সাহস হয় না তবুও বলি— তোকে বন্ধু ভাবলেই
ভোগদৃশ্যের ভেতর জেগে ওঠে এক চোখের জরা
গোপনে অন্য চোখের সমর্পণ, আহা টাঙানো নিয়ম
শূন্যদিনে খুব কাছে জেগে ওঠা সর্বপরিচিত ঋণসহ
বিবশ-করা দেহের পুরনো বিশ্বাস
চোখের স্বভাবে চারপাশ ঘুমিয়ে পড়ে মধ্যরাতের আগে
অনিচ্ছাগুলো অন্ধঘরে ক্রমশ ধ্বস্ত করে শিয়রে দাঁড়ায়
আমি কেবল লুকিয়ে রাখছি ভাবঘুম, মাদুলীশব্দ আর
ইতিহাসে অনার্স পাশ করে টানা দুইবছর ধরে বেকার ছিলাম। শখানেক দরখাস্ত ফেলেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত অনেক ধরাধরি করে একটা ফার্নিচার কোম্পানিতে কেরানীর কাজ জোগাড় করলাম। দায়িত্ব হল কাঠের সাপ্লাইয়ের হিসাব রাখা। পোস্টিং একদমই অজানা-অচেনা এক গ্রামে। বেঈমান শহুরে জীবনের পাছায় লাথি মেরে চলে আসলাম।
কেমন আছি আমরা?
কেমন চলছে আমাদের সবকিছু?
কেমন আছে আমাদের দেশ?
উত্তর একটিই: ভালো নেই।
স্বাধীন দেশের মানুষ হয়েও নিজ ভূমিতে পরাধীন আমরা। স্বাধীনতার পর থেকে আত্তয়ামী লীগ-বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টি-সামরিক সরকার দ্বারা আমরা নির্যাতিত। প্রতিদিন এত এত খারাপ সংবাদ শুনতে শুনতে ক্লান্ত আমি-আমরা।
দিনগুলো এখন আর আমাকে সময় দেয়না ।ব্যস্ত সময়,সারাদিন কাজের মাঝে ডুবে থাকতে থাকতে নিজেকেই ভুলে যাই মাঝে মাঝে । হাতের ঘড়িটার সাথেই এখন সমস্ত প্রেম চলে, কখনো নড়চড় করা যায়না ওটার বেরসিক আব্দারকে । দিনশেষে তাই যখন নিজের জন্য মিনিট কয়েক সময় বের করি, হাঁটতে বের হই। ল্যাম্পপোস্ট এর মৃদু আলোয় দুনিয়াটাকে অনেক আপন মনে হয়। সাদা স্বপ্নগুলোকে নিয়ে খেলতে থাকি মনের ভেতর।
আজ এই রাতে তমসা ছেঁয়েছে চারিদিকে। যেন আঁধারে গ্রাস করেছে ধরণী।তথাপি বিশাল আকাশের বুকে আধ-খানি চাঁদ ম্রিয়মান অস্তিত্ত্বে বিরাজমান।যেন কোন সম্ভবনার জানান দেয় সে।
সব চলে গিয়েছে ঘুমের দেশে।ঘুমপরীরা তাদের নিয়ে যায় স্বপ্নের দেশে।হাজারো স্বপ্নের সমারোহ।লাল নীল স্বপ্নেরা ভীড় করে তাতে।
[justify]১
চিত্র ১:
১৭৬৯। হাইতি। এখানে মাটির রঙ আলকাতরা-কালো, তারচে' বেশি কালো এই ফসলি জমির শ্রমিকদের গায়ের রঙ। ওরা ৪৪ জন। একটানা কাজ করছে সেই উষা থেকে, যখন সূর্যের-ও চোখ খুলে নি, আর এখন সূর্যের ঘুমিয়ে পড়ার সময়। পাক্কা ১২ ঘণ্টা। শ্বাপদের মতো সর্তক চোখে তাকিয়ে আছে শ্বেতাঙ্গ মনিব। কাজে একটু এদিক ওদিক হলে চাবুকের বাড়ি, গরম শিকের ছ্যাঁকা। ওরা কাজ করে যায়, মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে উঠলে উঁকিঝুঁকি মারে আশপাশে, দ্রুত লয়ে কথা বলে। ওরা কাজ করে যায়। নিয়তি। মানুষের অপমান। ঈশ্বরের নিস্পৃহতা। ওরা কাজ করে যায়। মার খায়। মরে যায়। বংশানুক্রমিক। হয়তো দিনের শেষে এক টুকরো রুটি ও জল মিলবে, ভাগ্য ভালো হলে মাংশ লেগে থাকা হাড়, সবজি-ভাজা। আর নিশাচর পাখির মতন থেকে থেকে ভেঙে যাওয়া ঘুম।
তুমি তো চেয়েছিলে একমুঠো ঘুম
ও একটি আস্ত জ্যোৎস্না রেখে যাবে
কোন মৃত সাদা কাগজে নয়
..................হয়ত কোন এক ফুটন্ত পদ্ম পাতায়
গুলিয়ে নিয়ে এক আলতো আকাশ
বৃষ্টির রঙে ভেজা তোমার স্মৃতির শিরায়।
অথচ সূর্য ডুবন্ত
তোমার চোখে কোন নির্দিষ্ট কথা নেই
শুধু মিথ্যের দশ পিপড়ে
বাঘবন্দী প্রেম খেলছে জীবন নামের কাগজের নৌকায়।
কলমের ডগা দিয়ে ছলোচ্ছল যোনীভাঙা রক্তের উচ্ছ্বাস
ধুয়ে নিচ্ছে কামের কলঙ্ক
[justify]জীবনের প্রথম চিঠিটা পেয়েছিলাম যখন ক্লাস ফোরে পড়ি। ঠিক পেয়েছিলাম বলা উচিত না। চিঠিটা আমার শ্রদ্ধেয় ছোট মামাজানের হাতে পড়েছিলো, তিনি সেই সময় বিশেষ ক্ষমতাবলে আমাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। তো যাই হোক, পাড়ার একটা ছেলের কোন কারণে আমার মত ডানপিটে বান্দর মেয়েটাকে খুব মনে ধরেছিলো কেন যেনো। বলার সাহস না পেয়ে, একদিন মেলা সাহস করে একখান একপাতার চিঠি লিখে বসে। তারপর দুরুদুরু বুকে ছুড়ে দিয়েছিলো আমাদের
উইজ এয়ারপোর্ট এর ৩ নম্বর বহির্গমন গেট এর সামনে বসে আছি। গন্তব্য ত্রেবেসু এয়ারপোর্ট হয়ে ভেনিস। ফ্লাইট এর এখনও ঘন্টা খানিক বাকি।উইজ এয়ারপোর্টটা এতটাই ছোট যে ওয়েটিং জোন এ অপেক্ষা করা বা জরুরী নিন্মচাপে সাড়া দেওয়া ছাড়া সময় ক্ষেপন এর সুযোগ বড্ড সীমিত।কিন্তু আমার মন সেটা মানলে ত!