মিশকালো সিরিঙ্গে চেহারার কালীমোহন বুড়োকে দেখলেই আমার মেছো ভুতের কথা মনে হত। তখন সদ্য সদ্য নিজেই বানান করে গল্পের বই পড়তে শিখে গেছি। ছবিওলা বাংলার ভূতের গল্প মুখস্ত প্রায়। কালী বুড়ো আমাদের জমি দেখা শোনা করার প্রাচীন কামলা। ময়লাটে হেটো ধূতি আর হাতে একটা নারকেলি হুঁকো - এইই হল তার সারাবছরের ভূষণ। খুব শীতে বড়জোর একটা মার্কিন কাপড়ের টুকরো চাদরের মত গায়ের ওপর ফেলে রাখত । গ্রামের মাটির বাড়িটার
১.
শুকিয়ে যাওয়া ডোবার ধারে
একটি শামুক
রোদে পুড়ে হয়ে উঠে
বৃষ্টি-কামুক
এই উপকথা পর্তুগালের। কিন্তু কেমন করে যেন আমাদের ঘরের, মাঠের, ঘাটের চেনা গল্পের সাথে মিলে যায়। আদিপুস্তকের জোনার গল্পের সঙ্গেও মিল আছে এই গল্পের আর ইতালির পিনোক্কিও কাহিনির সঙ্গেও মিল আছে।
সকাল থেকেই আকাশে মেঘের ঘনঘটা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে খানিকটা এগুতেই শুরু হয়ে গেল তুমুল বৃষ্টি। ছাতা-টাতা নিই নি সাথে, স্কুলে পৌঁছুতে পৌঁছুতে ভিজে একেবারে জবজবে হয়ে গেলাম। ও মা! দেখি ক্লাসে না গিয়ে সবাই মাঠে দাপাদাপি করছে!
কেবল বৃষ্টি এলেই সব ভিন্নতা চারিপাশে
------------------------ প্রখর রোদ্দুর
নদী যতই বয়ে চলুক
আসলে সে ফন্দি ফিকিরে থেকে যায় নিজেরই কোলে
যেমন গাছেদের চলাচল পাতায় কিংবা ডালে
কিংবা ফল ফুলের শাখে
বাতাসেরও ফিনিক হাসি কিংবা গুরুগম্ভীর গর্জন
সেও হুকুমের রিমোট চেপে খুব নিজস্ব বলয়ে মাপা
কেবল বৃষ্টি এলেই সব ভিন্নতা চারিপাশে
রাজার মুকুট মানিক্য খচিত
রাজ্যপাট কিংবা শৃঙ্খলের সংসার বাস
গত রাতের আকাশ ছিল
গ্রহণ লাগা চাঁদের মত
চোখের ছায়ায় ঘুম জাগানো
আজ সারাদিন বৃষ্টি হলো
মন-বালিকার দহন-ক্ষত
জুড়িয়ে দেয়ার শীত লাগানো
বৃষ্টি থামে মেঘ থামে না
আলোর ঘোরে সন্ধ্যা আসে
আজকে রাতের সব আয়োজন
সূর্য সাধার পূর্বাভাসে।
সবচেয়ে কঠিন কাজটা সবচেয়ে সহজে হয়ে যাওয়ায় তানিম একটু ফাঁপড়ে পরে যায়। অবশ্য গত কয়েকদিন ধরে সুমির হাবভাব ভালো করে বোঝা যাচ্ছেনা। বোঝার মত মনযোগ দেয়াও তানিম ছেড়ে দিয়েছে অনেকদিন আগে। যাই হোক, কাজটা হয়ে গেছে এটাই আসল, তানিম নিজেকে আশ্বাস দেয়।
তাহলে, আমরা দার্জিলিং যাচ্ছি?
ডিস্ক্লেইমার: প্রথমেই বলে নেই যে আমি কোন ভূতত্ত্ববিদ নই, ভূ-পদার্থবিদতো নয়ই। কিন্তু এই আর্টিকেলটা হঠাৎ করেই চোখে পড়ে গিয়েছিল সেদিন। আগ্রহী হয়ে পড়তেও শুরু করলাম। পড়া শেষে মনে হল, এটা বেশ ইন্টারেস্টিং, শেয়ার করা যায়। আর্টিকেলটা বাংলায় অনুবাদ করতে গিয়ে আবারো বাংলায় বিজ্ঞান শিক্ষার অভাব বোধ করলাম কেননা অনেক শব্দের বাংলা আমি জানিই না। তো এটা পড়ার সময় অনেক শব্দ দেখতে পারেন যা একটু জটিল, বৈজ্ঞানিক। আর আমি ভালো অনুবাদ করতে পারি না, তাই অনুবাদ কাঠখোট্টা লাগতে পারে, নিজগুনে ক্ষমা করে দিয়েন।
[justify]১৯৭১ সালে মাত্র নয় মাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ত্রিশ লক্ষ বাঙ্গালিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। একটা সুপরিকল্পিত গণহত্যার পেছনে জাতিবৈরিতার কথাটুকু পাকিস্তান কখনো স্বীকার করতে চায় না। পাকিস্তানি জেনারেলরা তাদের আত্মজীবনী ভরিয়ে রাখে ভেজাল আত্মরতিতে। সেগুলোতে একাত্তরে হত বাংলাদেশের মানুষের সংখ্যা ছাব্বিশ হাজার বা তার চেয়ে কম। শর্মিলা বসু এদের অর্থপুষ্ট হয়ে গবেষণার কল্পজগৎ তৈরি করে জাতিবৈরিতার দা