একবার এমিরাটসের ফ্লাইটে একা যাচ্ছি। আমি আলাপী, আড্ডাবাজ মানুষ। নতুন কাউকে পেলে আলাপ জমানোর জন্য জিহবা সুড়সুড় করে। কিন্তু আমার পাশের সীটে বসেছেন খুব ই গম্ভীর এক মহিলা। কোথায় যাবেন, কার কাছে যাবেন এইসব জিজ্ঞেস করে যুত করতে না পেরে মুভি দেখতে লেগে গেলাম। মাঝখানে একবার খেয়াল করলাম উনি টয়লেট থেকে ঘুরে এলেন। এর পাঁচ মিনিট পর উনি খুব উত্তেজিত ভাবে আমেকে ধাক্কা দিয়ে বললেন ‘ঐ যে নীল টি-শার্ট পরা লোক, সে খুব লাকি’।
গদি থেকে নামিস যখন
জনগণের ব্ন্ধু তখন,
দেশের জন্য দু'চোখ বেয়ে
গড়িয়ে পড়ে জল
ঢের ঠকেছি, এবার বলি
ছল সবইরে ছল-
খারাপ কাটুক দেশের দিনটা
তোদের কেবল একটা চিন্তা
গদি এবং গদি পেলেই
তোরা সবাই লাট বাহাদুর
অন্য সবাই তুচ্ছ নেহাত
মশা, মাছি, ইঁদুর, বাদুড়-
সারাজীবন এইতো হলো
তোরা খেলি, ওরাও খেলো
আমরা কেবল দেশের মানুষ
দেশের সাথে পচে মরি
তোরা ওরা গদি নিয়ে
করিস পাছা মারামারি-
লক্ষ্মীপুরের মেয়র আবু তাহের ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জন্মের আগে থেকে এই রাজনীতিতে যোগদানের সুযোগ থাকলে তিনি সুযোগ মিস করতেন না। কিন্তু তার ছেলে এএইচএম বিপ্লবের কেসটি আলাদা। জন্মের আগে থেকেই সে আওয়ামী লীগ করছে। তার রাজনৈতিক ত্যাগ তিতিক্ষা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নাই তার বাবার। আবু তাহের একজন গর্বিত বাবা।
রাজধানী শহরে,
বেড়েই চলেছে তারা
সুবিশাল বহরে;
নালিশ জানাবা কারে?
ভেবে তবে কহ রে!
ইস্কুলবেলার গল্প করা হয় না কতদিন! সেই যে কিন্ডারগার্টেনের ঘর জুড়ে বিছানাপাতা ক্লাস, দুপুরের টিফিন আর খেলার পরে ঘুমের ক্লাস, এই গল্প করতে করতে হাত থেকে সুতো উড়ে গেছে বাতাসে। সেই সুতোটায় আটকানো লালনীল ঘুড়িগুলো এখন ভেসে বেড়াচ্ছে ছুটির বিকেলের আকাশে। এখন কী করে নামাই তাদের, এতখানি শূন্য পাড়ি দিয়ে কেমন করে ধরে আনি?
খাতামুন্নবুয়্যত জিনিসটাই যতো ভেজাল পাঁকাইছে, নাইলে আজ হিটলারের গোঁফ নিয়াও ক্যাচাল করন যাইতো। ছোটোবেলার এক বড়ো ভাই কইতো, মুহাম্মদের পরে কেউ নবী হওনের সিস্টেম থাকলে এডলফ হিটলারও নবী হইতো। লোকটা যে লাখ লাখ ইহুদিরে গ্যাস চেম্বারে দিছে, তার জন্যই সে মুসলমানের নবী হওনের যোগ্য। ছোটো বেলায় অল্প অল্প বুঝেছিলাম - হিটলার বড়ো ভালো লোকই হইবো; তয় একটু বড়ো হইয়া এক্কেরে অবুঝ হইয়া গেলাম, নবী-রাসূলের সংবিধানে ইহুদি
ভোর পাঁচটায় ঘুম ভেঙে গেলে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলাম, বাইরে টিপ টিপ বৃষ্টি। শুনেছি জুনের এসময়টাতে ভূটানে বৃষ্টি হয় প্রচুর। ঠাণ্ডাও থাকে। ভূটান এমনিতেই ঠাণ্ডা, পারো আর থিম্পুতে যে হোটেলে ছিলাম কোনোটাতেই এসি তো দূরের কথা ফ্যানও ছিলো না। গরম ঠিক না লাগলেও ভেতরে কেমন যেন একটা গুমোট মতো ভাব। টিপ টিপ বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বাতাস মন্দ লাগছিলো না আমার।
সূত্রধর!
ওহে নিরালা মানুষ, ঘরের আঁচলে খুদকুটো জমেছে যা,
তার সব নৈবদ্য জ্ঞানে পূজা করলেই দেখবে পূজারী মন
বেহালায় সংগত; সেইসাথে আলাপ জুড়ে দিতে একটা
মিঠেকাড়া মন্দিরা দূরাগত বাঁশীটাকে টেনে নেবে যখন -
তখন তুমি চাইলে একটা হারমোনিকা খঞ্জনির বোলে
যে গাইবেনা তার দিব্যি তোমাকে কে দিয়েছে কবে?
বাজো! গ্রহন লাগা ঘনঘোর নিশ্চিত জলের দেখা পাবে,
তারপর সাধিত গলায় জটাধর বিবাগী তুমি গেয়ে উঠলে -
সকালে উঠেই ফেসবুকে ঢু মারি। চারিদিকে সুখী আমেজ। জি.দাসের পেজে 'লাইক' দেয়া আছে। উৎকৃষ্ট কোটেশন গুলা তুলে নিয়ে আসে। চট করে পড়ে নিয়ে আরেকবার দায়সারা 'লাইক' দেই। বন্ধুবান্ধবদের কারও মন খারাপ, কেউ চমৎকার সব ছবি তুলে সবার সাথে ভাগ করে নিচ্ছে, ভেতরে একটু হিংসা ভাব চাড়া দিয়ে উঠলেও তা দমিয়ে লাইক বোতাম খুঁজি দ্রুত।
সচল পরিবারের স্বনামে স্বীকৃত একজন হয়ে আজ আমার প্রথম লেখা।