অর্থহীন হলেও একটা সতর্কতা থাকলো না-হয়:
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
…
৪
[এ পর্যায়ে এসে ক্রাইটন কিছুটা বিরক্তই হলেন। তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন জিনিসটা কোনদিকে যাচ্ছিলো।]
[ডক্টর গেলারকে] "আপনি কি বলতে চান? Do you think that I, uh, want to have sex with her?"
গেলার: "আমি জানি না। তুমি আমাকে বলো।"
"না। আমি চাই না।"
"তাহলে তোমার চিন্তার কি আছে?"
"আমি চিন্তিত না তো কিছু নিয়ে।"
"তুমি মাত্র আমাকে বললে তুমি নিশ্চিত না তুমি ওকে সামলাতে পারবে কি না।"
তিন পর্বের শেষ পর্বটি আজ দিলাম। মাথা থেকে একটি বোঝা নেমে গেল মনে হচ্ছে। অনুবাদ করা অনেক কষ্টকর আর সেটা যদি হয় এরকম টেকনিকাল সায়েন্টিফিক আর্টিকেল তাহলে তো কথাই নেই। তার উপরে আমার অনুবাদের আড়ষ্টতা ব্যাপারটাকে আরো কঠিন করে তুলেছিল আমার জন্য। আর কথা না বাড়াই।
প্রথম পর্ব: সমুদ্রবক্ষের মাটির উৎস : পর্ব ১
দ্বিতীয় পর্ব: সমুদ্রবক্ষের মাটির উৎস : পর্ব ২
আগের পর্ব হতে: মিড ওশান রিজের বিপুল পরিমাণ লাভা মাত্র পাঁচ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি অংশ হতে সমুদ্রতলে উঠে আসে। ভূকম্পন সার্ভে, যা কঠিন ও গলিত পাথর আলাদাভাবে সনাক্ত করতে পারে, দ্বারা দেখা যায় যে মেল্ট প্রায় ১০০ কিলোমিটার গভীরতা ও কয়েকশত কিলোমিটার প্রশস্ত একটি এলাকা জুড়ে বিদ্যমান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে এই বিপুল পরিমাণ লাভা আগ্নেয়গিরির সরু নালা দিয়ে সমুদ্রতলে উঠে আসে?
সাহস হয় না তবুও বলি— তোকে বন্ধু ভাবলেই
ভোগদৃশ্যের ভেতর জেগে ওঠে এক চোখের জরা
গোপনে অন্য চোখের সমর্পণ, আহা টাঙানো নিয়ম
শূন্যদিনে খুব কাছে জেগে ওঠা সর্বপরিচিত ঋণসহ
বিবশ-করা দেহের পুরনো বিশ্বাস
চোখের স্বভাবে চারপাশ ঘুমিয়ে পড়ে মধ্যরাতের আগে
অনিচ্ছাগুলো অন্ধঘরে ক্রমশ ধ্বস্ত করে শিয়রে দাঁড়ায়
আমি কেবল লুকিয়ে রাখছি ভাবঘুম, মাদুলীশব্দ আর
ইতিহাসে অনার্স পাশ করে টানা দুইবছর ধরে বেকার ছিলাম। শখানেক দরখাস্ত ফেলেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত অনেক ধরাধরি করে একটা ফার্নিচার কোম্পানিতে কেরানীর কাজ জোগাড় করলাম। দায়িত্ব হল কাঠের সাপ্লাইয়ের হিসাব রাখা। পোস্টিং একদমই অজানা-অচেনা এক গ্রামে। বেঈমান শহুরে জীবনের পাছায় লাথি মেরে চলে আসলাম।
কেমন আছি আমরা?
কেমন চলছে আমাদের সবকিছু?
কেমন আছে আমাদের দেশ?
উত্তর একটিই: ভালো নেই।
স্বাধীন দেশের মানুষ হয়েও নিজ ভূমিতে পরাধীন আমরা। স্বাধীনতার পর থেকে আত্তয়ামী লীগ-বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টি-সামরিক সরকার দ্বারা আমরা নির্যাতিত। প্রতিদিন এত এত খারাপ সংবাদ শুনতে শুনতে ক্লান্ত আমি-আমরা।
দিনগুলো এখন আর আমাকে সময় দেয়না ।ব্যস্ত সময়,সারাদিন কাজের মাঝে ডুবে থাকতে থাকতে নিজেকেই ভুলে যাই মাঝে মাঝে । হাতের ঘড়িটার সাথেই এখন সমস্ত প্রেম চলে, কখনো নড়চড় করা যায়না ওটার বেরসিক আব্দারকে । দিনশেষে তাই যখন নিজের জন্য মিনিট কয়েক সময় বের করি, হাঁটতে বের হই। ল্যাম্পপোস্ট এর মৃদু আলোয় দুনিয়াটাকে অনেক আপন মনে হয়। সাদা স্বপ্নগুলোকে নিয়ে খেলতে থাকি মনের ভেতর।
আজ এই রাতে তমসা ছেঁয়েছে চারিদিকে। যেন আঁধারে গ্রাস করেছে ধরণী।তথাপি বিশাল আকাশের বুকে আধ-খানি চাঁদ ম্রিয়মান অস্তিত্ত্বে বিরাজমান।যেন কোন সম্ভবনার জানান দেয় সে।
সব চলে গিয়েছে ঘুমের দেশে।ঘুমপরীরা তাদের নিয়ে যায় স্বপ্নের দেশে।হাজারো স্বপ্নের সমারোহ।লাল নীল স্বপ্নেরা ভীড় করে তাতে।
[justify]১
চিত্র ১:
১৭৬৯। হাইতি। এখানে মাটির রঙ আলকাতরা-কালো, তারচে' বেশি কালো এই ফসলি জমির শ্রমিকদের গায়ের রঙ। ওরা ৪৪ জন। একটানা কাজ করছে সেই উষা থেকে, যখন সূর্যের-ও চোখ খুলে নি, আর এখন সূর্যের ঘুমিয়ে পড়ার সময়। পাক্কা ১২ ঘণ্টা। শ্বাপদের মতো সর্তক চোখে তাকিয়ে আছে শ্বেতাঙ্গ মনিব। কাজে একটু এদিক ওদিক হলে চাবুকের বাড়ি, গরম শিকের ছ্যাঁকা। ওরা কাজ করে যায়, মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে উঠলে উঁকিঝুঁকি মারে আশপাশে, দ্রুত লয়ে কথা বলে। ওরা কাজ করে যায়। নিয়তি। মানুষের অপমান। ঈশ্বরের নিস্পৃহতা। ওরা কাজ করে যায়। মার খায়। মরে যায়। বংশানুক্রমিক। হয়তো দিনের শেষে এক টুকরো রুটি ও জল মিলবে, ভাগ্য ভালো হলে মাংশ লেগে থাকা হাড়, সবজি-ভাজা। আর নিশাচর পাখির মতন থেকে থেকে ভেঙে যাওয়া ঘুম।