ইস্কুলে কোনো অমেরুদণ্ডী প্রাণীর রচনা লিখেছিলাম কি না মনে নেই; আমাদের সবগুলো রচনাই ছিল শোয়ানো মেরুদণ্ডের গরু-ছাগল-ভেড়া-মহিষের মাহাত্ম্য কারণ এই শ্রেণির মেরুদণ্ডগুলা চারটা খুঁটির উপর লম্বালম্বি শুয়ে থাকে বলে শিং-খুর-নাক-কান-লেজ নিয়ে কয়েকটা বাক্য লিখে সরাসরি চামড়া ছিলে চামড়ার রপ্তানিমূল্য কিংবা ছিলা চামড়ায় লবণ মাখানোর কৌশল কিংবা সেই চামড়ায় বানানো জুতা-মোজা-ব্যাগের বর্ণনা দিয়ে লম্বায়প্রস্থে রচনা বড়ো ক
পনচমীর হাত ধরে ধরে!!
- তানিম এহসান
১.
জানবেনা বহুকিছু কারন বলবোনা, বুঝে নিতে হবে
জেনে নিতে হয়, কেউ কাউকে পারেনা শেখাতে,
এতো খুঁচোখুচি জানবে বলে! শোনো তবে
নাদান অবোধ মানুষ না পারে অন্যকে দেখাতে
না জানে কথো, কেবলি মরমের তলানী ছুয়ে - অবাধ সাতার!!
--- ২৭.০৬.২০১১, শান্তিনগর
২.
বন্ধ্যা জমিতে ফোটে ফুল, ফোটায় মানুষেরা!
শীতের সকালটায় হি হি করে কাঁপতে কাঁপতে স্যারের বাসায় পড়তে গিয়ে দেখি বাগানের পুরনো বেদিটায় একা একা বসে আছেন। বললেন, 'আজ পড়াব না রে, মনটা ভালো নেই'। সবাই খুশি মনে ফিরতে শুরু করতেই ডেকে বললেন, 'আশালতা, তুমি থাকো, তোমার সাথে কথা আছে'। আমি অবাক হওয়ার চেয়ে চিন্তিত হলাম বেশি। কারন একা ফিরতে হবে। তার মানে রোজদিন দরজার আড়ালে গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা উনার পাগল ছেলেটার সামনে দিয়ে একাই যেতে হবে, এইট
অশ্রুত কথার ছলে চেনা সুরে ক্ষণে ক্ষণে বেজে উঠো তুমি
হানা দাও, খুন করো, মৌনতা চিরে ফেলো নখের আঁচড়ে
রাজর্ষি রাতের জ্বরে পুড়ে যাই রুদ্ধবাক ঘোরের ভিতরে
একটু পাবো কি রেহাই ডুবে গেলে সবটুকু পাললিক ভূমি?
জলবতী মেঘে মেঘে গুণীর মন্ত্রের মতো মাতাল সিম্ফনি
নেব না নেব না আমি নেবুগন্ধী নির্জলা সন্ন্যাসী দিন
বেজে যদি যায় যাক অবিরত শূন্য হাত বিষণ্ণ ভায়োলিন
সেদিন জ্যাকসন হাইটসে মুক্তধারার নিচে দাড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। জায়গাটাকে নিউইয়র্কের বাংগালী হাব বলা হয়। হঠাৎ কানে বাংলা প্যারডি ভেসে এল। এক ছেলে গাড়ির হুডে বসে বন্ধুদের সুর করে বন্ধুদের প্যারডি শোনাচ্ছেঃ
শোন মমিন মুসলমানও
যত পার গাঞ্জা টানো
আখেরাতে সবই পাইবা
গাঞ্জা পাইবা না।।
১.
অন্তর্জালের সুবাদে আমি ইচ্ছেমত লেখার সুযোগ পেয়েছি। আগে পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকের কাছে ধর্ণা দিতে হত। লিটিল ম্যাগাজিনে কায়দা করে যোগাযোগ করতে হত। মুশকিল হল, আমাদের দেশে তো দেশপ্রেম গেছে একাত্তরের পরে। তার বদলে পয়সাপ্রেম এসে পড়েছে। সে সময় থেকে নানা ধরনের কায়দাবাজির জন্ম হয়েছে।
স্তদ্ধ নিঝুম কোন একখানে সরব মানুষেরা ছিলো,
ছিলাম এই আমি।
জীবনের কোন কথা হয়নি,
এলোমেলো কথাগুলো পায়নি প্রান।
চোখে নেমে আসছে অলসতা, পৃথিবী বড় উদাস তখন।
সে দুপুরে মনে হয়েছিলো -
পৃথিবীতে নির্জন পরিসর কোথাও নেই;
নির্জনতা বাস করে মানুষের ভেতর।
সেই নির্জনতায় কোলাহল নেই, আলোড়ন আছে,
কৃত্রিমতা নেই, স্বাভাবিকতা আছে।
একাকী সেই নির্জনখানে যেক্ষণে আসবো আমি
সেক্ষণেই শুধুমাত্র আমি আমার,
আমাদের দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের লিখন শৈলী দেখে আমি বরাবরই মুগ্ধ হই। সহজ কথাকে তারা এমন জবরদস্ত ভাষায় ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে লেখেন, যে আমার মত নির্বোধের পক্ষে তার মর্মার্থ উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়ে। এদিকে আমার জ্ঞানত্ষ্ণা প্রবল। কী লিখলো, তার অর্থ উদ্ধার করতে না পারলে আমি অস্বস্তিবোধ করি। বন্ধুমহলে যারা একটু জ্ঞানীগুণী আছেন, তাদেরকে তখন আমি জ্বালাতন করা শুরু করি। এই টার্মটা বুঝায়ে দে, ঐ কন্ডিশনটা বুঝায়ে দ
নীলিমা,
অনেক দিন পর আজ আবার তোমায় চিঠি লখতে ইচ্ছে হলো।
আজ একটি বিশেষ দিন। গুছিয়ে তোমাকে চিঠি লেখা কেমন জানি কঠিন হয়ে ঠেকছে।
প্রথম প্রথম তোমায় কিছু লিখতে গেলে সব কিছু কেমন এলোমেলো হয়ে যেত।
খেই হারিয়ে ফেলতাম আমি। অনুভূতির ব্যাকরণগুলো কেমন বিব্রত দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে থাকত।
সত্যি বলতে কি - আজো আমি অবিকল আগের মতই। তোমার ভাষায় - 'একদম ছেলেমানুষ তুমি' !
তোমার খুব প্রিয় তিনটি শব্দ বল...।।
- বৃষ্টি ,
একাকীত্ব
আর নীরবতা ।
আজও তোমার কথায় একটা উদাসী ভাব !
আচ্ছা ,তোমার কি স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগেনা??
-না ।
একসময় লাগতো,
যখন লাল-নীল,সাদা-কালো অনেক স্বপ্ন দেখতাম ।
একদিন হঠাৎ করে কেঁদে কেঁদে ,স্বপ্ন গুলি কোথায় যেন হারিয়ে গেল ।
আমি ওদের আর খুঁজে পাইনি ।
ওরা কেন জানি ,কোথায় জানিনা, হারিয়ে গেল ।