১.
একজন অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম। চট্টগ্রামের মেডিক্যাল সেন্টার। রোগীর জ্বর বেশী, গলায় কফ জমে গেছে, গায়ে লাল র্যাশ উঠে গেছে। ক্লিনিকে নেবার পর তাকে সরাসরি HDU নামক অতি যত্নশীল একটা চেম্বারে ঢুকিয়ে দরোজা বন্ধ করে দিল। ওখানে কারো ঢোকা নিষেধ। একদিন পর রোগ আরো বেড়ে যায়। এরপর একের পর এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আসে, বোর্ড বসে, নতুন ওষুধ দেয়, তিনদিন এই অবস্থা চলার পর রোগীর শেষ নিঃশ্বাসটা যখন বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে তখন রোগীকে একটা আইসিইউ এম্বুলেন্সে করে সোজা ঢাকার একটা বড় হাসপাতালে নেয়া হয় রাতের মধ্যে। প্রায় শেষ অবস্থায় পৌঁছে যাওয়া রোগী জীবন ফিরে পায় আবার।
যে মানুষ ব্যর্থতার স্বাদ কখনো পায় নি---সে এক অপূর্ণাঙ্গ মানুষ
পথ চলতে গিয়ে আছড়ে পড়েনি যে
সে কী করে বুঝবে ধুলো ঝেড়ে ফেলে আবার উঠে দাঁড়ানোর মাহাত্ম্য--
অপ্রত্যাশিত জন্ম নয়, তাই বোধয় বেড়ে উঠায় আয়োজনের ত্রুটি ছিলনা কোথাও। পূর্ন স্বাধীন আর মুক্তমন তৈরির যাবতিয় চর্চার সুযোগ সেই ছোট্টটি থেকেই পাওয়া । আরও অনেকের মতোই ভুল প্রথম প্রেম এবং সঠিক সময়েই সম্মানজনক বিচ্ছেদ। জীবনের এইপর্যন্তকে আমি দীঘিযাপন হিসেবে চিহ্ণিত করি।
চল্লিশ বছরেরও কিছু বেশি সময় ধরে দেখছি, ধীরে ধীরে কখনওবা অতি দ্রুতই অনেক কিছুই কেমন যেন পাল্টে গেল!
কয়েকদিন আগে স্যার যখন বায়োইনফরমেটিক্স ক্লাস এ কৌলিতত্ত্ব শব্দটা বললেন আমি খুব অবাক হয়েছিলাম।একবছর ধরে আমি যেই বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করছি তার বাংলা প্রতিশব্দ জানিনা ভেবে একটু লজ্জাও লাগছিলো।ওইদিন স্যার যখন জেনেটিক্স( এখানে বলে রাখা ভাল যে কৌলিতত্ত্ব হচ্ছে জেনেটিক্স এর বাংলা প্রতিশব্দ)এর বাংলা জানতে চেয়েছিলেন তখন আর সবার মত আমিও জিনতত্ত্বই বলেছিলাম।একবার ও মনে হয়নি যে জিন শব্দটাও তো ইংরেজি,এটারও কোন বাংলা অর্থ থাকতে পারে।আসলে এতবছর থেকে এই শব্দটাই শুনে আসছি বলে হয়ত আসল বাংলা প্রতিশব্দ জানার কৌতূহলও কখন হয়নি।
জাফর ইকবাল স্যার প্রায়ই বলেন যে তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় হচ্ছে যখন তাঁর বাচ্চারা ছোট ছিল। আমার বন্ধু শিবাজীর বাচ্চা হওয়ার পর থেকে সে জীবনের সার্থকতা নিয়ে রেগুলার নতুন নতুন ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছে। আমাকে আমার ওয়াইফ এখনো মাঝে মাঝে বলে, “বাবুর জন্ম হওয়ার আগ পর্যন্ততো তুমি সহজে কাউকে বলতে চাইতে না। মনে হয় লজ্জা পেতে। কিন্তু বাবু জন্মানোর পর মহা আনন্দে সবাইকে ফোন করেছ, এলাকার আত্মীয়-পরিচিত সব
স্থির বর্ষণে মিশ্র রং ছড়িয়ে শুয়ে আছে টুকরো টুকরো আলো, ভোরের জানালা গলে অবসন্ন বাতাসেরা ঢুকে পড়ে, যেন সেদিনের প্রথম কুজন, সাথে তার জল বাঁধা মেঘ । মনে পড়ে সাত বর্ণের ঝালর উড়িয়ে পরিনত শুয়োপোকারা উড়েছিল কোন নদীতীরে, জল ছুঁয়েছিল মেঘের নুপুর পথ-নদী-স্রোত শালিখের ডানা । কৃষ্ণচূড়ার পথ করে নেয়া বিকেলে ঝরেছিল আসন্ন বর্ষার টুপটাপ অশ্রুকণা, সেও কবেকার কথা ~ সেই নদী বয়ে গেছে সবুজ উঠোন ঘেসে যেন তার সুগভীর বুকে রোদের মোহনা এঁকে । সেখানে শহর শেষে পদ্মগন্ধ ভাসে দৃশ্যত আনমনা বাতাসে । যতটানা স্বপ্নের আসা যাওয়া তারো অধিক আয়োজনে আত্মিক যাতায়াতে সমাজ বিবর্জিত কয়েকজনের বেহিসেবী উচ্ছলতায় মধ্যাকাশে মাঝরাত ছিল তারায় পরিপূর্ন ।
চমক হাসান। যার নেই কোন তুলনা! বুয়েট থেকে পাশ বের হয়েছে বেশ কিছুদিন হলো। তার সাথে প্রথম পরিচয় হয় আমার গত ফেবরুয়ারীতে। ভিন্নধর্মী এক গণিত প্রকাশনা উৎসবে "পাইয়ের মান" নিয়ে পুঁথি পড়ছিলো সে। গণিতের মতোন কঠিন একটি বিষয় এতো মজা করে বলা আর তাছাড়া পুঁথির নাম অনেক শুনেছিলাম...জীবনে প্রথম সেদিনই শোনা ভিন্নধর্মী এই পুঁথি পাঠ! অসাধারণ কন্ঠ এই ছেলেটির...
[justify]বাবার কোনো স্মৃতি নেই আমার। ছোট্ট বাচ্চাদের খেলনা রোবট কিংবা বহুমুখী ট্যাবলেট থাকে, আমার সেইসব-ও ছিলো না, আমি বড় হয়েছি কেবল সংখ্যার শূন্যতার ভেতরে, শ্রোডিঙ্গারের বেড়ালের অস্তিত্ব-অনস্তিত্বকে সঙ্গী করে! মা আমাকে খুব সূক্ষ্মভাবে পরিচালিত করে বড় করেছে, আমি এখন ভেবে ভেবে বের করতে পারি।
সেদিন সকালে গুলশান ১ এর KFC-র পাশের গলিতে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে নিখুঁত মেয়েটার পাশ কাটালাম।