ব্যাকরণের ক্লাসে এসে
রিতা আপা বলে,
এক নিয়মে সকল পড়া
কেমন করে চলে?
বাবা অসম্ভব মজা করে কথা বলে। যে শুনে সেই হাসে। হাসতে হাসতে পেট ফুলে যায়। আমাদের বাড়িতে যেই আসে সেই বলে, বাবার মতো মজার মানুষ কোনদিন সে দেখেনি। বাবা এতো চমৎকার সব কৌতুক জানে, মুখ এমন ভেংচি কাটতে পারে, না দেখলে না শুনলে কেউ সেটা বিশ্বাস করবে না কিংবা বুঝতে পারবে না।
ধলপহরের উজ্জল কমলারঙা সূর্যরশ্মির প্রখরতায় আঁধার ক্রমশ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে যাত্রাপথ থেকে, আলোর বন্যায় ভাসছে চারিদিক, গাড়ির শক্তিশালী ইঞ্জিনের আওয়াজ এড়িয়ে কানে আসছে পাখ-পাখালির জেগে ওঠার আভাস, জেগে উঠছে একে একে আমার সহযাত্রীরাও।
নিরালা দুপুর কাঁদে ঝমঝম বৃষ্টির ধারায়
ভেজা কাক কাঁপে কদমের ডালে, দমকা হাওয়ায়
সুসবুজ পাতার অন্তরে বেঁধে সূচালো বৃষ্টির শর
ঠিক আট বছর আগের এমনই দুপুর বেলা
চলে গেছে সে কাঁপিয়ে এই মগ্ন চরাচর।
খুব বেশি স্মৃতিচিহ্ন রাখিনি এ ঘরে
তবু দিনরাত বেসামাল বেশুমার
মাকড়সার জালের মতো অজান্তে উঠছে বেড়ে
ছাদের পলেস্তারায়, দেয়ালে দেয়ালে সবই
নিরুদ্দেশ দিবসের সেই স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি।
খুব নিশীথে জলের তিয়াস পেলে
হাতড়ে ফিরি তীব্র কালাহারি
বরফ শীতল জলের গেলাস ফেলে
শুয়েই থাকি বিষণ্ন বিচ্ছিরি
সে অনেককাল আগের কথা।
পুরানো আমল।
সেই আমলে ফ্রাঁমানি নামে এক দেশ ছিলো। ডিউক শ্যাজাঁ ডি'কান, নাহিউকা প্রভিন্সের শাসক, আমাদের এই কাহিনির দ্বিতীয় প্রধান চরিত্র। প্রথমজন? সে সময়মতো এসে পড়বে, চিন্তা নাই। তবে সে ঠিক মানুষ নয়, এই যা।
কাশ্যপ মুনির দুই পত্নী। একজন দিতি: দৈত্যমাতা; অপরজন অদিতি: দেবমাতা। দেবমাতা অদিতি অধিকতর রূপবতী। দিতি গুণবতী বটে, তবে স্বর্গলোকে রূপই আসল। সেহেতু অদিতির পুত্রদিগকে মর্ত্যলোক দেবতা হিসাবে শ্রদ্ধা, পূজা, ইত্যাদি করিয়া মাথায় করিয়া রাখে। দিতির পুত্রদিগকে বলা হয় দৈত্য, তাহাদের প্রতি মানবকূলের অপরিসীম ঘৃণা। কাশ্যপের এক পুত্র কাশ্যপেয়— উহাকে মর্ত্যলোকে মানবজাতি সূর্যদেব আখ্যায়িত করে। দেবহেতু বোঝা স
সর্বনাশে কথা ভাবতে-ভাবতে জিভে বিঁধে
যাচ্ছে দাঁত, কাউকে বলি নি হঠাৎ বোধে
বোধের পূর্ণমাত্রা গুটিয়ে নিচ্ছো একা হৃদে
হৃদয়ের পূর্ণতাও দুলছে ভেজা ভেজা রোদে
যেমন, সে-ও দাঁড়িয়েছে দ্বিধাহৃতচোখে; ক্ষুরধার
আশায় দোলছে পরশখানি, বুকে বহিতেছে ঝড়
সরে যাবে বললে দ্বিধাও হাসে, নিকটে দাঁড়াবার
আগে কীভাবে বলি— টানিয়া তোলো দেহাঙ্গীকার…
বহুদিন ইনিয়ে-বিনিয়ে বলছি কথা, দয়ার আশায়
অনেকেই সঙ্গীত ব্যাপারটাকে একটা নেহাতই তামাশা বলে ঠাউরান। নইলে অন্য যেকোন বিষয়ে অনধিকারীগণ অনভিপ্রেত মন্তব্য করলে বিদগ্ধ-সমাজ তেড়ে মারতে যান; কিন্তু গান-বাজনার ব্যাপারে দেখি এক আশ্চর্য গা সওয়া ভাব। এ ব্যাপারে যে কেউ তার বালখিল্য মতামত সুধীসমাজে পেশ করবার অধিকারী!