ভোরবেলা দুধ দিতে এসে দুধ-ওয়ালা কথাটা রাষ্ট্র করলো।
বেদেরা এসেছে নাকি শহরে।
উর্মির মা নাশতার টেবিলে খবরটা দিলেন উর্মির বাবাকে।
উর্মির বাবা শহরের পুলিশের বড়কর্তা। হাঁই তুলতে তুলতে বললেন, ‘তাই নাকি? খোঁজ করে দেখতে হয় তাহলে। দরজা-জানালা গুলো ভালো করে দিয়ে রেখো, ওগুলোকে কোনো বিশ্বাস নেই, সব চোর-ছ্যাঁচোড়ের দল।'
১
কানের ভেতরটা পুড়ে গেল তাহমিনার। বেশ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে হাসান। সে এই তিক্ত কণ্ঠ শুনতে পায়নি। হাসানের বাবার পায়ের থেকে হাত গুটিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায় তাহমিনা। চাপদাড়িঅলা বিশাল শরীরের প্রৌঢ় মানুষটার চোখ তীব্র লাল। রক্ত ছুটে বেরিয়ে আসবে যেন। ক্রোধ, হতাশা আর তিক্ত ঘৃণাভরা দৃষ্টিতে হাসানের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।
১. তিনি এখন মিডিয়াসৃষ্ট জনপ্রিয়তার ফাঁপা রঙিন ফানুসের বাসিন্দা।
২. একটা সুদখোরের জন্য তার কলমের কালি ব্যাবহৃত হতে পারে। কিন্তু এ ক্রান্তিকালে জাতীয় সম্পদের রক্ষার জন্য তিনি কলমের ঢাকনা খুলছেন না!
৩. তিনি বামপন্থী আন্দোলন পছন্দ করেন না।
৪. তিনি হরতাল সমর্থন করেন না।
৫. তেল-গ্যাস পাচার/রক্ষা বিষয়ে তিনি মৌন।
ব্লগগুলোর মধ্যে আমি সর্বপ্রথম লেখা দিই সচলে। অন্যান্য ব্লগগুলোতে ঘুরে দেখেছি সেখানে নানান তরিকার লেখার মধ্যে জিহাদের জোশে জোশপ্রাপ্তদের লেখাও ছাপা হয়, ছাপা হয় চরম ধর্মান্ধ লেখা - আমার বিবমিষা হয়েছে। সবার অনেকরকম ছাড়পত্র থাকতেই পারে (জামাত-শিবির-রাজাকার ছাড়া) কিন্ত আমার নিজ দায়বদ্ধতার জায়গাটুকু ধরে রাখার অধিকারের সাথে আমিইবা আপোষ করবো কেন?
একবার চোখ বুজে ভাবো দেখি সিনটা
রাস্তায় যানজট নাই পুরো দিনটা
হুট-হাট রাতে আর হচ্ছিনা অন্ধ
লোডশেডিং এর দৌড় একেবারে বন্ধ ।
উৎকোচ ঘুষ দিতে হবে না আর কিছুতে
থেমে যাবে ভাঙচুর ছোট ছোট ইস্যুতে ।
দলে দলে কোন্দল হানাহানি ধ্বংস
এই সব কাজে কেউ নিচ্ছেন অংশ ।
মানবতা প্রতি প্রাণে তাই সবে ব্যস্ত
কল্যাণ কাজে লোকে এক মনে ন্যস্ত ।
অসহায় দুস্থের সেবা হবে লক্ষ্য
এক,
বাঁ হাতে এগোলেই আরেকটা গলি। দাঁড়িয়ে একটু দম নেয় রঞ্জু। হাতের কাগজটায় লেখা বাড়ির নাম্বারটা আরো একবার দেখে নেয়, ৭৭/সি। অসীম ধৈর্য্য রঞ্জুর। প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিট ধরে বাড়িটা সে খুঁজছে। গলি তস্য গলি ঘুরে ঘুরে পায়ে ব্যাথা ধরে গেছে। সেগুনবাগিচা এলাকাটিতে সে তার জন্মের পর আজ প্রথম এসেছে। জীবনের ছাব্বিশ বছরে তার এই এলাকাটিতে আসবার প্রয়োজন পড়েনি। অথচ ঢাকায় জন্ম- বড় হয়েছে রঞ্জু। ঢাকার কিছু কিছু জায়গার নাম শুনলেও খাবি খেতে হয় রঞ্জুকে, জীবনে নামটাও শোনেনি! অবশ্য মুখে কখনো প্রকাশ করেনা সে তার এই অজ্ঞানতার কথা। যদিও বা মাঝে মাঝে বন্ধুদের আড্ডায় বা কোনও কারণে মুখ ফষ্কে কিছু বের হয়েই যায়, তখন গলার রগ ফুলিয়ে ঝগড়া করে, ‘দুনিয়ার সব জিনিস চিনতেই হবে, সব জায়গার নাম মুখস্ত করে রাখতে হবে এমন নিয়ম করা আছে নাকি সংবিধানে?’ যতই রগ ফোলাক রঞ্জু, মনে মনে একটু খিঁচে থাকে ঠিকি নিজের অনেক অজ্ঞানতায়। আজকে যেমন ঢাকা শহরের মধ্যে অসংখ্যবার শোনা জায়গাটায় এসে খাবি খাচ্ছে ঠিকানা খুঁজে বের করতে।
তুমিঃ রাত ফুরুতেই স্বপ্নটা ভেংগে গেল, জানালার পাশে এসে দাড়ালো ভোর।
আমিঃ রাত হচ্ছে আমার স্বপ্নসংগীনি, রাতের সাথেই আমার জেগে থাকা।
তুমিঃ কাল ভোরে শিশির এর উপর যখন হাঁটতে ছিলাম, তুমি আমায় এমন করে জড়িয়ে ছিলে কেন?
আমিঃ এখানে ঝিঁঝি পোকার অত্যাচার নেই, আমার কথাগুলু অদ্ভূত নিরবতায় হারিয়ে যায়।
তেল-গ্যাস ইস্যুতে ভেবছিলাম "এগনোস্টিক" এর অবস্থানে থাকবো কিন্তু আমার এক বন্ধুর সাথে কালকে রাতে কথা বলার পর থেকে আমার অবস্থানকে নতুন করে ভেবে দেখার প্রয়জোন পড়লো। ভাবার পরে ফলাফল টা হল আমি নিজেকে কোনভাবেই "এগনোস্টিক" বলতে পারছি না। কিন্তু কেন?
মাঝে মাঝে নানারকম ভাবনা মাথায় ঘুরপাক খায়, কিন্তু ভাবনাগুলোর ঠিক আগা মাথা পাই না। মাঝে মাঝে ভাবনাগুলো লিখে ফেলতে ইচ্ছে করে, কিন্তু আমার ভাবনাগুলোকে ধরার মত ভাষা ঠিক খুজে পাই না। লেখালেখিতে আমার বিস্তর দূরবলতা আছে, কিন্তু ভাবাভাবি তো বিরাম মানে না, আর এই লেখার দূরবলতার জন্যে অনেক এলোমেলো ভাবনা হারিয়ে যাচ্ছে। তাতে কারও কোন ক্ষতি হয়ত হচ্ছে না, কিন্তু মাঝে মাঝে কি আর নিজের এলোমেলো ভাবনাগুলোকে জমিয়
নিশিকবি অদ্য
ভাবিতেছে সদ্য।
তৈরীতো হয়নি
কবিতার বয়নি।
তবুও ভাবখানা
আল্লাদে আটখানা।
কলমের নিবখানি
ভাবে রাজরাণি।
করিবে প্রসব
কাব্যের রসদ।