দেলওয়ার কাকা। শুধু বড়দের কাছে শুনেছি- ছেলেবেলার এইসব জটিল সামাজিক টানাপোড়েনে দেলওয়ার কাকা একটু আধা পাগলা হয়ে গিয়েছিলেন। সমাজের উপর বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ ছিল না। বিয়ে করেছিলেন আর বিয়ের পর এক এক করে তিন কন্যার জন্ম দিলেও এক ধরনের সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার নেশাটা তার একটুও কমেনি। মেয়েরা বড় হলে তিনি গো ধরলেন তিনি নিজে তাদের শিক্ষা দেবেন। কোন বিদ্যালয়ে তাদের পাঠাবেন না। এই নিয়ে কাকীর সাথে প্রতি রাতেই
[justify]জড়োতা বলে যে জটবাঁধানো জবড়জং ব্যাপারস্যাপার আছে বস্তুর ক্ষেত্রে তা আমরা কম বেশি সবাই জানি। পদার্থের জন্মদোষে দুষ্ট এই গুণটা হলো, বস্তু অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ হয়ে যে অবস্থায় আছে, নিতান্ত বাধ্য বা বাধাপ্রাপ্ত না হলে সেই সুব্যবস্থার কোনো দুরবস্থা করতে চায় না নিজে থেকে। অর্থাৎ যা স্থির আছে সে খামাখা কখনো অস্থির হবে না। যে ঘোরার উপরে আছে, বলপ্রয়োগ সাপেক্ষে ঘোর না কাটানো পর্যন্ত সে বেঘোরেই ঘুরতে থাকবে। এরকম সুলিখিত সংবিধান পড়েছিলাম বিজ্ঞান বিষয়ে স্কুল-কলেজ-এমনকি ভার্সিটিতেও। কিন্তু এই জড়োতার উল্টোপিঠেও আর এক জড়োতা আছে, যাকে বলে কোনো কিছু না করার বা আলসেমির জড়োতা। আর এইটা এখন আমার দৈনন্দিন জীবনজুড়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। পরম শূন্য উষ্ণতার মতো যদি পরম শূন্য জড়োতা বলে কিছু থেকে থাকে তবে আমি নিশ্চিত, তা এখন আমকে জাপটিয়ে জড়িয়ে রেখেছে। আমার এই লেখাতেও অবধারিতভাবে সবাই বৈচিত্র্যহীন জড়োতার বিচিত্র সব উপকরণ রয়েছে যা বিষম বিরক্তির উদ্রেক কোনোরূপ জড়োতা ছাড়াই করতে পারে।
উইকিমতে আমাদের দেশের এ মূহুর্তে সম্প্রচাররত টিভি চ্যানেল মোট ২০টি ১। আমার জানামতে আরও বেশ অনেকগুলো চ্যানেল সম্প্রচার শুরু করবার বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। নানান স্বাদের নাটক, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ছাড়াও এই টিভি চ্যানেলগুলোর বিশেষ আকর্ষণ সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত সংবাদ আর টক-শো। টক-শো বা সংবাদ-প্রচারের সর্বোচ্চ টাইম-স্লটের দিক থেকে বিবেচনায় আমাদের ব্রডকাস্ট মিডিয়া একেবারে