আমার এখন বৃষ্টিও আর ভাল্লাগে না
গ্রীষ্মরাতে ঝুম বৃষ্টি মন টানেনা
তোমার আশায় অষ্টপ্রহর কষ্ট পেতে ভাল্লাগে না, ভাল্লাগে না।
তোমার স্মৃতি অষ্টপ্রহর আমায় কেন জাগিয়ে রাখে?
আটপৌরে দুপুর-বিকাল বিষণ্ণতায় ভরিয়ে রাখে,
তোমার মত গন্ধগুলো কষ্টপ্রহর বানিয়ে রাখে।
বৃষ্টি এলেই জমাট বাঁধা কষ্টগুলো কাদার মত নরম হয়ে -
আবার শুকায়, জমাট বাঁধে আবার যখন, অন্য কোন আকৃতি পায়।
শহীদজননী বলেছিলেন,
“[i]আবেগপ্রবণ জাতি হিসেবে আমাদের একটা মহাত্রুটি রয়েছে। আমরা ইতিহাস তৈরি করি কিন্ত তা রক্ষার জোরালো তাগিত আমাদের নেই। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে ইতিহাসই একটি জাতির পরিচয়, ইতিহাসই একটি জাতির বিকাশের অনুপ্রেরণা। ...
ইউনিভার্সিটি জীবনের তিন বছর শেষ করে চার বছরে পা দিলাম, কিন্তু আজকের আগে কখনো 'ডি ইউ' বিখ্যাত লাল বাসগুলোতে চরা হয়নি। আজকে আমার ভাইয়ের বদৌলতে এই অভিজ্ঞতাটা হল, আর বুঝলাম, জীবনের এক বিশাল মজা থেকে এতদিন নিজেকে বঞ্চিত করেছিলাম। এই অসাধারণ অভিজ্ঞতাটা ছাড়াই যদি আমার ভার্সিটি জীবনটা শেষ হয়ে যেত, তাহলে এই আফসোস করার মত সুযোগও মনে হয় পেতাম না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে রিকসায় করে এনে দিয়ে গেছে মেযেটাকে একটা ছেলে । ছেলেটা মেয়েটার কেউনা। রাস্তায় পড়ে ছিল মেয়েটা। শত শত পথচারির কারো সময় হয়নি রাস্তায় পড়ে থাকা মেয়েটাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে । যে যার মত করে কেটে পড়েছে। বাসটা চাপা দিয়ে চলে যাবার পর বিশ মিনিট পড়ে ছিল মেয়েটা রাস্তায়। কেউ ধরেনি। সবাই ভেবেছিল মরে গেছে। তাই হয়ত গায়ে পড়ে কেউ ঝামেলায় যেতে চায়নি। ঠিক এমন সময়ই
প্রিয় বন্ধু মিশুক মুনীর নেই! নেই বন্ধু তারেক মাসুদও! সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে অসামান্য মেধাবী দুজনকেই। আমার প্রজন্মের এই দুজন মানুষ তাদের মেধা আর যোগ্যতায় চলচ্চিত্র এবং ইলেক্ট্রনিক জার্নালিজমে যুক্ত করেছিল নতুন নতুন মাত্রা। দেশ আর দেশের মানুষকে অনেক দিয়েছে তারা। আরো অনেক দেবার ছিলো তাদের। কিন্তু বাংলাদেশের সড়কপথে ওঁত পেতে থাকা ঘাতক কেড়ে নিয়েছে তাদের দুজনকেই, অকালে।
১.
মোহাম্মদ আলী স্যারকে আমরা সার্কিটপাগল মানুষ হিসেবেই জানি। দীর্ঘদিন ধরে জটিল এবং ভয়ঙ্করদর্শন সব সার্কিটের নাড়িনক্ষত্র বের করা শেখানো এই আপাতগম্ভীর মানুষটিও যে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে ভাবেন এবং ভাবতে ভালোবাসেন- তার পরিচয় আমরা পাই, বাংলাদেশ যেদিন ওয়েস্ট-ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫৮ রানে অলআউট হয়, তার পরদিন। পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাসের স্বাভাবিক প্রথা ভেঙে স্যার নিজেই সেদিন আমাদের সাথে ক্রিকেট নিয়ে জম্পেশ আড্ডা দিতে শুরু করেন। স্যার সেদিন মজা করে বলছিলেন, বাংলাদেশের ছেলেদের ক্রিকেট খেলাই ঠিক নয়। ক্রিকেটের জন্য দরকার জার্মানদের মত ফিটনেস আর অসিদের মত কুলনেস, যার কোনোটাই বাংলাদেশি ছেলেদের নেই। বড় দুঃখ থেকে স্যার এই কথাগুলো বলেছিলেন-সন্দেহ নেই। আমরা অবাক হয়েছিলাম এই দেখে যে সারাজীবন সিংগেল থাকা এই মানুষটাও সাকিব, তামিম আর মুশফিকদের নিয়ে আমাদের চেয়ে এতোটুকু কম ভাবেন না।
[justify]ফ্ল্যাশব্যাক :
“কোথায় থেকে যে বুদ্ধি মাথায় এলো আমি ওর আঙুলটা নিয়ে নিজের মুখে ঢুকিয়ে দিলাম। তারপর...”
…………………………………………………………….. :
তারপর... আর কি, এভাবেই আমার প্রথম বারের মতো ধর্ম ধর্ষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল।