নির্দিস্ট দিনের স্নিগ্ধ সকালে,
সাজানো শয্যায় এই হাস্পাতালে,
ভয়ে ভয়ে ইস্টনাম, হটাৎ নিঝুম,
ঔষধের সেই বোধহীন ক্লান্তির ঘুম।
অপরাহ্ণ সুসমিতো
স্টেশনে নামতেই টিকেটের সাথে স্টেশনের নামটা আবারো মিলিয়ে নিলাম । ভুরঘাটা । পুরানো ভাঙ্গাচোরা আদ্দিকালের এক স্টেশন,বাংলাদেশের আর পাঁচ দশটা রেল স্টেশনের মতোই । চারিদিকে পান বিড়ি পান শব্দের আনাগোনা । ভাবছি বেরিয়েই রিক্সা নেব । আপাতত সার্কিট হাউজ । সার্কিট হাউজে পৌঁছে চমৎকার এক গোসল,তারপর ধোঁয়া ওড়ানো ভাত,আহা,তারপর লম্বা এক ঘুম । এরকম ভাবতে দারুন এক আবেশ লাগে । এক পা সামনে বাড়াতে হঠাৎ পেছন থেকে কে যেন আমার ডাক নাম ধরে ডাক দিল । অবাক হয়ে গেলাম । এই অচেনা জায়গায় কে আবার আমার নাম ধরে ডাকে । পেছন ফিরে তাকাতেই দেখি অচেনা এক মানুষ । বিবর্ণ,বিভৎস পোশাক । ডান হাতের অর্ধেকটা নেই । প্যান্ট ময়লা,হরেক রঙের তালি । ফুল হাতা জামা,ডান হাতের অর্ধেক নেই বলে হাতাটা ঝুলছে । আমি তো অবাকে থ’ । ওই জায়গাটায় ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম । কে এই শ্রীমান ? একদম আমার ডাক নাম ধরে ডাকল ।
[justify] মনটা খুব খারাপ। নির্ঘুম, বিষন্ন, ভারাক্রান্ত। কিছু বলার নেই, সবই তো জানা কথা – এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে... হে আল্লা... ।
নটরডেমে যারা পড়েছেন, বিশেষ করে যারা নিয়মিত ক্লাস ফাঁকি দিয়েছেন, তাদের অনেকেরই হয়তো গুরুর সাথে সাক্ষাতের সৌভাগ্য হয়েছে। আমার সাথে একাধিকবার হয়েছে।
একদম প্রথমদিনের কথা বলি, আমি এ. সি. দাস স্যারের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে রফিক মামুর টংয়ে বসে আছি। বাতেনী আলাপ হচ্ছে। দেখি গুরু একটা বোয়াম থেকে চকলেট বের করে নিচ্ছেন। পরনে রঙচটা ট্র্যাকস্যুট, টিশার্ট। খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। মুখে "হারিয়ে গেছি" টাইপ হাসি। আমি অত্যধিক উত্তেজিত হয়ে পড়লাম। সে বয়সে কিছু মানুষের জন্য তীব্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা বহন করে ফিরতাম। তিনি শ্রদ্ধার সেই মানুষগুলোর তালিকায় ছিলেন একদম শুরুর দিকে।
[i]এই গল্প বহুকাল আগের, তখন হাত মকশো শুরু করেছি সবে। নানা ঊর্ধরৈখিক পাড়ায় যাতায়াতের সুবাদে আস্তে আস্তে পালে বাতাসও লাগছিলো। সেসব পাড়ার কিছু কিছু এখনো আছে, কিছু কিছু আর নেই। সেসব পুরানো দিনের পুরানো পাড়ার লোকেরা অনেকে নতুন পাড়ায় নিয়মিত হয়েছেন। এই গল্পের খন্ড খন্ড অগোছালো অংশ ওসব জায়গায় আগেই হয়তো কেউ কেউ দেখে থাকতে পারেন। আজও পরিবেশ দিবস এলেই নতুন বন্ধুদের সাথে এ গল্প ভাগ করে নিতে ইচ্ছা করে। অন্যরকম
কাগজের মতো এরকম চমৎকার একটা জিনিস খাওয়া যায় না কেন? অথবা পলিশ করা কাঠ? নারকেলের ছিবড়ে? পাটের শলা খাওয়া যায় না কেন?
ইট-লোহা খেতে না পারার স্পষ্ট কারণ আছে। ওতে শরীরের প্রয়াজনীয় পুষ্টি উপাদান নেই। কিন্তু কাগজ তো গাছ থেকে তৈরি। নারকেলের ছোবড়াও তো গাছেরই অংশ। এমন কি কাঠও! এই তিনটে জিনিসই শর্করায় একেবারে ঠাসা! তাহলে?
ব্যাপারটা বুঝতে গেলে আগে বুঝতে হবে রেলগাড়ি।
[justify]ফেব্রুয়ারি ২৮, ১৯৫০- জুন ৫, ২০১১; আজম খান চলে গেলেন। গুরু চলে গেলেন। মুক্তিযোদ্ধা, খাঁটি মানুষ আমাদের পপসম্রাট হারিয়ে গেলেন চিরকালের জন্য।
১.
লোকটা হাত ধরতেই এক ঝটকায় ছাড়িয়ে নিলাম।
নাছোড়বান্দা লোকটা এ বাড়ির মালিক। পিছু নিয়েছে বাড়ী বদলের দিন থেকেই। এই এলাকায় আমি নতুন। পথঘাট চেনা হয়নি। সুযোগ পেয়েছে লোকটা।
কদিন আগে হলেও দু'গালে দুটো চড় বসিয়ে দেয়া যেতো। কিন্তু আইন বদলে গেছে কদিন আগে। আমার সময় আইনের প্রতিকূলে। মন বলছে ধৈর্য ধরতে। কটা দিন গেলে ঠিক হয়ে যাবে।
দুঃস্বপ্নের চোখে চোখ রেখে শুধোই, ভালবাসা কি ভুল ছিল ?
হা হা করে হেসে উঠে বলে, ছিল, ছিল । ভুল অঙ্কই করিস কেবল ! বুঝিস নাতো কিছু । মাথা নেড়ে স্বগতোক্তি করে, এ খুকিটা কিচ্ছু বোঝে না মা, এ যে ভারী ছেলে মানুষ ! হা হা হা ...।
হুজুরদের গল্প ৩
হুজুরদের গল্প ৪
তাবলীগ পর্ব
[justify]