[justify]যারা জগা খিচুড়ির প্রথম দুই পর্ব পড়েছেন, তারা ইতোমধ্যেই জেনে গেছেন এই খিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ। সুতরাং সামনে এগুনোর আগে সাবধান! তবে কিনা অশ্লীলতার সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। আমার নিজের কাছে যে কোন ধরনের ফ্লপ রসিকতাকে অশ্লীল মনে হয়। যেটা শুনে হাসি আসবে সেটা আবার অশ্লীল হবে কেন?
অফিস থেকে বের হয়েই মনটা হাল্কা হয়ে গেল। অদ্ভূত সুন্দর ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। কদিন ধরেই কিছুটা গরম পড়ছিল। গ্রীষ্মকাল আসেনি এখনও। যদিও এই শহরের আবহাওয়াটা প্রায় সব ঋতুতেই গুমোট থাকে আজকাল। কিন্তু আজ তার উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। আর্দ্র স্নিগ্ধ বাতাস মুহূর্তেই ভুলিয়ে দিল দিনভর পরিশ্রমের কথা।
১. (উৎসর্গ: সুমন তুরহান)
অভিমানী হতে পারি, প্রতারক নই -
আলো নেই, কি করে সালোক-সংশ্লেষিত হই?
যান্ত্রিক পৃথিবীতে একরত্তি পিদিমের কতটুকু ঠাই -
তবুওতো আধপোড়া সলতের সুখ, প্রাণপণ জ্বলে যাই।
চাহিদার উপসংহার নেই, নেই দাড়ি, কমা, যতিচিহ্ন
কতদূর দিতে পারি? সুবিশাল আকাংখায়, সামর্থ্য সামান্য;
সব ধুপ শেষ হয়ে যায়, মৃদু হয় সবটুকু শ্বাস -
ফিরিয়ে দিতে পারো শেষ সহজ হাসি, সর্বশেষ উচ্ছ্বাস?
সর্পিল পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে গাড়ী ছুটে চলেছে আফ্রিকা মহাদেশের সর্ব দক্ষিণের প্রান্তবিন্দু কেপ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে, কেপ পয়েন্ট থেকেই নাকি আটলান্টিক মহাসাগর আর ভারত মহাসাগরের মিলন স্থল দেখা যাবে, দুই বিপুল জলরাশির মিলনস্থলে চলছে প্রতিনিয়ত এক বিশাল কর্মযজ্ঞ, দুই স্রোতের জলের রঙটাও আলাদা, যেমন আলাদা লাগে পদ্মা- মেঘনার মিলনস্থলে, এখানে শুধু আরও অনেক ব্যপক আকারে।
আমি অন্তঃস্বত্তা এটা কাউকে জানানোর পর দুটো প্রশ্ন শুনতে হতো অবধারিতভাবে।
এক- ছেলে নাকি মেয়ে জানো? ছেলে চাও না মেয়ে চাও? আমার উত্তর ছিলো ‘আমার কাছে ছেলে মেয়ে সব সমান। ছেলেও যদি হয় মেয়ের মতো আদর যত্ন দিয়েই বড় করবো’!
দুই- সিজারিয়ান করাবে নাকি নরম্যাল ডেলিভারি?
বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরুর সময় একটা ভিডিও দেখে মন জুড়িয়ে গিয়েছিলো। বিউটিফুল বাংলাদেশঃ দি স্কুল অব লাইফ।
টিপিক্যাল প্রবাসী বাংলাদেশিদের মত আমিও নিয়ম করে ক’দিন পর পর ছিচকাঁদুনে গীত গাই, দেশের জন্যে আহা উহু করি। সেই আহা উহুর মাত্রা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছিল সেই ভিডিওটা। ভিডিওটির পরিবেশনা, বলাই বাহুল্য চমৎকার ছিলো, আমাদের দেশের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। দেশের মানুষদের সরলতা দেখে মনে হয়েছিলো, আহা, সত্যিই তো, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি। ফেইসবুক আর ইউটিউবে ভেসে বেড়িয়েছে বেশ কিছুদিন এই ভিডিওটা।
দুদিন হলো আরেকটা ভিডিও ভাসছে এখন ফেইসবুকে, এবং ইউটিউবে। ভুল ব্যাকরণে এই ভিডিওটির টাইটেল দেয়া- মিলন কিলিং। গতকাল সকালে উঠে পত্রিকা পড়ে ইতিমধ্যেই মিলনের ঘটনাটা জেনে গেছি, জেনে হতভম্ব হয়ে গেছি। মানুষের নিষ্ঠুরতায় বিহবল হয়ে পড়েছি। ফেইসবুকে অনেকের প্রোফাইলে শেয়ার দেয়া আছে মিলন হত্যার ভিডিওটা, কিন্তু এখনও সাহস করে একবারও দেখে উঠতে পারিনি সেটা, হয়তো পারবোও না।
স্টারবাক্স-এ কফি খেতে গিয়ে আগে একবার খুবই বেকুব হয়েছিলাম। অনার্য সঙ্গীতের ভাষায় বললে 'কুত্তামারা' কফি। ওদিকে অনেকগুলো টাকা বেরিয়ে গেছে সেই কফি কিনতে। এত বড় এক মগে দিয়েছে যে খাবো না গোসল করব সেটাই বুঝতে পারছি না। অর্ডারের সময় সাইজের অপশন ছিলো তিনটা। সবচেয়ে বাম দিকে লেখা 'tall' মানে লম্বা। তাই সেদিকে না গিয়ে, আমি সবচেয়ে ডান দিকের অপশনটা অর্ডার দিলাম। ভাবলাম ওদিকে নিশ্চই 'শর্ট' বা ছোটোখাটো টাইপ কিছু
মিলন নামের এই কিশোরটির দিকে যতোবার তাকাচ্ছি ততোবারই চোখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি। এক ধরনের মস্ত অপরাধবোধে আমি তার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছি না।
১. গত ১৭বছরের ইতিহাসে বারমুডায় খতরনাক খরা মৌসুম চলছে। বৃষ্টির দেখা নেই। অভিমানে মেঘ উড়ে উড়ে চলে যায়, বৃষ্টি হয়ে নামে না। উঁচু স্থানে বসবাসকারীদের সকলের পানির ট্যাংক প্রায় শূন্য। চাহিদা মেটাতে পারছেনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ। গরম অসহ্য। হঠাৎ চারিদিক অন্ধকার করে নেমে এলো বহু প্রতীক্ষিত সেই বৃষ্টি! এক নিমিষে সমস্ত গ্লানি, খেদ সব তাড়িয়ে নিয়ে চলে গেল অতলান্তিক সাগরের গভীরে।
পুলিশ তাদের গাড়ি থেকে একটা কিশোর অথবা তরুণকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো, চিৎকার করে বল্ল এরে মেরে পিটাও, এ হলো ডাকাত। বীর বাংগালের সকল বীরত্ব জেগে উঠলো, সে পিটাতে শুরু করলো, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো, পেটাতে পেটাতে যখন বুঝলো কাজ শেষ, তখন ক্ষান্ত দিলো। পুলিশ সেই লাশ উঠিয়ে নিয়ে চলে গেলো। কি অসাধারণ দৃশ্য। টিভিতে এটি দেখানো হয়েছে, পত্রিকার অনলাই এডিশনে ভিডিও ক্লিপটি জুড়ে দেয়া হয়েছে। এবং এজন্য দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এক দারোগা আর দুই সিপাহীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মাশাল্লাহ।