স্তদ্ধ নিঝুম কোন একখানে সরব মানুষেরা ছিলো,
ছিলাম এই আমি।
জীবনের কোন কথা হয়নি,
এলোমেলো কথাগুলো পায়নি প্রান।
চোখে নেমে আসছে অলসতা, পৃথিবী বড় উদাস তখন।
সে দুপুরে মনে হয়েছিলো -
পৃথিবীতে নির্জন পরিসর কোথাও নেই;
নির্জনতা বাস করে মানুষের ভেতর।
সেই নির্জনতায় কোলাহল নেই, আলোড়ন আছে,
কৃত্রিমতা নেই, স্বাভাবিকতা আছে।
একাকী সেই নির্জনখানে যেক্ষণে আসবো আমি
সেক্ষণেই শুধুমাত্র আমি আমার,
আমাদের দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের লিখন শৈলী দেখে আমি বরাবরই মুগ্ধ হই। সহজ কথাকে তারা এমন জবরদস্ত ভাষায় ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে লেখেন, যে আমার মত নির্বোধের পক্ষে তার মর্মার্থ উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়ে। এদিকে আমার জ্ঞানত্ষ্ণা প্রবল। কী লিখলো, তার অর্থ উদ্ধার করতে না পারলে আমি অস্বস্তিবোধ করি। বন্ধুমহলে যারা একটু জ্ঞানীগুণী আছেন, তাদেরকে তখন আমি জ্বালাতন করা শুরু করি। এই টার্মটা বুঝায়ে দে, ঐ কন্ডিশনটা বুঝায়ে দ
নীলিমা,
অনেক দিন পর আজ আবার তোমায় চিঠি লখতে ইচ্ছে হলো।
আজ একটি বিশেষ দিন। গুছিয়ে তোমাকে চিঠি লেখা কেমন জানি কঠিন হয়ে ঠেকছে।
প্রথম প্রথম তোমায় কিছু লিখতে গেলে সব কিছু কেমন এলোমেলো হয়ে যেত।
খেই হারিয়ে ফেলতাম আমি। অনুভূতির ব্যাকরণগুলো কেমন বিব্রত দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে থাকত।
সত্যি বলতে কি - আজো আমি অবিকল আগের মতই। তোমার ভাষায় - 'একদম ছেলেমানুষ তুমি' !
তোমার খুব প্রিয় তিনটি শব্দ বল...।।
- বৃষ্টি ,
একাকীত্ব
আর নীরবতা ।
আজও তোমার কথায় একটা উদাসী ভাব !
আচ্ছা ,তোমার কি স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগেনা??
-না ।
একসময় লাগতো,
যখন লাল-নীল,সাদা-কালো অনেক স্বপ্ন দেখতাম ।
একদিন হঠাৎ করে কেঁদে কেঁদে ,স্বপ্ন গুলি কোথায় যেন হারিয়ে গেল ।
আমি ওদের আর খুঁজে পাইনি ।
ওরা কেন জানি ,কোথায় জানিনা, হারিয়ে গেল ।
গল্পঃ মৃত্যুচ্ছা পর্ব-১
গল্পঃ মৃত্যুচ্ছা পর্ব-২
তখন যেন পৃথিবীর আর সবকিছুকে আমি ভুলে গেলাম। যেন আমি পৃথিবী, তপুকে সূর্য করে প্রদক্ষিণ করছি। যা কোনদিন হবে না ভেবেছিলাম, তা-ই হল। আমি প্রেম সাগরে শুধু হাবুডুবুই খেলাম না, একদম ভেসে গেলাম। প্রেমিক-প্রেমিকাদের যেসব জিনিসগুলো আমার বিরক্তিকর লাগত, আমি ঠিক তাই-তাই করতে লাগলাম। প্রতি ঘন্টায় ফোন করে তপুর সাথে কথা বলা, তপু আমার প্রতি একটু অমনোযোগী হলেই মন খারাপ করা, একটু তীব্র স্বরে কথা বললেই কেঁদে চোখ ভাসানো, রাতে তপুর সাথে কথা না বললে অস্থিরতায় ঘুমাতেই না পারা, সকালে উঠে তপুর গলাই প্রথমে শুনতে চাওয়ার ইচ্ছা—সে এক কঠিন তালিকা যা বলে শেষ করা যাবে না। আরেকটা ব্যাপার যা না বললেই নয় তা হল, আমি নিবিড়ভাবে তপুর পছন্দ-অপছন্দগুলো নিজের করে নিলাম।
“I am America. I am the part you won't recognize. But get used to me. Black, confident, cocky; my name, not yours; my religion, not yours; my goals, my own; get used to me.” ~Muhammad Ali
বিষাদ-সিন্ধুর আমাদের গৃহ প্রবেশ ঘটেছিলো পরম আনন্দের দিনে। কারা যেনো একসাথে মীর মোশাররাফ হোসেনের বিষাদ-সিন্ধু, মোকছেদুল মুমেনীন আর আবুল হাসানাতের বিশেষ বিজ্ঞানের একখণ্ড বই আমাদের বিয়েতে উপহার দিয়েছিলো।
'স্বদেশকে চেনে বলেই ওরা বিশ্বকে চিনতে পারে।' কারা? - এই প্রশ্নের উত্তর আমি জানি।
উত্তর: ফরাসিরা।
[justify][left]বাংলা ব্যাকরণ পড়েছি সেই ৭/৮ বছর আগে। খুব প্রিয় বিষয়গুলোর একটি ছিল। তখন মাঝে মাঝে মনে হত বড় হয়ে ঢাবিতে বাংলায় পড়ব। আরো কত আকাঙ্ক্ষা ছিল তার ইয়ত্তা নাই! যদিও উচ্চ মাধ্যমিকে বা পরে ভার্সিটি ভর্তির সময় দৃঢ় সংকল্প ছিল ঢাবির ফার্মেসিতে পড়ব, চান্স পাওয়ার পরও পিতাজান ভর্তি হতে দেন নাই! যাই হোক বাজে কথা রেখে এই পোস্ট যে কারণে সে কথায় আসি।
সচলায়তনের পাতায় অনেক কবিতা দেখি, কবিতার প্রশংসা দেখি। কিন্তু বিধাতা আমায় সে রসবোধ দেননি কবিতার রস আস্বাদন করার মত। আমার মত যাদের মেট্রিক বাংলা পরীক্ষার খাতায় কবিতার মূলভাব লিখ প্রশ্নের উত্তরে চোখ বুজে মুখস্ত উগড়ে দেয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিল না, তাদের কাব্য-প্রতিভাকে উৎসাহিত, উদযাপিত করার জন্য এই পোস্ট। মডুরা যদি ছাড়পত্র দেয় তবে আপনিও এর রস আস্বাদন করুন- রস-যোগ করুন। আর সচলের শ্রদ্ধেয় শক্তিমান