“The world suffers a lot. Not because of the violence of bad people, but because of the silence of good people!”
- Napoleon
বলতে পারেন, পৃথিবীর কোন দেশে মানুষের জীবনের মূল্য সবচেয়ে কম?
বলতে পারেন, যুদ্ধকালীন বা সংকটগ্রস্থ অবস্থায় না থাকা সত্ত্বেও কোন দেশটিতে বসবাস করা একটি মাইনফিল্ডে বসবাসের চেয়েও ভয়ংকর?
তারেক মাসুদ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, এই খবরটা শোনার পর প্রথম যে কথাটা আমার ভেতর থেকে বের হয়েছিল তা হচ্ছে, “I don’t believe it.
[justify]এই গ্রীষ্মে - ক্যালগেরির পথে।। এই গ্রীষ্মে - দ্যা গ্রেটেস্ট আউটডোর শো অন আর্থ।। রাতে যখন ডেরায় ফিরলাম রাত তখন প্রায় বারোটা বেজে গেছে। সারাদিনের ধকল আর ঘোরাঘুরির পর একটা কাজেরই শুধু উৎসাহ ছিল। তাই আপুদের সাথে গেলাম ওখানকারই এক ভাইয়ার বাসায়; চূড়ান্ত আয়োজন, পোলাও, কাবাব, খাসী, মুরগী, মাছ, সালাদ আর খাওয়া শেষে আইস্ক্রীম, কোক। কানাডা আসার পর অনেকদিন এরকম স্বাদের রান্না খাইনি। আমরা 'পরের বাসা' মনে করে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম। তাছাড়া পরের দিনের জন্যে মাইটোকন্ড্রিয়াগুলোকে রিচার্জ করে নেওয়াও হয়ে গেল।
একটি মেয়ে ব্যালকনিতে আইছিলো,
অল্প করে আমার পানে চাইছিলো,
দেখতে বড়ো মিষ্টি তবে ‘শাই’ ছিলো,
সেই চাহনি আমার বুকে ঘাঁই ছিলো।
হয়তো মেয়ে আমায় ভালো পাইছিলো,
একটু যেনো আমার প্রতি লাই ছিলো,
মনটা আমার প্রেমের গীতি গাইছিলো
ভাবনা গুলো আকাশ পানে ধাইছিলো।
এমনি করে দিনগুলো বেশ যাইছিলো,
‘মোরাল’ আমার অনেক বেশি ‘হাই’ ছিলো
হৃদয় জুড়ে সেই মেয়েটার ঠাঁই ছিলো,
জানতোটা কে সামনে বিরাট খাই ছিলো!
এক আলো ঝলমলে গ্রীষ্মে গাড়ী নিয়ে ফিনল্যান্ড থেকে রওনা দিলাম জার্মানির উদ্দেশ্যে। ইচ্ছা ছিল যতখানি সম্ভব ঘুরে দেখব বিশাল জার্মানির যতটা সম্ভব- বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত, গাঢ় সবুজ উপত্যকা, অট্টালিকাময় শহর, দুর-দূরান্তে ছড়িয়ে থাকা কোলাহল মুখর জনপদ, নদী বিধৌত অববাহিকা, গহীন বন, তুষার ঢাকা পর্বত, বন্দর নগরী, পথ চলতে হঠাৎ পেয়ে যাওয়া নির্জন নিরিবিলি গ্রামগুলি- যাই আসুক না আমাদের যাত্রাপথে। সঙ্গী অপু,
অনেকক্ষণ বসে থেকেও, লেখার মতো উপযুক্ত শব্দ খুঁজে পেলাম না।
মনে হচ্ছে, প্রিয় কিছু হারিয়ে ফেলেছি।
হয়তো আসলেই হারিয়েছি।
আমাদের যেন আর কখনো যুদ্ধে যেতে না হয়, যুদ্ধ শেষে 'মুক্তির গান' বানাবার লোকটি যে আর নেই।
মুক্তমনের মানুষ তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
১.
একজন অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম। চট্টগ্রামের মেডিক্যাল সেন্টার। রোগীর জ্বর বেশী, গলায় কফ জমে গেছে, গায়ে লাল র্যাশ উঠে গেছে। ক্লিনিকে নেবার পর তাকে সরাসরি HDU নামক অতি যত্নশীল একটা চেম্বারে ঢুকিয়ে দরোজা বন্ধ করে দিল। ওখানে কারো ঢোকা নিষেধ। একদিন পর রোগ আরো বেড়ে যায়। এরপর একের পর এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আসে, বোর্ড বসে, নতুন ওষুধ দেয়, তিনদিন এই অবস্থা চলার পর রোগীর শেষ নিঃশ্বাসটা যখন বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে তখন রোগীকে একটা আইসিইউ এম্বুলেন্সে করে সোজা ঢাকার একটা বড় হাসপাতালে নেয়া হয় রাতের মধ্যে। প্রায় শেষ অবস্থায় পৌঁছে যাওয়া রোগী জীবন ফিরে পায় আবার।
যে মানুষ ব্যর্থতার স্বাদ কখনো পায় নি---সে এক অপূর্ণাঙ্গ মানুষ
পথ চলতে গিয়ে আছড়ে পড়েনি যে
সে কী করে বুঝবে ধুলো ঝেড়ে ফেলে আবার উঠে দাঁড়ানোর মাহাত্ম্য--
অপ্রত্যাশিত জন্ম নয়, তাই বোধয় বেড়ে উঠায় আয়োজনের ত্রুটি ছিলনা কোথাও। পূর্ন স্বাধীন আর মুক্তমন তৈরির যাবতিয় চর্চার সুযোগ সেই ছোট্টটি থেকেই পাওয়া । আরও অনেকের মতোই ভুল প্রথম প্রেম এবং সঠিক সময়েই সম্মানজনক বিচ্ছেদ। জীবনের এইপর্যন্তকে আমি দীঘিযাপন হিসেবে চিহ্ণিত করি।