ভাদ্র-আশ্বিনের এই এক ঝামেলা। এই ঝমাঝম বৃষ্টি, এই রোদ্দুর।
অন্যদের কি হয় জানিনা, তবে বৃষ্টি হলেই আমার মন ভিঁজে যায়, বলা ভাল ভিঁজেই থাকে। স্যাঁতস্যাঁতে পিছল উঠোনের শ্যাওলার মতন গন্ধ ছুটছে মনে হয়। ভাল্লাগেনা’ ভাবটা এতো প্রকট হয় যে মাঝে মাঝে নিজের উপরেই রাগ লাগে।
‘আরে! বর্ষাকালে বৃষ্টি হবেনা তো কি হবে…?'
আগের পোস্টগুলোতে ছবি নিয়ে শুধু গপ্পোই হচ্ছিল। আড্ডা, মন্তব্য ইত্যাদির ফাঁকে কেউ কেউ অনুরোধ করেছেন টিউটোরিয়াল দেওয়ার জন্য। এই পোস্টের গপ্পোটা তাই কিঞ্চিত শিক্ষণীয় গোছের।
যে কোন শিল্পের উপর দক্ষতা মোটা দাগে দুইটা জিনিসের উপর নির্ভর করে -
১। একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর মাধ্যমে ব্যক্তিগত অনুভবের শৈল্পিক রূপান্তর
২। এই রূপান্তরের টেকনিক বা কারিগরী দিক
বড় হয়ে যাওয়া মানেই কি চলে যাওয়া?
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে জানা অজানা দেখা অদেখা সহস্র সীমানা পেরিয়ে অন্য সীমানায় পাড়ি জমানো...
কতভাবেইতো মানুষ চলে যাচ্ছে, সবসময়। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। এক মন থেকে আরেক মনে। এক সত্য থেকে অন্য সত্যে।
বিনুদির কথা মনে পড়ে।
যৌথতা, কেন বলছ ভেজা বরষায়
কত প্রসঙ্গ আসে— ‘সে এক বিস্ময়’
সেই কবে, জোড়া-চোখের গহনায়
গ্রহণলাগা মৌসুমী ফলের পাতায়…
যৌথতা, মাতালের নেই কোন দায়
আগামী অধিকার এমনও হতে পারে
অমন না-হলে প্রতিবেদনা খুব ধীরে
মেলামেশা করে, সারমর্মটুকু আঁধারে
অলস দিনের মত রূপ ধরে ও ঝরে—
যৌথতা, ‘ইচ্ছার ব্যাখ্যা’ জানবে সন্ধ্যা পরে
জলে না-ভিজে কীভাবে নেবে জলজ্ঞান?
জলের চিবুক যে অর্ধেক জেনেছি, কারণ
প্রতি বছর একবার অতি ব্যাস্ত ছেলে মেয়েরা তাদের হাইটেকের চাকরির ডেডলাইন এর ফাকেঁ বাবা মায়ের সাথে মিলিত ছুটিতে সময় কাটায়। এবার সবার গন্তব্য ভ্যাংকুভার। আমরা সেখানে যাবার আগেই মেজ মেয়ে প্রযেক্টের শেষে ম্যাক্সিকো থেকে, মেজ জামাই নিউ ইয়র্ক থেকে, বড় মেয়ে অটোয়া থেকে গিয়ে আমাদের অপেক্ষায়। সকাল দশটার ফ্লাইটে আমরা অটোয়া থেকে যাত্রা শুরু করলাম। সংগে ঘরে বানানো প্রচুর কাবাব, সিঙ্গারা, মোগলাই পরাটা, রান্নাকরা ক
কিছুদিন আগে এক বন্ধুর সাথে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। আসলে সদ্য পড়া একটা বই থেকে কিছু যুক্তি তুলে ধরে আমি নিজেকে খুব জ্ঞানী জ্ঞানী দেখানোর চেষ্টা করছিলাম আর কি। তো আমার বন্ধু আমার যুক্তির সাথে ঠিক এটে উঠতে পারছিল না। এ সময় তার সাথে থাকা একটা অল্প বয়সী মেয়ে হটাৎ বলে বসল আপনি কি জানেন ডাক্তাররা ব্যাবস্থা পত্রে RX কেন লেখে?
নূরী, ফেলী, বিউটীর মত শেফালী এই লাইনে আছে বহুদিন হয়ে গেল। তা প্রায় ছয় বছর তো হবেই। এই কাজে ঝামেলার শেষ নেই। ঝাকে ঝাকে গাও-গেরাম থেকে মেয়েছেলে এই শহরে এসে দিশে হারায়ে ফেলে। ভিড়ে যায় গতর খাটানির ব্যবসায়। গতরে যার যত চেকনাই, তার আয় রোজগার ততো বেশী। তবে শেফালী এই কামে বেশী দিন থাকতে চায় না। বড্ড বেশী ঝামেলা হয় আজকাল। পুলিশ বাবাদের অত্যাচার তো আছেই, তার উপর দিন দিন ভাগীদারদের সংখ্যা যেভাবে ব
‘বই’ নামক জিনিশটিকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়? বিজ্ঞজনের বক্তব্য আর সমস্ত অভিধান এক পাশে সরিয়ে রাখি। এখন নাকি ডিজিটাল যুগ। তাই ‘বই’কে ব্যাখ্যা করতে গেলেও এর মাঝে ‘ডিজিটালত্বে’র ছোঁয়া ত অবশ্যই থাকতে হবে। তবে আমার ধারণা, বইয়ের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম। প্রতিটি মানুষই বইকে তার নিজের মতো করে অনুভব করে। কারো কারো কাছে কিছু বই সাক্ষাৎ যমের মতো, যাদেরকে পরীক্ষার আগে দেখলেই শরীরের তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী হয়; কারো কারো কাছে কিছু বই আবার বউয়ের মতো যাদেরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়!
সন্ধ্যা সাড়ে ছটার কিছু পর। ল্যাপটপ বন্ধ করে সব গুছিয়ে নিচ্ছি। অদুরেই বসা একজন স্ক্যান্ডেনেভিয়ান কলিগ। হঠাৎ দেখলাম তার চেয়ারটা কেমন যেন দুল খাচ্ছে, বললাম ইউ আর শেকিং, প্রবাবলি আর্থ কোয়েক। এরপর দুজনেই কিয়ৎক্ষন অপেক্ষা করলাম ভেবে যে আর সব বারের মত দরজা পর্যন্ত যেতে যেতে থেমে যাবে। কিন্তু না এ যে দুলেই যাচ্ছে। অতএব আর অপেক্ষা না করে ল্যাপটপ টেবিলে রেখেই মোবাইলখানি নিয়ে সিড়ি ভেঙ্গে নেমে এলাম গ্রাউন্ডে।