পাকা রাস্তার পাশেই স্কুল। বাজার থেকে একটু দূরে। দোতলা বিল্ডিং। সামনে বিশাল মাঠ। মাঠে অবশ্য খেলা হয় না। ভাড়া দেওয়া। সপ্তাহে দুইদিন হাট বসে। স্কুলে মোট চারজন শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক খুব একটা ক্লাস নিতে পারেন না। যেদিন ঢোকেন, সারা স্কুলে খবর হয়ে যায়। বের হওয়ার সময় বলেন, একটু ওষুধ দিয়ে গেলাম। যখন লাগবে আবার আসব।
আমার বাবার শখ পূরন করতে ভর্তি হয়েছিলাম ইংরেজি বিভাগে। কি শিখেছি, কেন শিখেছি, কতটুকু শিখছি তা নিয়ে আমার প্রচুর সংশয় আছে । তবে চিটাগাং ইউনিভার্সিটির সেশন জটের কল্যাণে চার বছরের কোর্স ছয় বছরে শেষ করাতে ছাত্র অবস্থায়ই বেশ চাকরি টাকরি করার অভিজ্ঞতা হয়ে যায়।
২৫ আগস্ট, ২০১১
সন্ধ্যা হয়েছে, মাঠ থেকে খেলে মাত্রই হোস্টেলের রুমে ঢুকেছি দেখলাম মুঠোফোন বাজছে, কিছুটা বিরক্তি নিয়েই অপরিচিত নাম্বারটা ধরলাম, ওপাশ থেকে লোকাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচিত এক অফিসারের গলা শোনা গেলো, কেমন আছি, কিরকম চলছে এই বৃত্তান্তের ধকল কাটিয়ে চিন্তা করছি কখন আসল কথায় আসবে, তখনি বলে উঠলেন, আমাদের এখানে তিনজন ইলিগ্যাল ইমিগ্রান্ট ধরা পড়েছে, তারা নাকি বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তার উপরে তিনজনই নারী, তাদের ভাষা এখানে কেও বুঝতে পারছেনা, তাই পুলিশ কাজ এগোতে পারছেনা, লোকাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচিত হলাম আমি, তাই আমাকে বললেন সাথে যেতে, ভাষা বুঝে তাদের তদন্তে সাহায্য করতে হবে| আমি ভাবলাম ভাষা বোঝা না হয় হলো, কিন্তু দেশের বাইরে এসে পুলিশের ঝামেলায় না জড়ালেই হলো| সাত পাঁচ ভেবে বলে দিলাম পরের দিন সকালে চলে যাবো অফিসে| রাতে জিনিসটা নিয়ে কয়েকবার ভেবেও এটা মাথায় এলোনা, দেশ থেকে এত দূরে ভারতের উত্তরপ্রদেশে মেয়েগুলো এলো কি করে???
এটা বরেন্দ্র ভূমি, প্রাচীন ইতিহাস।
আর এই বুঝি বেদম মতিহার ঃ এক
দঙ্গল পা, সবুজ গালিচা বেছানো চত্বর
হেঁটে আসছে, আমিন হাদী নূরুল দীনু বুলবুল।
শিশির মাড়িয়ে আসছে, মুক্তি মিতা লীনা বেবী বেলা
আর মুন। আমাদের পলাতকা যৌবন। সকালের স্বর্ণময়
সূর্য কিরণ উদ্ভাসিত করছে এই তারুণ্যের শহর, ধীরে
ধীরে জাগ্রত হচ্ছে এক আমলকী বয়স। খুলে গেছে রবীন্দ্র
কলাভবন, নজরুল উৎসব মঞ্চ আর সব বিদ্যানিকেতনীর
রাস্তায় বের হয়েই রোদের ঝাপটায় চোখ কুঁচকে গেল শমির। কড়কড়ে রোদটাকে উপেক্ষা করে ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে লাগলো ও। এখন আর কোন কিছুই গায়ে লাগবে না। শমি আর রাহাতের সাড়ে পাঁচ বছরের সম্পর্কটা খুব সম্ভবত আজ শেষ হয়ে গেল। আজকে রোদ-ঝড়-জল সব কিছুকেই উপেক্ষা করবে শমি। ফুটপাথ দিয়ে ওকে একলা হাঁটতে দেখে দু-একটা রিকশা “কই যাবেন আপা?” বলে হাঁক দেয়। উত্তর না পেয়ে চলে যায় তারা। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বখাটে ছেলেগুলো শিস দ
কপালে সে পরেছিল ভোরের সূর্যের মতো লাল টিপ