হাজার কথার এক শক্ত বাঁধন
যাচ্ছে খুলে শত অজানা ঝড়ে
সূতোর ওপার থেকে মারো তুমি টান
স্বপ্ন-বাসর তাই বড়ো নড়বড়ে
ঐ দারুচিনি দ্বীপটা যাচ্ছে সরে।।
যাই না এখন আর রূপকথা দেশে
মেঘের ভেলায় চড়ে রাজার বেশে
জমাট আঁধার মেঘ দিগন্ত নীড়ে
আমি চেনাপথে অচেনা থাকছি পড়ে।।
অদেখা তোমার রূপ সন্দেহ ছবি
গড়ছে মনের ভুল হৃদয় কবি
বাসর রচনা যেন ধূ ধূ প্রান্তরে
তুমি নিশিদিন অধরা জনম ভরে।।
[justify]নগর পরিবহনের আর জনপথগুলোর অবস্থা বেহাল কি সুহাল তা নির্নয় করা আমার লেখার উদ্দেশ্য নয়। এই নগরে চলতে গিয়ে আমার কি হাল হয়েছে তাই বিবেচনায় আনতে চেষ্টা করব। এ নগরটা বড়ই আজিব, তারচেয়ে আজিব এই নগরের মানুষগুলা। এরা প্রতিনিয়ত আমারই মত কসরত করে যাচ্ছেন কিন্তু এদের কোন ক্লান্তি নাই। রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে, মাইলের পর মাইল হেটে, রিক্সা, বাস, সিএনজি, ক্যাবের পেছনে ছুটেও এনারা
তুমি চলে গেলে
আরো খানিকটা নির্জন দিন পাবো
নিভৃত আঁধারে মসৃণ সুরে সত্ত্বাকে গড়ে নেব
সানাই বাজছে। বড় বড় সাউন্ড বক্স বসানো হয়েছে বাড়ির সিঁড়িত, ছাদে, লনে। এত জোরে শব্দ হচ্ছে আশেপাশের সব বাড়িগুলোর মানুষ আজকের রাতে ঘুমাতে পারবেনা জানি। এটাও জানি, কেউ কিছু মনে করবেনা। আজকে এটা বিয়ে বাড়ি, আমার বিয়ের আয়োজন চলছে এখানে।
কিসে যেন রেগে গেলে... তার মানে
হারানো কান্নাও হতে পারে গোপনে
আরো তিন-তিনটি বছর পর...
সবই বুঝি মৃদু ত্রুটি কাঁচা মাংশের ঘ্রাণে
ওই মুখ! ‘বর্ণিত হবার লোভে’ লাজুক বাগানে
মনে ও বনে
এসব ঘটনাপ্রবাহ কুড়ি বছর পর কবিকে চেনে
শেষ দিবসে আমি যখন কিছু কথা জমিয়ে রাখি
কাঁধেপিঠে ধূলির নগরে
কাঁপা হাতের আড়াল থেকে সর্বস্ব দাও
১.
ব্যাকরণ অস্বীকার করলাম আজ আবার! আজ
অস্বীকার করলাম মানুষের হাতে তৈরি হওয়া সকল অভিধান; আজ থেকে
-সকল ধরাবাঁধা উপপাদ্য, গণিত, জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি, নাম-ধাম, আচার-বিচার, ক্ষেত্রফল-রসকদম্ব- যোগ-বিয়োগ- গুণ-ভাগ, হরাইজন্টাল-মরাইজন্টাল, তত্ত্ব-তালাশ, কাঁটাতার-ব্যারিকেড;
এমনকি যাবতীয় রাক্ষস-খুক্ষস-দৈত্য-দানো-ভুত-পেত্নী-হুর-পরি, জহরত-মহরত, ইশারা-ইঙ্গিত, শান-শওকত;
সময় নদীর পাড়ে দাড়িয়ে অদ্ভতসব ভাবনা ঘিরে ধরে। কতো দীর্ঘ সময় মানুষেরা হেটেছে। সেই কেনিয়ার ওমা নদীর তীর থেকে ভারতের শিপ্রানদী হয়ে মেঘনার অববাহিকায়। প্রায় ২০ লাখ বছরের পরিভ্রমণ। এগুলো ভাবলে এক ধরনের আচ্ছন্নতা ঘিরে রাখে। সেই ঘোরে আমি শীতলক্ষ্যা হয়ে পদ্মামেঘনার সঙ্গমস্থলের দিকে যেতে থাকি। ক্রমশ এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে উপনীত হই। গভীরভাবে তাকানোর চেষ্টা করি জীবন ও জগতের দিকে।
[justify]রোবায়েত ফেরদৌস
প্রিয় পাঠক, আপনারা জানেন বাংলাদেশে গেলো কয়েক বছরে সড়ক দুর্ঘটনা জ্যামিতিক হারে বেড়েছে। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা হারাচ্ছি প্রিয়জনদের। একটি মৃত্যু একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না। কোনো কোনো মৃত্যু পুরো দেশের জন্যই অপূরণীয় ক্ষতি। গত ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, বাংলাদেশের আধুনিক সম্প্রচার সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ মিশুক মুনীরসহ পাঁচ জন নিহত হন। এর আগে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০ জন শিশু নিহত হয়।
১.
তারেক মাসুদের মৃত্যুর পর সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রত্রপত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। টেলিভিশনে প্রচুর কথা বলা হয়েছে। ঘরে বাইরে অফিসে আদালতে বাসে কারে পার্কে ফুটপাতে ফুচকা চায়ের দোকানে, কথা-কথা। প্রচুর শব্দ ব্যবহৃত হয়ে গেছে। যারা দেশসমাজভাবনায় বিভোর, তাঁরা বোধকরি কলম ঘষে কলাম লিখতে গিয়ে সবচেয়ে বেশী সবচেয়ে ভারসম্পন্ন কথাগুলো বলে ফেলেছেন।