চুপটি করে ঘরে বসে,
লেপের নীচেই আরাম লাগে।
চোখ বুঁজে আজ অন্ধকারেই
জগৎটাকে রঙিন লাগে।
কাজ আর ঘরের ব্যবধান ঠিক পাঁচ মিনিট
ঠিক সাড়ে তিন মিনিটে একটি সিগ্রেট পুড়ে
ফেলা যায়; অথচ যে পথ দিয়ে প্রতিদিন ঘরে
ফিরি; পথের ধুলো পা জড়িয়ে-প্যাঁচিয়ে থাকে
ধুলোর ঘ্রাণে ভরে উঠে ড্রয়িংরুম, চায়ের কাপ
শাদাজামার ভাঁজে লেগে থাকে ছাইপোড়া ঘ্রাণ
লো সিয়েন্তো সেনিওরা।মাদ্রিদের বুড়িমা
- সুমাদ্রি শেখর।
ইউরোপে গ্রীষ্মের বড়ই কদর। কেন? ওমা, জাননা বুঝি, ঐ মহাদেশটা প্রায় সারাটা বছর শীত আর ইলশে গুড়ি বৃষ্টির হাতে নাকাল হয় যে! গরমের কটা দিন এসেই তো ওর বুকে ফুল ফোটায়।
ঈশ্বর সপ্তাহে একদিন ছুটি কাটাইয়া থাকেন। বাকি ছয়দিন হুলুস্থুলু অফিস করেন। সারা ব্রহ্মাণ্ডের কার্যাদি সাধন করিয়া বেড়াইতে হয়। কোন ছায়াপথে কোন নক্ষত্রকে ঘিরিয়া কোন গ্রহ লাট খাইতে খাইতে নিজের উপগ্রহসমূহকে ঘুরাইয়া মারিবে, তাহা পদে পদে নির্ধারণ করিয়া দেন। কোন ব্যাং কোন দাদুরীর সহিত সঙ্গম করিয়া কোন পাতার নিচে ডিম্ব পাহারায় নিযুক্ত হইবে, তাহাও তাকেই বাছিয়া দিতে হয়। পান হইতে চুন খসিলেই সব আউলাইয়া যাইবে।
ঘাস ছিলো সবুজে মাখামাখি
উজ্জ্বল আলোর কিছু জোনাকি
বন্ধুরা ছিলো চারিদিক ঘিরে
বিস্ময়ের রাত্রি ঘুরেফিরে
[justify]
১
ইদানিং আবারো ডুবে আছি পিঙ্ক প্লয়েডে। মূলত High Hopes গানটিতে। উপরের লাইনগুলো গানটি থেকে অনুপ্রেরণায় লেখা। কেবলি স্মৃতিকাতুরে করে তুলছে। এর-ও আগের সপ্তাহসমূহে ডুবে ছিলাম জ্যাজ সংগীতে। মূলত জ্যাজ সিন্দাবাদের ভূতের মতো
দেশে এখন অনলাইনে কেনাকাটা করা যাছে, অনেক তথ্যবহুল ওয়েবসাইট তৈরি হছে, তরুনেরা তথ্যপ্রযুক্তির কল্যানে অর্থনীতির বিকাশে অবদান রাখতে পারছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাচ্ছে দেশের আনাচে-কানাচে। শিক্ষার হার বাড়ছে। মৃত্যুহার কমছে। এটিএম বুথ বসানো হচ্ছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। এগুলো আশার কথা, ভালো লক্ষণ। আমরা কি তবে উন্নতির পথে চলেছি? নাহ, উপরের কয়েকটি আশার কথা ছাড়া বাকি পুরো দৃশ্যপট অন্ধকার! '
পৃথিবীতে আজকাল যে দুটি শব্দের জয়জয়কার তা হল যোগাযোগ আর তথ্যপ্রযুক্তি । প্রায় সাত বিলিয়ন মানুষ আর আরও হাজার কোটি প্রাণীর একমাত্র আবাসস্থল এই বিশাল পৃথিবীটাকে এই দুটো শব্দ যেন খুব ছোট করে ফেলেছে। এখন আমাদের বেশি অপেক্ষা করতে হয়না, ইন্টারনেট নামক এক মহা জালের সাহায্যে নিমিষেই আমাদের প্রিয়জনদের কণ্ঠ শুনতে পারি , দেখতে পারি তাদের। একবিংশ শতাব্দীতে তাই সবচেয়ে বড় শক্তি তথ্য।
‘সংসারের টুকি-টাকি’ বইটা হন্যে হয়ে খুঁজছে সোনালী।
খুব কাজের বই। এতে বলা আছে ধনে পাতা ফ্রিজে কি করে তাজা রাখতে হয়, জামায় হলুদ ভরলে কি করে সে দাগ ওঠাতে হয়, আলমারিতে পুরনো জামদানী কি করে নতুনের মতো রাখতে হয়...
সোনালী খুঁজছে ন্যাপথালিনের গুণ বর্ণনাকারী পাতাটা।
হ্যাপি বার্থডে সবুজ পাতা
১
চোখ থেকে ঝরছিল শিশির…..
মাতৃ জরায়ু হতে নামহীন সবুজ পাতা ।
প্রথমে আমরাই তাদের ডাকলাম
কাউকে কেনারাম
কাউকে খেলারাম
কাউকে ভোলারাম বলে
[বইয়ের তাক গোছাতে গিয়ে হঠাৎ অনেক পুরনো একটা লেখার খাতা চোখে পড়ল। দেখলাম তাতে প্রায় একুশ বছর আগের অপ্রকাশিত বেশ কিছু লেখা রয়েছে। তারই একটি এখানে তুলে দিলাম। ভাল লাগলে অন্যগুলোও দেব।]
‘তের হয়েছে তো কী হয়েছে?’
রীতিমত চেঁচিয়ে উঠল আকাশ। ‘এক মিনিট দোস্ত’ বলে আমি দ্রুত হাতে টেবিলের গ্লাসটা সরিয়ে ফেলি। আকাশের মতি-গতি ভালোই জানা আছে আমার। রেগে গেলেই ও কাছাকাছি টেবিলের ওপর ঝালটা ঝাড়ে। ও সত্যি সত্যি দশাসই এক কিল মেরে দিল টেবিলে। ভাগ্যিস গ্লাসটা তুলেছিলাম!
‘যাবি কি না বল!’
রাগ কিছুটা কমে এসেছে ওর। সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছে।