গত প্রায় তিনটা বছর মিটফোর্ডে পড়াশুনা করতে গিয়ে প্রতিদিনই যে অভিজ্ঞতাটা পেতে হচ্ছে, তা হল পুরনো ঢাকার 'খুবই বিখ্যাত' জ্যাম পার হওয়া। ঢাকা শহর যেমন দিন দিন লোহালক্কড়ের অচল নগরীতে পরিণত হচ্ছে তাতে করে শুধুমাত্র পুরান ঢাকার জ্যামটাকে এভাবে উল্লেখ করাটায় আপত্তি হতে পারে। কিন্তু দিন কয়েক যদি কারো ওদিকে যাওয়ার সৌভাগ্য(!) হয়ে থাকে তাহলেই বুঝতে পারবেন আমি কেন এমনটা বলছি। তবে সত্যি বলতে বছর খানেক আগের থেকে
রাস্তার ও-পাশ ধরে হাঁটলেই মনে হয় আমার ইচ্ছেটা ঐশ্বর্যময়
রোদের প্রখর দৃষ্টি যেন গহননদী! নাড়ছে-চুষছে রীতিহীন খেলায়
কিছু ছায়াহীন ধূলিপথ গিলে ফেলছে কেউ জলগন্ধ পিপাসায়
আলতা-সিঁদুর পরা পায়ের ঘুঙুর… বেণীচুলের ঘ্রাণে সেও প্রিয়
দুশ্চিন্তা, অমন করে কেউ কি ধরে রাখতে পারে ছড়ানো ছাতায়
বৃষ্টি আসলেই পুরনো বছরের প্রতীক্ষায় ‘দিনানুদিনের’ ঝঞ্ঝায়
আমার প্রথম সিগারেট খাওয়া শুরু যখন আমি ক্লাস নাইন এ উঠি। ক্লাসে একটা ষন্ডা প্রকৃতির ছেলে ছিল। নাকের সামনে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ত। ওকে কিছু বললে মার খাওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না। তাই মাঝে মাঝে ধোঁয়া খেয়ে মেনে নেওয়া বা ওকে এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় পাইনি।
প্রথম পর্ব > দ্বিতীয় পর্ব > তৃতীয় পর্ব > চতুর্থ পর্ব > পঞ্চম পর্ব > ষষ্ঠ পর্ব > সপ্তম পর্ব
গ্রামগুলি আর নিরাপদ ছিলো না। ঢাকার ওপর দখল নিয়ে পাক-আর্মিরা তখন আশে-পাশে গ্রাম-গঞ্জে হামলা চালাতে শুরু করেছে। আমাদের গ্রামে থাকাটা আব্বার কাছে আর নিরাপদ মনে হলো না। ঠিক মনে নেই, তবে মনে হয়, এপ্রিলের শেষের দিকে আমরা ঢাকায় ফিরে এলাম। আমার মেজবোনের জন্মদিন ২৮শে এপ্রিল। আমরা ফিরবার পর আম্মা ওর জন্মদিন উপলক্ষে পায়েস রান্না করেছিলেন। আমাদের উত্তরবঙ্গের লোকদের মাঝে, মনে হয়, ঘটা করে জন্মদিন পালন করবার রেওয়াজ ছিলো না। তবে জন্মদিন উপলক্ষে পায়েস রান্না করা হতো, সেটা কাঁসার বাটিতে করে জুড়োতে দেওয়া হতো মিটসেফের ভেতর। যার জন্মদিন তাকে কিশমিশ-বাদাম ছড়িয়ে বেশ যত্ন করে তা খেতে দেওয়া হতো।
ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে আমার একটি বিশাল দূর্বলতা আছে আর সেটি হলো আমি লাইফস্টাইল একদমই পারি না। কিন্তু এবার যখন কিশোরগঞ্জ যাচ্ছিলাম তখন মাথায় একটা জিনিশই ঘুরপাক খাচ্ছিলো যে আমাকে এইবার লাইফস্টাইল ছবির এক বিরাট চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামতে হবে। কেননা এই সময়ে লেন্ডস্ক্যাপ একটা দুইটা তোলার পর একদম মনোটোনিক হয়ে যাবে। আর মাঠে মাঠে মানুষের ব্যাস্ততার ছবি তো আর লেন্ডস্ক্যাপ নয়!
[justify]কালো মাণিক পেলে বেশি ভালো খেলতেন, নাকি ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনা ?? মিশেল প্লাতিনি তুলনামূলক কতটা এগিয়ে জিনেদিন জিদানের চাইতে, অথবা পিছিয়ে ?? ১৯৭০ এর ব্রাজিল বেশি ভালো, না ১৯৫৪ এর হাঙ্গেরী ?? স্বপ্নের দল হিসেবে ক্রুইফের বার্সেলোনা না সাচ্চির মিলান- কোন দলটি এগিয়ে ?? ...
বাংলাদেশে খুব ছোটবেলাতেই আমাদের সাধারণ জ্ঞানের বই দেওয়া হত, অবধারিত ভাবেই সেই পাৎলা বইয়ের শেষের দিকে থাকত হাতে আঁকা ছবি দিয়ে পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ের( প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ, বর্তমান যুগ) মানুষের তৈরি সাতটি চোখ ধাঁধানো আশ্চর্যময় স্থাপত্যের বা আবিস্কারের কথা। যে গুলো মানুষের বিস্ময় উদ্রেক করে নির্মাণ হবার সময়কাল থেকে আজ পর্যন্ত, শত শত এমনকি হাজার হাজার বছর ধরে। সেই তালকায় স্থান পেয়েছে প
কুয়াকাটা: মূহুর্তের জল!
.... তানিম এহসান
১.
আমার মা আমার মায়ের মতন,
কারন আমি তার ছেলে এবং যেহেতু
তিনি আমার মা এখানে তুলনার প্রশ্নটি অবান্তর।
আমার মা শুধুমাত্র আমার মায়ের মতন বলে
আমাদের সব জন্মেই আমার মা আমার মা,
আর আমি তার জলপুত্র!!
৩০. ০৭. ২০১১
২.
পৃথিবীর তিনভাগ জল, পৃথিবীর তিনভাগে স্নাত এ জীবন!
মানুষ হিসেবে তিনভাগ বেড়ে ওঠা, একভাগে বিলাস নেই;
(১)
রাত আটটার সময় হঠাৎ সিদ্ধান্ত হলো আজ রাতেই ঢাকা ফিরতে হবে। কাজটা এমন ছিল যে আগে থেকে সিদ্ধান্ত নেয়ার উপায় ছিলোনা। প্রফেসর ফরিদ কোনভাবেই সময় দিতে পারছিলেন না, আর সময় যখন আর হলো তখন রির্পোটটা জমা দেয়ার সময় পার হয়ে গেল। বাড়তি সময় পাওয়া গেল তিনদিন, কিন্তু ফরিদ সাহেবের কাজ আর শেষ হয়না। শেষ পর্যন্ত হঠাৎ মাহবুব সাহেব সিদ্ধান্ত নিলেন, কাজটা যতটুকু হয়েছে, ততটুকুই খসরা রির্পোট হিসেবে জমা দেয়া হবে এবং রাতের মধ্যেই ঢাকা ফিরতে হবে।