১.
আন্না হাজারে একজন অর্ধশিক্ষিত, স্থূল এবং সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি, ঠিক সেই রাজনীতিবিদদের মতনই যাদের প্রতিপক্ষ হিসাবে তাকে খাড়া করিয়েছে ভারতের কর্পরেট মিডিয়া এবং টিভিসৌখিন মধ্যবিত্ত। জ্বী, আমিও টিভিসৌখিন। কিন্তু, ন্যাটোর সাথে গাদ্দাফির ইঁদুরবিড়াল খেলা বাদ দিয়ে আন্না হাজারে ও তার স্যাঙাৎদের কাজকাম দেখছি। সুতরাং এই লিখা।
প্রায় সাত-আট মাস আগের কথা, তখন আমি একটা থানা হেলথ কমপ্লেক্সে কাজ করি । একিদন সকালবেলা আউটডোরে বসে রোগী দেখছি, এমন সময় সামনে এসে দাঁড়ালেন আমাদের সিস্টার-ইন-চার্জ, অঞ্জু দিদি । হাতে একটা ওষুধের ভায়াল ।
—দাদা, দেখেন তো, এইটা কি ইনজেকশন অ্যামক্সিসিলিন?
আমার ২মাস বয়সের পিচ্চিটাকে প্রায়ই প্রতিদিন এই গল্পটা বলে ঘুম পাড়ানোর (ব্যর্থ) চেস্টা করি। সচলের পাঠকদের জন্য গল্পটা হুবহু তুলে দিলাম:
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ভাগ্যিস আমাদের দুজনের দু’টি আলাদা অস্তিত্ব ছিলো
হয়তো সেজন্যই বিপন্নতার টানাপোড়নে
একে অন্যের জন্যে উদ্বিগ্ন হবার সুযোগ ছিল।
বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড, দেশের সাধারণ জনগনের মানবাধিকার এর বিষয়টিতে একটি বড়সড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে| দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা যা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ জনগনের নজরে এসেছে, তাতে আমাদের দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতা প্রসঙ্গে আরেকবার বেশ ভালো ভাবে বিবেচনা করার সময় এসেছে বলে মনে হয়| আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলতে দেশের পুলিশ ও রেপিড একশন ব্যাটালিয়ন (RAB) এর কার্যক্রম সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে| দেশের সাপ্রতিক কিছু ঘটনায় বর্তমানে দেশে পুলিশের কার্যক্রম তাদের অতীত ইতিহাসকে ছাড়িয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম পর্যায়ে অবলোকন করা গেছে| বাংলাদেশ যখন দুর্নীতির দায়ে বারংবার বিশ্বে এক নাম্বারে স্থান পাচ্ছিলো তখনও বিভিন্ন কমিটির রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করলে দেখা গেছে, দেশের সর্বচ্চো দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এই পুলিশ| তত্কালীন ক্ষমতাসীন সরকার পুলিশের ভাবমূর্তি বদলানোর জন্য তখন তাদের পোশাক পরিবর্তন করলেও এসব দুর্নীতির প্রশ্নে ছিলো চুপ, কোনো ধরনের কমিটির মাধ্যমে এই অভিযোগ গুলো যাচাই করার নুন্যতম প্রচেষ্টাও দেখা যায়নি| পোশাক বদল হলে কি হবে, পোশাক যে পরিধান করছে সে অপরিবর্তনীয় থাকায় যেই লাউ, সেই কদুই থেকে গেছে|
হারিয়ে ফেলার বেদনা আমাদের সবার আছে, একেক রকম চেহারায়। কিন্তু আছেই! কতকিছুই হারিয়ে ফেলি আমরা। ছোট্টবেলার প্রিয় খেলনা, ভালোলাগার বই থেকে শুরু করে প্রিয়তম বন্ধুটি পর্যন্ত এই হারানোর তালিকায় থাকে।
[justify]
আমি একটা ভাষাই মোটামুটি জানি। সেটা যে কোন ভাষা - আর বিশদে না বললেও চলে। বহু বছর ধরে চেষ্টা করেও ইংরেজি ভালো মতো আর শিখে ওঠা হয় নি। এর অন্যতম প্রধান একটা কারণ মনে হয় আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা। স্কুলে খন্দকার স্যার পিলে চমকানো সব বাগধারা ইংরেজিতে অনুবাদ করতে দিতেন। যেমন - চোরের মন পুলিশ পুলিশ। ভেবেচিন্তে বন্ধু জুনায়েদ লিখলো - থিফ'স মাইন্ড পোলিস পোলিস। অবধারিতভাবে গাঁট্টা নেমে এলো মাথার উপর। মাত্র চার ফুট দশ ইঞ্চি হাইটের খন্দকার স্যার মাথার ছয় ইঞ্চি উপর থেকে এমন দুর্দমনীয় গাঁট্টা কীভাবে মারতেন সেটা আজও ভেবে বার করতে পারিনি। অনেক মারপিটের পরে শিখলাম – দ্য পেশেন্ট হ্যাড ডাইড বিফোর দ্য ডক্টর কেইম। এই বিদ্যা প্রয়োগ করার মতো পরিস্থিতি আজও তৈরি হয় নি। আমার চেনা-জানা সব্বাই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েই ফিরে এসেছেন, আশা রাখি ভবিষ্যতেও আসবেন।
চিত্ত যেথা ভয়শূন্য। খুব লোভ হল কথাটা পরে। ভেবে ঠিক বের করতে পারলাম না জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে কোন দিনটা নির্ভয়ে কাটিয়েছি। নাহ, আসলেই পারলাম না। মাতৃগর্ভের টান ছেড়ে ভূগর্ভের টানে যখন ঘুম ভাঙল তখন হয়ত খুব অচেনা লেগেছিল পূবের আলোটা, নিজের অস্তিত্ব নিয়ে নিজেই হয়ত দ্বিধায় পরে গিয়েছিলাম। নিশ্চয়ই ভয় হচ্ছিল এই ভেবে যে এখানে আমার কাজ কি, এত বড় ধরণীতে আমার সৃষ্টির রহস্যটাই বা কি। কিন্তু আমি ঠিকই বুঝে নিল
০২. ফিঙে ও শঙ্খচিল
সূর্য উঠার আগেই ঘর্মাক্ত শরীরে বিছানা ছাড়ি প্রতিদিন। বসন্তকাল, নরোম বাতাস, মাঠে বিশাল সবুজের সমারোহ। কৃষকরা আগাছা নিড়ানীতে ব্যস্ত। খেতের আলে ছড়িয়ে থাকা খুঁটিগুলোতে পুচ্ছ দুলাচ্ছে ফিঙেরা। সজাগ দৃষ্টি; ঠোঁটে ঘাস ফড়িঙের লালসা।