আমাদের দেশের মানুষগুলো বড়ই অদ্ভূত প্রকৃতির। দেশের আনাচে-কানাচে, অলিতে-গলিতে নানা ধরণের অপরাধ সংগঠিত হয়, কোনটি ছোটখাট, কোনটি বা দেশকে নাড়িয়ে দেয়ার মত। যেসমস্ত অপরাধমূলক কর্মকান্ড দেশের সচেতন মহলের চিন্তাভাবনায় প্রবলভাবে নাড়া দেয়, সেইসব অপরাধের পেছনে দায়ী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীদের পক্ষে প্রায়সময়ই দেখা যায় আমাদের দেশের মানুষেরা সচেতন বা অবচেতনভাবে পক্ষপাতিত্ব করে। এসমস্ত পক্ষপাতিত্ব মাঝে মাঝে নির্লজ্জ্বতা
১.
জমিদার দর্শনে গিয়েছিলাম। তিনি কীর্তিপাশার কীর্তিমান জমিদার। মাথায় ধরাচূড়া নাই। চুলগুলো কাশফুল। ভেবেছিলাম—তাঁর চোখে থাকবে রাগ। ও মা, রাগ কোথায়—পুরা বেহাগ। একটু দাঁড়ালেন উঠে। গলাটা একটু কাঁপলও। বয়েস হয়েছে পঁচাশি। বললেন, এ বয়সে নিজেকে বাঙাল বলতেই ভালবাসি। আমরা শুনে হাসি। তিনি আমার বাঙাল জমিদার—তপন রায়চৌধুরী।
একটা গল্প লেখার অপচেষ্টা
গ্রামটা শান্ত আর শীতল। চারিদিকে ছায়া ঘেরা। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট্ট একটা খাল। খালটার দুপাশে সার সার নৌকা বাধাঁ। খালের গা ঘেষে ওদের বাড়ি। সারাদিন ছুটোছুটি, হুটেপুটি করেই মেয়েটার দিন কেটে যায়।খালের ওপাশটায় রয়েছে মেয়েটার পুতুল খেলার ঘর। বন্ধুদের নিয়ে সারাদিন ওঘরটায় মুনার কত যে আয়োজন! দিনগুলো যেন স্বপ্নের মত কেটে যায়।
আমাদের ডকিন্সখুড়ো একটা মাথাপাগলা লোক, সেটা সবাই জানে। ট্যাঙস ট্যাঙস কথা বলে। ধম্মকম্মের নাম শুনলেই তোপ দিয়ে উড়িয়ে যেতে চায়। এইসব বেয়াক্কেলে কাজের জন্য তার কপালে যে অনন্তকাল রৌরব নরক রয়েছে সে তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু সেসব বাদ্দিয়েও খুড়ো কয়েকটা বড় বড় বদবুদ্ধি প্রচার করে গেছেন। সেলফিশ জিন, এক্সটেন্ডেড ফিনোটাইপ এসব বইতে সেসব ফলাও করে লিখেওছেন। সেদিন আমার এক দোস্ত কইল, ‘ভাইরে, খুড়োর ভিডিও দেখি, কড়া কড়া কথা মজাই লাগে, কিন্তু কোনো বই তো পড়ি নাই! Am I missing something?’ তাই ভাবলেম, ডকিন্সখুড়োর প্রধান বৈজ্ঞানিক দুষ্টুবুদ্ধিগুলোর একটা ছোট আলোচনা করা যাক, হাজার হোক খুড়ো তো আসলে একজন জীববিজ্ঞানী!
[justify]
দা জূ অ্যাটাক
১/
সোমবারে ছুটি থাকলে খানিকটা বিপদে পড়তে হয়।
১
ভাড়া বাসার এক চিলতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে মেঝভাই হাত ঘুরিয়ে বোলিং কিভাবে করতে হয় দেখিয়ে দিলো। ওকে নকল করে ছুড়লাম জীবনের প্রথম বল, সিমেন্টের মেঝেতে পড়ে বলটা হয়ে গেলো লেগস্পিন। ক্রিকেট যেমনি খেলতাম, আমার করা বলগুলো আর সোজা হয়নি কখনো। জীবনে প্রথম কথা বলার কথা মনে নেই সংগত কারণেই, তবে বুঝতে শেখার পর থেকেই যদ্দুর মনে পড়ে কথাবার্তা বলি পেঁচিয়ে। মানে সিরিয়াস কথা বলার সময়ও একটু জোক করতে না পারলে পোষায় না, আশেপাশের মানুষ আমার কথার জালায় কতবার যে হাতের সুখ মিটাতে চেয়েছে কে জানে!
বিন্দু থেকেই সিন্ধু। অল্প অল্প করে পলি জমে জমে চর হয়ে যায়। ঠিক সেরকম বিবাহিত জীবনের ছোট ছোট খিটমিটগুলো, জমতে জমতে অসহ্য হয়ে যায়। বিয়ে নিয়ে কত গবেষণাই তো কত জনে করছেন, কিন্তু স্বামী একটুশখানি পড়তে বসলেই তাকে বিরক্ত করবার যে চিরন্তন মেয়েলি স্বভাব সে নিয়ে আজ অবধি তেমন গবেষণা চোখে পড়ে না।
হিটলার, মুসোলিনি, স্টালিন – এ্যারা তিনজনেই নাকি নোবেল শান্তি পুরস্কারের লাইগা মনোনয়ন পাইসিলো! এখানে দেখুন
হেদিন কলকাতার এক সিনিয়ার সাংবাদিক কাইতাসিলো সে নাকি মাদার তেরেসা আর মিশনারিস অফ চ্যারিটিস-রে ব্যক্তিগতভাবে পসন্দ করে না। আমি তো হুইনা অবাক – এ্যাদ্দিন তো জানতাম নেলসন ম্যান্ডেলা, মাদার তেরেসা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়ার, অং সান সু চি – এ্যাগো নোবেল সব তর্কাতর্কির উপরে। সেই সাংবাদিক কয় মিশনারিজ অফ চ্যারিটিস-এর নাকি ঝামেলা আসে।