বনানী বাসস্ট্যান্ড
দুপুর একটা চার
আপনি কি শুধু এস. এস. সি পাশ? ঘরে বসে কিংবা চাকুরী/ব্যবসা করে পেতে পারেন এইচ. এস. সি সার্টফিকেট। আজই যোগাযোগ করুন।
বছরে ২০ দিন। শুধুমাত্র শুক্রবার।
বছরে যে শুক্রবার ২০ দিন এই প্রথমবারের মতো জানলাম! ইন্টারেস্টিং! প্রথমে তো ভেবেছিলাম ঘরে বসেই চাকুরি ব্যবসা একটা কিছু দিয়ে দেবে। দ্বিতীয়বার, পড়ে ধরতে পারলাম, নাহ! আসলে পড়াশুনার কথা হচ্ছে।
এলোমেলো কিংবা মনোরম শব্দগুচ্ছে প্রকাশিত এমন এক মাধ্যম, যার ভেতরে লুকিয়ে থাকে অনেক অনুভূতির অনুরণন, অনেক আনন্দের কোলাহল কিংবা হতাশার চাপা দীর্ঘশ্বাস। কখনো এটি বয়ে আনে কারো শেষ বিদায়ের কান্নাভেজা খবর । ছোট্ট শব্দের এই মাধ্যমটির নাম চিঠি! যদিও আজকাল হাতে লেখা চিঠির চল প্রায়ই উঠে যেতে বসেছে তারপরও নিভুনিভু করেও প্রদীপের ক্ষয়িষ্ণু সলতেটির মত জিঁইয়ে আছে চিঠি নামের আবেগময় এ মাধ্যমটি।
সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর নিয়ম করে নাস্তা করা, পড়তে বসা আর গোসল করে স্কুলের জন্য তৈরি হওয়া- কোনটাই অন্তুর পছন্দ নয় একটুও। কিন্তু সবচেয়ে মন খারাপ করা ব্যাপার হল সব ক’টাই প্রত্যেকদিন করে যেতে হয়- পছন্দ হোক আর না-ই হোক।
মাঝে মাঝে নাস্তা না করলে কী এমন হয় তা ও বুঝতে পারে না কিন্তু না খেতে চাইলে আম্মুর চোখ দেখেই ও ঠিক বুঝতে পারে এরপরে কী হবে!
শিকাগো শহর। উইন্ডি সিটি। ভয়াবহ ঠান্ডা এবং কুৎসিত শীতকাল। সিটি অফ জ্যাজ এন্ড ব্লুজ। মাল্টিকাচারাল মেট্রোপলিটান শহর। আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম শহর। আমেরিকার পাঁচটি বৃহত্তর লেইকের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেইক মিশিগানের তীরে অবস্থিত শহর। এরকম কতধরণের বিশেষণ জানতে পারলাম শহরটা সর্ম্পকে। মুভিংয়ের বিরক্তির পাশাপাশি তাই যুগপদ আগ্রহ ও ভয় কাজ করছিলো।
ভেজা রোদ্দুরে হাটতে হাটতে আর যাই হোক ক্লান্তি আসেনা। ২১ শে জুন, ২০১১ সাল, আজ কির্তনখোলা নদীর ধারে লাইনটা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। আমার এটা সবসময় হয়, কোন লাইন কিংবা গান মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে।
“শব্দেরা কোথা হতে এসে হাত পা চেপে ধরে
আর আমার শুধু উত্তুরে হাওয়ার টানে
দিনমান বয়ে চলা
গ্রাসাচ্ছনে আরো জোটে সুপ্রাচীন চাঁদ, জল, আর খেরো খাতা।।”
ছায়াটি দীর্ঘতর হয়ে আছে কাছে, টের পাই
তার গাঢ় অস্তিত্ব; যখন অগ্নিজ্বরের দাবদাহে
শরীর ভিসুভিয়াসের মত ফুটন্ত- ছায়া রিক্ত-
চোখের উপর এসে পরে; পেলব স্পর্শানুভূতি
হয়, শিউরে উঠি, জীর্ণ শৈশব ফিরে আসে পথে
ধূপখোলার শু'নো কাঠালপাতা মোড়া বিরানির
অক্ষয়িষ্ণু ঘ্রাণ পাই, মগ্নরাত মধ্যভাগে থাকত তখন
শেষ পথিকের পদাংক এঁকে উনি নির্বিকার ছুটতেন-
সুঘ্রাণ নিয়ে আসলে অবাধ্য দ্রুতিতে গোগ্রাসে গিলতাম!
বাবার অফিস থেকে সন্ধ্যে নাগাদ দুজন লোক এসে কি বলতেই মা যেন কেমনধারা হয়ে কাছের চেয়ারটায় ধপ করে বসে পড়লেন। এই ছবিটায় না থাকলেও বাবা সম্পর্কিত এটাই আমার প্রথম স্মৃতি। পরের স্লটের দৃশ্যটায় দেখি ঐ লোক দুজনের সাথে মা, ভাই আর আমি শীতের রাতে একটা গাড়িতে করে ছুটে চলেছি কোথায়। কে একজন বলছে, আমরা বডি নিতে যাচ্ছি। আরেকজন ধমকে উঠে বলছে, আহ্, কিসব বল, এখনও কনফার্ম হয়নি তো। পাশের সিটে মা পাথরের মত মুখ
রাস্তার পাশে এক টং দোকানে সিগারেট কিনছিলাম। পাশে দাঁড়িয়ে আছে দু'জন খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের ঘর্মাক্ত শরীর আর ক্লান্ত চেহারাই বলে দিচ্ছে প্রতিদিনের শ্রমিক তারা। কিন্তু তাদের কথোপকথন কানে আসতেই একটু সতর্ক হলাম, তুলনামূলক অল্প বয়স্ক লোকটি বলছে_
প্রকৃতির শৃঙ্খলা টিকিয়ে রাখার জন্য মনুষ্য সমাজের স্বাভাবিক নিয়মগুলো মেনে চললে একদিন তোমার মুখ আমাকে দেখতেই হবে। তুমি ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে আমি তা জানি না । এটা নিয়ে আমার খুব একটা মাথা ব্যথাও নেই । আমি শুধু জানি তুমি হবে আমার অস্তিত্ব থেকে সৃষ্টি হওয়া আমারই পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর অংশ । তুমি হবে আমার স্নেহের, মমতার, আদরের, ভালবাসার সন্তান ।
কেপ ভার্দের এই উপকথাটির সঙ্গে মিল আছে আরো নানা দেশের উপকথার, যেখানেই পুরানো মত ও পথের সঙ্গে নতুন মত ও পথের সংঘাত হয়েছে, সেখানেই। কেপ ভার্দে দীর্ঘকাল ছিলো পর্তুগীজ উপনিবেশ।