তাঁর চলে যাওয়া জুড়ে থেকে যায় থোকা থোকা বিষন্নতা, ট্রিপল ফাইভের ভুলে যাওয়া ধোঁয়ার ফিরে আসা আর দীর্ঘতম ঘুমের শেষে জেগে উঠা ব্যক্তিগত স্মৃতিময়তা।
কোথায় যাচ্ছ ভেকেশনে? মে মাস শুরু হতেই এই প্রশ্ন প্রতিদিন আমার কলিগদের মুখে মুখে থাকে। আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজদের যেমন প্রতি বছর ওমরাহ্ হজ্জ্বে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ, সুইসদের কাছে ভেকেশনে যাওয়াটা অনেকটাই সেরকম। চলুন এই সামারে আপনাদের সুইজারল্যান্ড নিয়ে যাই, আজকের গন্তব্য জেনেভা,প্রথমে একটা ভিডিও দেখতে পারেন জেনেভা শহরের
মনের আনন্দে গাইছে শিশুটি, আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি, তুমি এই অপরূপ রূপের বাহির হলে জননী...
প্রিয় গানটি শুনে হঠাৎ আমার চোখ দুটো ভিজে ওঠে। জন্মান্ধ এই শিশুটি কোনোদিন অপরূপ জননী আর রূপসী বাংলাদেশের রূপ দেখতে পায় নি চোখ মেলে!
ঠিক করেছি সচল হবো। খুব ভেবে চিন্তে নেয়া সিদ্ধান্ত যে তা না। কারেন্ট চলে গিয়েছিলো। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড় হচ্ছিলো। খুব ঝগড়া শেষে, মেয়েটা যেমন শেষমেশ কাদতে শুরু করে, তেমন বৃষ্টি। ঝড়ের সময় জানালা খুলে দিয়েছিলাম। আগের চার ভাগে’র কপাট কপাট ওয়ালা কাচে’র জানালা, এখনকার থাই গ্লাস এর জানালা না যে ঝা করে খুলে ফেলা যায় একপাশ। তারই একটা খুলে ছিলাম। জানালা’র গুলো ঠেকিয়ে রাখার জন্য হুক এর মতো ছিলো একসম
ইয়ে, মানে একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করি, শেষ কবে ঘুষ দিয়েছিলেন? মানে ইচ্ছায়, অনিচ্ছায় কিঞ্চিত তেলপানি দেয়া লেগেছিল? পাসপোর্ট করার সময়? বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল সামলানোর জন্য? কলেজের সার্টিফিকেট ইংরেজী করার সময়? বাড়ি সংক্রান্ত কোন কাজে রাজউকে? নাকি বছরশেষে ইনকাম ট্যাক্সের ঝামেলা ভদ্রলোকের মত মেটানোর জন্য আপনার ট্যাক্স লইয়ার আপনাকে বলেছিল আপনার ট্যাক্স এত টাকা, আমার ফী এত টাকা আর এই টাকার ভেতরে জান ছুটানোর জন্য ট্যাক্স অফিসের খরচ এত টাকা?
সুয়োরানীর হয়েছিল হাড় মড়মড়ে রোগ, আমার হল উদ্ভুট্টি কান কট কটে ব্যারাম । থেকে থেকে কানের ভেতর কটকট কটকট । কী যে জ্বালা । দেখেবেছে এক ডাক্তারের কাছে হাজির হলাম । দেখি বিরাট সাইন বোর্ডে বড় করে নাম লেখা, বুলন্দ্ চৌধুরী । বাহ, বেড়ে নাম । শুনতেই বেশ তেজিয়াল বোধ হয় । ভেতরে গিয়ে দেখি বেঁটে খাটো শুকনো চেহারার শ্যমলা রঙা অমায়িক বৃদ্ধ । মনে হল, যাহ্, নামকরণের সার্থকতা তো ঘটল না !
কিছু দিন আগে টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠান দেখার সময় একটি মুঠোফোন কোম্পানীর বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। বিজ্ঞাপনটি ছিল এইরকম----একটি ছেলে চোখ কচলাতে কচলাতে ঘুম থেকে উঠলো, দাঁত ব্রাশ করল তারপর কম্পিউটারের সামনে বসলো। বসে ফেসবুক ওপেন করে নোটিফিকেশন দেখলো, মন্তব্য করলো এরপর বন্ধুদের সাথে chat করা শুরু করলো। একটু পর তার মুঠোফোনে রিং বেজে উঠলো এটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে তার ক্লাসের সময় হয়ে গেছে। এটা দেখে সে যারপরনা
'দুইটা টাকা দেন গো স্যার', হঠাৎ তন্দ্রাটা চটে যায় মামুনের। জ্যামে প্রতিদিনই আটকে থেকে বাসে বসে বসে ক্লান্তিতে তন্দ্রা মতো এসে যায়। আজ যেন সেটা একটু বেশিই।
'দুইটা টাকা দেন গো স্যার, লেবুগুলা নিয়া যান, মিষ্টি লেবু'
“ডাল ভাত তরকারি ফল-মূল শস্য,
আমিষ ও নিরামিষ, চর্ব্য ও চোষ্য,
রুটি লুচি, ভাজাভুজি, টক ঝাল মিষ্টি,
ময়রা ও পাচকের যত কিছু সৃষ্টি,
আর যাহা খায় লোকে স্বদেশে ও বিদেশে -
খুঁজে পেতে আনি খেতে - নয় বড়ো সিধে সে!”
আফ্রিকায় সন্ধ্যা
- সুমাদ্রি শেখর।