সাহিত্য রচনা বরাবরই আমার আয়ত্বের বাইরে ছিলো, আছে এবং থাকবে। হাসান মামুনের "এলান কোয়াটারমেইন ও আয়েশা" পোস্টে অনুবাদ, পরিভাষা হেন তেন নিয়ে বিরাট পণ্ডিতি দেখানোর পর মনে হলো, উনি তো তাও সাহস করেছেন একটা উপন্যাসের অনুবাদ শুরু করার। আর আমি শুধুই বুলি কপচাচ্ছি, কখনো তো এক লাইন লিখেও দেখলাম না। কি আছে জীবনে, আমিও শুরু করে দিলাম। ভুল অবশ্যই অজস্র আছে। আপনাদের চাঁছাছোলা মন্তব্য আশা করছি। ক্রমশঃ শুধরে নেব।
--------মধ্য প্রজন্ম
**ফন্ট সমস্যার জন্য পুনরায় পোস্ট করলাম। অনাকাঙ্খিত ও অনিচ্ছাকৃত সমস্যার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখিত...**
আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(১) আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(২) আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(৩)
আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(৪)
[justify]
আমাদের ছোটবেলাতে হিন্দি ভাষার অত্যাচার এতো প্রবল ছিল না। ডিশ বলতে মানুষজন থালাবাটিই বুঝতো, ওটা দিয়ে খাবার আসতো - খবর নয়। টিভির অনুষ্ঠান ধরা পড়ত ছাদের এন্টেনাতে, কেবল দিয়ে কেবল বিদুৎতের চলাফেরা ছিল। আমাদের একমাত্র চ্যানেল বিটিভি যেই অনুষ্ঠান গেলাতো আমরা বিনাবাক্যব্যয়ে সেটাই গিলতাম এবং সেটা নিয়েই আলোচনা করতাম। এই কারনেই স্কুলের বন্ধু-বান্ধবরা সব্বাই একই ওয়েভলেংথেই কথাবার্তা বলতো। হিন্দি ছবি দেখার একমাত্র উপায় ছিল ভিসিআর – সেই মহার্ঘ্য বস্তু আমাদের চেনাশোনা খুব বেশি লোকের ছিল না।
হালকা হালকা বাতাসে শুভ্র সাদা কাশফুলগুলো দুলছে, আকাশেও সাদা সাদা মেঘ, বছরের এই সময়টা খুব ভালো লাগে হৈমন্তীর| মাটিতে শুয়ে আনমনে কি সুন্দর আকাশটা দেখা যায়, কখনো কখনো মেঘ দিয়ে কি সুন্দর হাতি-ঘোড়া, আরও কতকিছু যে তৈরী হয়ে যায়, সবাই কি তা বোঝে? যখন বিলের ধারে ঘুরঘুর করে তখন হঠাৎ কখনো একটা সাদা বক সাই করে উড়ে যায় মাথার উপর দিয়ে, আর ঠিক বিলের মাঝখানটায় টুক করে বসে খপ করে একটা মাছ ধরে নেয়| কত মজার মজার জিনিস দেখা যায় নদীর কাছের জঙ্গলটায়, যে না গেছে সে কি করে জানবে? একটা বড় গাছ অনেক দিন হলো ভেঙ্গে গেছে, অর্ধেকটা পাড় এর জল ছুইছুই, সেটার উপর বসে একলা একলা পা দোলাতে ভালই লাগে| হৈমন্তীর এই ভালো লাগা গুলো ওর মা বুঝলে তো|
[justify]ভাগ্যিস বাংলায় একটি খণ্ড-ত (ৎ = হসন্ত ত) আছে, তাই এই বর্ণযুক্ত শব্দের উচ্চারণে ভুল হয় খুবই কম। অর্থাৎ 'কুৎসিত'-কে আমরা 'কুৎ-সিত'-ই উচ্চারণ করি, 'কু-তসিত' নয়। তবে প্রায়ই উল্টো ফ্যাকড়া বাঁধে যখন 'ত'-য়ের বদলে 'ৎ' লিখে ফেলি। বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলায় অন্ত্য অ-কারের উচ্চারণ না থাকাতেই এই অনাসৃষ্টি। যেমন, উচিত, কুৎসিত ইত্যাদি শব্দে ত-য়ের উচ্চারণ হসন্ত ত-য়ের মতো। ফলে হরহামেশাই এ-জাতীয় শব্দে [
নলটোনা ঘাস এর মত সবুজের একমুঠো দিয়েছিলে নোলকের তীব্র ঘ্রাণ;
উত্তুরে বাতাস তুমি, দখিনের হাওয়ার মত প্রকৃতির অফুরান অভিধান
জেনেছিলে, আর তার ভাজ খুলে নিরাকার বেঁধেছিলে কোন এক রমণীয় সুর;
মাধবীলতার বনে মাধবীর মত তুমি - তুমি আর তুমিময় একটি দুপুর
একসাথে কাটানোর পর - প্রজাপতি সময়ের ডানা জুড়ে এসেছিলো নীল রাত;
রঙ্গনের রঙ নিয়ে মেহেদীর আলো মাখা পৃথিবীর সবচেয়ে মায়াবতী হাত
'আওয়ামি চরিত্র' পড়ে 'জামাতি চরিত্র' পড়ার ব্যাপারে কয়েকজন মন্তব্যকারী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ফেয়ারনেসের খাতিরে সেটা করা যেতেই পারে।
ভাষা
লেখার ভাষার ব্যাপারে প্রথমে কিছু বলে নেয়া ভাল। আমার লেখায় বাংরেজির প্রভাব আছে। কিছু ক্ষেত্রে বেশি, কিছু ক্ষেত্রে কম।
ক্যারিয়ার! আসলে ব্যাপারটা খুব গোলমেলে লাগে আমার কাছে। ক্যারিয়ার শুনলেই ক্যারিয়ারশূন্য মেয়েটার কথা মনে পড়ে। বিলবোর্ডে উঠতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিল বেচারী। আমার এক বন্ধু ওর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল।
হতবাক, রূপ ধরে হেসে ওঠো আপনগৃহে
নিজসমগ্র ঘিরিয়া রাখো, যেন সর্তক নিমার্ণ
ফুল-মাটির-স্নেহে
অন্ততঃ একটি দিন— তুমি শুধু মন টেনে ধরো
তোমার জামার ভেতর একবার হই নিশ্বাসহীন
আপনগৃহে হলাম নর্দমারমুখ, বৃক্ষতলবাসি বিবশদেহ
আগত স্নেহময়ী, ভেঙো না প্রতিশ্রুতি, পিনপতন
নীরবতা জেনেছে কি আঙুল ফোটাবার ছলচাতুরি
কিংবা পাল্টানো নিয়ম