সেটা ছিল আমার পঞ্চম জন্মদিন, বড় চাচা আমার জন্য চারটা ছবি সহ রূপকথার বই কিনে আনলেন। ছুটির দুপুরে বারান্দায় বসে খুব কস্টে বানান করে করে বইগুলি পড়তাম। আমি ছিলাম বাবাদের ছয় ভাইদের যৌথ পরিবারের প্রথম সন্তান। দুপুরবেলা খাবার পর ছানাপোনাসহ আর সবাই যখন ঘুমাত, আমার কাজ ছিল আস্তে করে দরজা খুলে বাইরে চলে যাওয়া, না হলে রান্নাঘরের ভাতের হাঁড়ি থেকে ভাত নিয়ে কাঁক আর বিড়ালের মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা করা
অসন্তোষ
স্যাম সিলভা
[justify]
আম্মা কিসব চকলেট বিস্কুট কিনে এনে বাক্সটা র্যাপিং করে। বাক্সটা কিনে এনেছে কোন এক অনাথাশ্রমে দেবে বলে। সাঈফ নিচে নেমে খাবার ঘরের প্যাসেজে দাঁড়িয়ে। আম্মা তখনো ব্যস্ত র্যাপিং নিয়ে।
গোলাপ গোঁজা আম্মুজানের খোঁপায়
কন্যা দেখে বায়না ধরে, ফোঁপায়,
আমার কখন হচ্ছে অমন চুল?
গুঁজবো কবে রক্তজবার ফুল?
আব্বু যখন নেই থাকবেন বাড়ী,
পুত্র করে রেজর নাড়ানাড়ি,
আর ভাবে সে কখন হবে দাড়ি?
শেভটা করার বেজায় তাড়াতাড়ি!
এক.
তারপর আর কোন কথা বাকি থাকবেনা কোনদিন, তারপর নীরবতা থেকে গেছে পনেরো-আনা --
এক আনা মানুষ বুঝেছো - যতখানি অনুবাদ করেছো- তার বেশী প্রশ্রয় দেবোনা!!
(২৭.০৮.২০১১)
দুই.
ধরে রাখতে শিখিনি, নাকি জোর করলেই হতো?
নাকি অধিকার আদায় করে নিতে হয় নিজের মত---
এই “নিজের মত” বলেই বলে দিতে পারি এখনি-
মদের বোতলে মাতালের থাকে
মৃতু্যর উল্লাস,
ছিপি খোলা হলে সংকেতে জাগে
চিনে বাসনের লাশ।
বিবমিষাময় ক্লান্ত নগরে
রজনীর চুল যতো,
তারও চেয়ে ঢের গিলেছো পাঁচন
রমনদূতের মতো।
০৪. ফড়িং ও ঘুড়ি
ছোটবেলায় ফড়িং ধারা ও ঘুড়ি উড়ানো এদু’টি বিষয়েই মায়ের কড়া নিষেধ ছিল। আমাদের দু’ভাইয়ের প্রায় প্রতিটি সকালই বেপোরোয়া হ’য়ে উঠতো ঘুড়ি উড়ানো অথবা ফড়িং ধরার নেশায়। একটি টকটকে লাল অথবা গাঢ় বেগুনী রঙের ফড়িঙের পিছু পিছু ছুটতে ছুটতে কতো সকাল মধ্যাহ্নের কড়া নেড়েছে তার হিসাব নেই। স্কুল ছুটির পর সহপাঠিরা যখোন পোশাক ছেড়ে খেয়েদেয়ে লাঠিম অথবা গুলতির আড্ডায় মশগুল আমরা তখনো একটি লাল ফড়িঙের পিছু ছুটছি।
০।
এটা এই সিরিজের ১৩তম পর্ব। উপরের শিরোনামে ১৩ সংখাটা টাইপ করতে গিয়ে মনে পরল ছোটকালে এই সংখ্যাটা কে দারুণ ভয় পেতাম, অহেতুক। কারণ অবশ্য ছিল আশেপাশের সবার থেকে শোনা অদ্ভুত সব গল্প। স্কুলে একবার এক ছেলে দারুণ এক ভূতের গল্প বলে ঠিক ঠিক বিশ্বাস করিয়ে ফেলল যে ১৩ সংখ্যাটা ভূতড়ে সংখ্যা এবং অতি অবশ্যই শয়তানের প্রিয় সংখ্যা। কে কে আবার এরপর শুনে আসল কোন এক নামকরা হোটেলে নাকি ১৩ সংখ্যা দিয়ে কোন রুম নেই। সেটা আমরা সবাই সদলবলে বিশ্বাস করেছিলাম কারণ শয়তানের প্রিয় সংখ্যা দিয়ে রুম নাম্বার দেয়াতো আর বুদ্ধিমানের কাজ না।
সিলভা
- সুমাদ্রি শেখর।
সিলভার মুখে সেই তেজ আমি আর দেখতে পাইনা। ওকে দেখলে এখন ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া কোন কুটিরের কথা মনে পড়ে।
জীবনের ছয় ছয়টা বছর যেখানে কাটালাম, তা নিজের বাড়ির মতই হয়ে গেছে। তাই রেনেসাঁর এই গানটাই মনে পড়ে গেল ছবিগুলো কম্পাইল করার সময়।
সচলায়তনের অনেকেই হয়তো চিটাগং ইউনিভার্সিটিতে যাননি। আইয়ূন আঁরার লয় চিটাগং ইউনিভার্সিটি গান এককানা ঘুড়ি জন……………।