তারিখঃ ৮ জুন ২০১১
স্থানঃ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট, গুলিস্তান। সময়ঃ সকাল ১১টা
[justify]
রাত আরও গভীর হয়। আধারের রং আরো মিশমিশে কালো হয়। কে যেন কানের কাছে ফিসফিস করে বলে উঠে, "উঠো, এবার তোমাকে যেতে হবে”।
বাইরে তাকিয়ে আধার দেখে চমকে উঠে বলি, “এ কি করে সম্ভব”? সে এবার মুচকি হেসে বলল, “এই তো পথ চলার আনন্দ।”
কবরস্থান ,কাফনের কাপড় , কবর শব্দ গুলো আসলে কেমন ? অনেক ছোট বেলায় নানা-নানীর কবর দেখেছি , একটু বড় হয়ে দাদা-দাদী , আরেকটু বড় হয়ে মামা র কবর দেখেছি ।
কাক ডাকা ভোর। আলো পুরোপুরি ফোঁটে নাই এখনও। একটা দু'টা রিকসা চলছে রাস্তায়। মাঝে মধ্যে হুস্ করে গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। টুকরি নিয়ে সাজু দ্রুত পায়ে হেটে চলেছে সাজু। গন্তব্য কারওয়ান বাজার। কঠিন একটি দিনের শুরু, প্রতিদিনের মতো ক্রেতাদের বাজার সদাই টুকরিতে বহন করেই তার দিনটা যাবে। কিন্তু তার মতো টুকরিওয়ালা মেলা। ক্রেতা পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। কাজ শেষে বঞ্চনাতো আছেই। সাজুর মনে পড়ে যায় ওই দিনের কথা। ভারি টু
চলার পথে মিললো দেখা রূপকুমারী এক,
এক পলকে দিলাম তারে মনটা আমার ব্যাক,
না পাবার এই জীবনটাতে সে যেনো ‘গিফ্ট প্যাক’,
জীবন আমার ধুঁকছিলো আর সে দেয় তাতে ‘জ্যাক’।
পাইনিকো টের খল নিয়তি হাসছিলো খ্যাঁক খ্যাঁক,
রূপকুমারী কোন দোষে যে আমায় দিলো ছ্যাঁক,
সেই সুবাদে বদলে গেলো জীবন চলার ‘ট্র্যাক’,
ছন্দহারা লক্ষ্যহীনা দিনগুলো হয় ‘ব্যাক’।।
খন্দকার আলমগীর হোসেন
গল্পঃ
বেশ সকালে ঘুম ভেঙ্গে যায় রাতুলের। হাত বাড়িয়ে বালিশের পাশে রাখা প্লাস্টিক ডায়ালের ডিজিটাল ঘড়িটাতে সময় দেখে নেয়, সাতটা পাঁচ। কাল ভেঙ্গেছিলো ছয়টা পঞ্চাশে, তার আগের দিন ঠিক সাতটায়। এত সকালে রোজ ঘুম থেকে উঠতে হলে অ্যালার্ম ঘড়ি থাকা জরুরী, ফার্মগেটের ওভারব্রীজের নীচের জটলা থেকে সত্তর টাকা দিয়ে এই ঘড়িটা কেনার সময় এতেও অ্যালার্মের সুবিধা থাকার কথা ছিল। তবে সত্তর টাকার ঘড়ি কেনার সময় এত কিছু কেউ দেখে কিনে না, আর রাতুলের আসলে ঠিক কিছু যায় আসে না অ্যালার্ম থাকা না থাকায়। শুধু ঘড়িটার চারপাশে আরো কিছু অকেজো বাটনের সাথে অ্যালার্ম বাটনটা শুধু মনে করিয়ে দেয়, কিছু একটা থাকার কথা ছিলো, যা এখন নেই।
লিমন নামের এই ছেলেটির জন্মের আগে থেকেই এক পা কাটা ছিল। তার বাবারও পা কাটা। মায়েরও তাই। এই ব্যান্ডজটি ভুয়া। খুলে দেখতে পারেন।