ধরো, এই আমি— ওই নদীটির কথা ভাবতে ভাবতে
ঘামছি… অতঃপর অপারগ হয়ে যাচ্ছি, আর কবে যেন
সে-ও বলছিল জেনে রাখো, ওই নদী, ওই জল অন্যত্রাসে
তৃষ্ণার টানটান জলে কামড়াতে জানে… অহেতুক বাঁধনে
পেঁচিয়ে যেও না, পুড়ে যাবে
জল কি জানে? অনাদর পেতে-পেতে কীভাবে খুলে পড়ছে
বোবাকথা, গায়ে লেগে থাকা পলাতক ইচ্ছাসহ দেহপূর্ণতা
আমি মূলত আমার আত্মাকে ফেরি করি, তাই জন্মের পর
মৃত্যুই আমাকে পাহারায় রাখছে একা
আমি যখন বাড়িটাতে ঢুকছিলাম, আমার ভীষণ খারাপ লাগছিল। আমি কিছু স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করতে পারছিলামনা, আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল, হাত কাঁপছিল, মনে হচ্ছিল যেকোনো সময় মাথা ঘুরে পড়ে যাব। এগুতে ভয় পাচ্ছিলাম,এতদিন যে ভয়ে আমি এই মুহূর্তটার মুখোমুখি হয়নি তা আবার মনে চলে আসল, আর দৌড়ে পালানোর অদম্য ইচ্ছাটাকে আমি কোন মতে চাপা দিলাম।
অদ্ভুত এক অস্থিরতা নেমেছে আজ জীবন জুড়ে । সাদাকালো সেই অস্থিরতার রঙে ঘর গেরস্থালি ধূসর হতে থাকে। কোথায় তার শুরু, কোথায় বা শেষ জানতে শিখিনি আজও। শুধু জানি তার ধীর নাগপাশে নিঃশ্বাস আঁট হয় কেবল। মানবী নই, যেন ভীরু হরিণী, কোন করাল থাবার নিচে গুঙিয়ে কেবলি পরাজিত মৃত্যুবরণ। চারপাশের কায়দাকেতার অন্ধকারে সামাজিক হায়েনারা ওঁত পেতে থাকে কখন মৃত শরীরটাকে ছেনে নিয়ে নামা যাবে হিংস্র উল্লাসে, পেয়ে যাবে
ছেলেটির বয়স মাত্র ১৪ বছর।এই বয়সেই তার জীবনের উপর নেমে এসেছে স্থবিরতা। একটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারিয়ে ও আজ অনেকটা জড় পদার্থই হয়ে গেছে।জীবনের উপর এই বৈরিতায় ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।মাঝে মাঝে ওর মনে হয় ধান ক্ষেতে পোকা মারার জন্য ওর মা আলমারির মধ্যে যে বিষ রেখে দিয়েছে তার থেকে কিছুটা খেয়ে সারা জীবনের জন্য ঘুমিয়ে যেতে।কয়েক বার বিষের শিশিটা নিয়ে নেড়েচেড়ে ও দেখেছে কিন্তু খেতে পারেনি।একটা জায়গায় ও আটকা
ঝড়ের শুরুতে বাহুর বাঁধনে অগ্নিদগ্ধ ডানা
তোমার ওষ্ঠে আমার অধর, চুপ করে থাকা মানা
আদ্রর্ চঞ্চু অনূদিত হয় এ কোন প্রাচীন ভাষায়
ভাসতে ভাসতে আমরা ভিড়েছি প্রখর কীর্তিনাশায়।
মৃন্ময়কে গল্প বলি।
ঐ যে নীল পাহাড় ঘিরে আছে আমাদের শহর, কাছে যেতে যেতে সেটা ক্রমশঃ সবুজ হতে থাকে। সেই পাহাড়ের ঢালে বসতি মৃন্ময়ের বয়সী এক শিশু মনা। মনার মা-বাবা-দাদা-দাদী সবাই মিলে চাষবাস করে, মনা ও কাজ করে-গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
একটা মেয়ে যখন জানতে পারে সে অন্তঃস্বত্তা ততোদিনে তার ভেতরের স্বত্তাটির বয়স প্রায় এক মাস হয়ে যায়। মা’র শরীর ভ্রুন টাকে মানতে চায়না প্রথমে, এদিকে ভ্রুনটা চায় যেকোনো প্রকারে মা’র শরীরে টিকে যেতে। ব্যস শুরু হয় যুদ্ধ, ভ্রুনটার টিকে থাকার লড়াই। প্রথম তিনটা মাস এই যুদ্ধ চলে। মা’র শুরু হয় প্রচন্ড শরীর খারাপ লাগা,বেশির ভাগ মেয়ের বেলায় ই বমি হয়। অনেকে সবকিছুতে গন্ধ পান। একটা ক্ষুদ্র সংখ্যার ভাগ্যবান মেয়ে ছাড়া বাকি সবাই খেতে পারেন না।
[justify]কানাডায় সামারটা হুটহাট, আর তারচেয়েও হুটহাট করে শুরু করলাম আমি। উইন্টার টু সেশানের শেষ পরীক্ষা ছিল ছাব্বিশে এপ্রিল, আর আমার দেশে যাওয়ার টিকেটও ছিল ওইদিন রাতেই। পরীক্ষার আগে তাই পড়াশোনা গোছানোর চেয়ে ব্যাগ গোছানোর তারা ছিল বেশী, পরীক্ষা থেকে এসে গোসল করেই ছুটতে হবে এয়ারপোর্টে। তো যাই হোক দেশে যাওয়ার গল্প নাহয় অন্যদিন করা যাবে। দেশ থেকে ফিরে এসে কি করলাম আজকে নাহয় সেই গল্প করা যাক।
গিরিরাজ হিমালয়ের অনতিক্রম্য অমোঘ আকর্ষণে প্রতি বছর লাখো লাখো মানুষ ছুটে আসে তার অনন্যসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য, কেউবা পর্বতমালার সুউচ্চ শৃঙ্গগুলো আরোহণের জন্য, আত্নার শুদ্ধিতার জন্য, আবার কেউ বা এর অসাধারন জীববৈচিত্রের টানে।
প্রথম পর্বের লিংক [এখানে]