করুন। আর সচলের শ্রদ্ধেয় শক্তিমান
তোমাদের ব্যালকনীটা-
রোজ ভেসে যায় রোদে..
এক কোণে একলা বসে;
হয়তো হঠাৎ উচ্ছাসেতে,
উঠছো হেসে..
জানো কি?
হয়তো,
অন্য কোথাও..
তোমায় ভেবে;
রাঙিয়ে মন,
মন খারাপের রঙে..
আনমনা কেউ;
দেখছে হঠাৎ,
যায় জলে চোখ ভেসে..।।
বিষণ্ণ বাউন্ডুলে
ভর্তি হওয়াগুলো কেমন মিলেমিশে গিট্টু পাকিয়ে যায়। সেই কবে প্রথম বাড়ীর বাইরে পাড়ার বাইরে বেরোনো ইস্কুলে ভর্তির জন্য, সঙ্গে করে নিয়ে গেল অভিভাবকরা, বেরিয়ে কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি, তারপরে সেই স্কুল থেকে বার হয়ে হাইস্কুলের ক্লাস ফাইভে ভর্তি, তারপরে কলেজ, তারপরে অনেক দূরে অচেনা বিদেশে গ্র্যাড স্কুল--সব অ্যাডমিশনগুলো মিলেজুলে একাকার হয়ে যাচ্ছে, যেন সব কিছু একটা বিরাট মালার মতন, আলাদা করে চেনা যাচ্ছে না বীডগ
[justify]
আমার উচ্চতা ভীতি নেই। অনেক উঁচুতে দালানের কার্নিশে দাঁড়াতে পারি। ভীতি নেই মাকড়সা,জোঁক কিংবা সাপে। ভীতি নেই পানিতে। মাত্র সেদিন আমরা ক'জন মিলে নদীপথে যাচ্ছিলাম বেড়াতে। অনেক বছর পর নদীর কোমল শরীরে সাঁতরাতে লোভ জাগলো। পাহাড় থেকে নেমে আসা নদী গোয়াইন এর এপার থেকে ওপাড়ে গিয়ে ফিরে আসার সময় টের পেয়েছিলাম বয়স হচ্ছে, শরীর ভারী হচ্ছে, দীর্ঘদিনের অনভ্যাসে প্রিয় সাঁতার ও আমাকে সঙ্গ দিচ্ছেনা সহজে।