আমার ছোটো মেয়ে প্রজ্ঞা পারমিতাকে একটানা এগার বার বছর গল্প বলছি। বলতে বলতে আমার স্টক শেষ। এখন যেটাই বলি--সেটা ও আগেই শুনে ফেলেছে। এত নতুন গল্প বলি কি করে?
কাল রাতে আবার বলতে হল আরেকটা পুরনো গল্পই।
পান্তা বুড়ির গপ্প
--------------
বুড়ি রোজ হাড়িতে পান্তা করে রাখে। পরদিন খায়। কিন্তু এক চোর এসে পান্তাগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। গল্পটা এখান থেকে।
বুড়ি বলল, এখন কি করি?
একটা যুদ্ধের নিশান দিয়ে ঘরমোছার কাজে হাত লাগানোর পর
আমি এবং অন্য অনেকে
পৃথিবীটাকে দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যেতে দেখেছি।
অনেক গর্ভবতী তাদের গর্ভের সন্তানটির যোদ্ধৃবেশ কল্পনা করে
শিউরে উঠে এবং মসজিদে মাজারে মোমবাতি দেয়ার হিড়িক পড়ে যায়।
বীর্যবান পুরুষ যারা,
জুয়োর আসরে হাত পাকাচ্ছে তারা।
আধ খাওয়া সিগারেটের শ্বাস টেনে নিতে নিতে ভবঘুরের দল
এক অলৌকিক ধর্ষণের স্বপ্ন দেখে,
ঘন নরম ঘাসের চারিদিকে গাছের সংসার
তৈরি করে দৃশ্য, ভোরের ফেনায় ভেজা রোদ্দুর
মেঘেরা স্নান করে কালো চুলের বিছানো পথে
সূর্যকে কাছাকাছি টেনে এনে বন্দী করে প্রেম
তরুণ ফলের চোখে ধরা দেয় উষ্ণ অক্ষর ...
যেমন হাহাকার করে মানুষ তার শৈশবকে ফিরে পেতে, জীবনের আর কোন সময়ের জন্য কি করে? আধো-আধো বোলে, হাঁটিহাঁটি পায়ে দুনিয়ার তাবৎ বাঁদরামি-গুণ্ডামি-ষণ্ডামি করে অতঃপর “থাক মেরো না, নেহায়েত ছোট মানুষ” নীতির আওতায় সাতখুন মাফ! ‘দুঃখ’, ‘কষ্ট’, ‘শোক’ ঘরানার শব্দই যার অভিধানে নেই, জগতে তার চেয়ে সুখী আর কে! যান্ত্রিকতার এই ‘কর্পোরেট’ নিষ্পেষণে চিঁড়ে-চ্যাপটা হতে হতে হঠাৎ হঠাৎই আজকাল মনে পড়ে ফেলে আসা সেই দিনগুলি। আহা, কী সুখেই না ছিলাম! সে জীবন তো আর ফিরে পাব না কোনদিন!
ছুটির দিনে নীল আর সবুজ সারাটা দিন একসাথেই কাটায়। সমস্যা হয় স্কুল থাকলে। নার্সারির ক্লাস কতক্ষণই বা হয়! বড়জোর দুই কি তিন ঘণ্টা। এই সময়টাতে সবুজ একলা হয়ে পড়ে। তার তখন কিছুই ভালো লাগে না, শুধু বাইরে যেতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে লাটাই হাতে ছুটে ছুটে ঘুড়ি ওড়াতে। ঝুপ করে পুকুরে পড়ে ডুব সাঁতার কেটে সামনে গিয়ে কাউকে চমকে দিতে মন চায়। কিন্তু এখানে কি আর সেসব আছে!
[justify]রাষ্ট্রের নামগুলো প্রথম প্রথম এক লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতো। আদ্যক্ষর অনুযায়ী। তারপর হিসাব পাল্টায়। গোত্রবিভাজন জরুরী হয়ে পড়ে। ধনী দেশ, দরিদ্র দেশ। উন্নত দেশ, উন্নয়নশীল দেশ। জি এইট, নন-জি এইট। পরে সবকিছু আরো সরাসরি করা হয়। সফল রাষ্ট্র, ব্যর্থ রাষ্ট্র।
বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে ‘সাদ’ (অথবা কাছাকাছি উচ্চারন) নামে একটা অনুষ্ঠানের চল আছে। প্রেগন্যান্সির সাত মাসে পড়লে অথবা সাত মাস পূর্ন হলে এটা করা হয়। হবু মাকে মজার মজার খাবার খাওয়ানো, উপহার দেয়া,নবজাতকের যত্নআত্নি বিষয়ে পরামর্শ দেয়া ইত্যাদি মিলিয়ে ঘরোয়া সুন্দর একটা অনুষ্ঠান।(আমাদের চিরায়ত রীতিনীতি, আচার অনুষ্ঠানগুলো মেয়েদের গুরুত্ব দেয়, সম্মান দেয়। মোল্লারা ধর্মের নামে আজব কিছু জিনিস আমদানি করে সমাজে মেয়েদের অবস্থান নড়বড়ে করে দিয়েছে...)
সবে ক্লাশ নাইনে উত্তরন,ঠিক হয়নি তখনও কে কোন বিভাগ নিবে,এ নিয়ে চাপা উত্তেজনা সকল মনে...এরই মধ্যে অন্য এক ঢেউ ক্লাশজুড়ে আলোড়ন তুললো! তরঙ্গ নির্মাতা যথারীতি বাদল স্যার। ছোটবড়মাঝারি যেকোন উপলক্ষ পেলেই যিনি সাতঁরাতে ভভালবাসেন! ঘটনা এই, এক ঢাকাইয়া বালিকা ভর্তি হয়েছে আমাদের ক্লাশে,ভারতেশ্বরী হোমস ছিল যার পূর্ববর্তী স্কুল!