Archive - 2011 - ব্লগ

July 23rd

প্রখর শব্দসকল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৩/০৭/২০১১ - ৩:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাংঘাতিক রকমের কৌতুহলবিমুখ
অবিশ্রান্ত, আবাদি আর উদ্ভিদময়
দিনগুলো একের পর এক কেটে গেলে পর
হঠাৎ করে লক্ষ করি আমার সমস্ত অব্যাবহৃত
নিরাকার, অলৌকিক, রমনঅযোগ্য, বায়বীয়
মস্তিষ্কজাত উদ্বাস্তু শব্দগুলো,
ক্রমশ নির্জীব হয়ে পড়ছে, যেগুলো
বিভিন্ন কবিনেশন পারমুটেশনে সাজিয়ে,
অর্থহীন এবং একই সাথে শীল্পগুনমানবর্জিত
একটি শব্দের শরীর গঠন করলে, অত্যন্ত সংকোচে
হলেও তাকে হয়ত কবিতা নাম দেওয়া যেত।


তোরই ইচ্ছা ইচ্ছাময়ী---

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: শনি, ২৩/০৭/২০১১ - ৩:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নজরুল তার সৃষ্টিশীল পর্যায়ে প্রায় তিনহাজারের মত গান লিখেছিলেন।
নানান ভাবের, নানান রসের।
অসাম্প্রদায়িকতার জন্যে যে লোকটি তার জীবনপাত করেছিলেন--উত্তরকালে সেই নজরুলের সাহিত্যকর্ম ভাগাভাগি হয়ে গেল হিন্দু-মুসলিমের মাঝে। হিন্দু-মুসলমানের 'গালাগালি'-কে তিনি 'গলাগলি'-তে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। নজরুলের নিজের ভাষায়ঃ


নাতি খাতি বেলা গেল

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২২/০৭/২০১১ - ১১:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাগো সইন্দাকালে পাইত্যাল ডাকত। তাগো ন্যাজ বটা না। খাড়া খাড়া। মাজে মাজে জুনি জ্বলত। সেজন্যি বাতি না আঙ্গালেও চলত। আর কুড়আ পুষলি মাফে ধরত।

বাপা মাফ--এই কইরাইতো খাতি নাতি বেলা গেল---শুতি পারলাম না। তরে ধরি কুন সুমায়! তরে মাফ কইরা দিছি।


এমিলি ও জাহিদদের জন্যে প্রার্থনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২২/০৭/২০১১ - ১০:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রার্থনার শক্তি ও সামর্থে আমি মোটামুটি আস্থাশীল। আমার মনে আছে, বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে এসে গোটা বাঙালীর সমস্ত আবেগ আর ভালোবাসা যেন কেন্দ্রীভূত হয়েছিলো ১১টি দামাল ছেলের মাঝে। নিজের অজান্তেই আমরা সবাই সেদিন এই ছেলেগুলোর জন্য প্রার্থনা করেছিলাম। চোখের জলে হয়তো ভিজে গেছি আমরা, কিন্তু শেষ বলটি না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রার্থনা করে গেছি। বাংলাদেশ ফুটবল দলের জন্য কিংবা দেশীয় কোন ক্ল


এলএনজি বা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ ||পর্ব ৩|| এলএনজি চুক্তির প্রাথমিক ধারণা

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: শুক্র, ২২/০৭/২০১১ - ৭:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]এলএনজি বাণিজ্য প্রধানত চুক্তিনির্ভর। এলএনজি চুক্তিগুলোকে মূলত Sales and Purchase Agreement (SPA) বলা হয়। এই চুক্তির একপক্ষ হচ্ছেন এলএনজির জোগানদাতা, বিক্রেতা বা রপ্তানিকারক। দ্বিতীয়পক্ষ হচ্ছেন ক্রেতা বা আমদানিকারক। এখানে একটা কথা বলে নেয়া ভালো যে, এই পক্ষগুলি হতে পারে কোনো রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠান, কিংবা কোনো কোম্পানি। বাংলাদেশ সরকার এলএনজি আমদানি করার অভিপ্রায়ে যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি করেছে তার অপরপক্ষও একটি রাষ্ট্র, কাতার।


July 22nd

মহাজ্ঞানী পণ্ডিতগণ, চালাও তোমরা শিক্ষাঙ্গন... আমরা গেলাম সুন্দরবনে।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২২/০৭/২০১১ - ১০:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক আক্রোশ নিয়ে লিখতে বসেছি। কি লেখা বেরুবে জানি না। তবে সবাইকে জানানো দরকার। ঢাবির প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রকে পুলিশ ডাকাত বানিয়ে, মেরে হাত ভেঙ্গে, পায়ের টেন্ডন ছিঁড়ে দিয়ে, সারা শরীর থেঁতলে দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের বিখ্যাত শিক্ষকগণ বারবার অনুরোধের পরও একটা ফোন পর্যন্ত করতে পারেননি থানায়।


অনুবাদ-কাব্য ১.৩: Ode to the West Wind (Shelley)

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি
লিখেছেন মৃত্যুময় ঈষৎ [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২২/০৭/২০১১ - ১০:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(২২ জুলাই ২০১১, মৃত্যুময় ঈষৎ)

আজ তৃতীয় বাণী অনুবাদের চেষ্টারত। এই অনন্য কবিতাটি 'তের্জা রিমা' আর 'ইয়াম্বিক পেন্টামেটার' নামক চমৎকার সুরেলা ছন্দে রচিত। মূলকবিতায় তের্জা রিমার এই বিন্যাসটি (A-B-A, B-C-B, C-D-C, D-E-D, E-E) ব্যবহৃত হয়েছে। তদ্রূপে আমি তৃতীয় বাণীর ক্ষেত্রে (কে-নে-কে, নে-আদ-নে, আদ-রে-আধ, রে-নো-রে, নো-নো) এই বিন্যাসটি রেখেছি। তবে মূল কবিতা থেকে অর্থান্তর না করার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল।


অনুচ্চারিত...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২২/০৭/২০১১ - ৩:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ওই তিনটে বিকেল আমি ফেরত চাই
সেই স্পর্শগুলো'
যা ছুঁয়েছিল তোমার চোখ চিবুক ঠোঁট।
চাই, সেই ভেঙ্গে পড়া মূহুর্তগুলোও,
যেখানে নিজেকে হারিয়েছিলাম তোমার
শক্ত পেশীতে - আঙ্গুলে।
ওই ঘ্রানটাকেও ফেরত চাই
যা ছিল আমার বুকে -
যে এখন নিরুদ্দেশ ক্রমাগতঃ অবহেলার অভিমানে ।

অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছি লিছু লেখার। লিখে টিখে পোস্ট করি


পথ-শিশুদের জন্য ভালোবাসা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২২/০৭/২০১১ - ৩:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(একটি মানবতা মূলক পোস্ট)

আম বোঝাই করে ব্যস্ত রাস্তা ধরে ছুটছে দুটি পিকআপ। একটির যাত্রীরা বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডায় হিহি করে কাঁপতে কাঁপতে উড়ে যাচ্ছে, আরেকটি পিকআপের অদম্য তরুণেরা রোদের তাপে ঘেমে-নেয়ে একাকার। একটি পিকআপ চলছে চট্টগ্রামের পথে, অন্যটি ঢাকার রোদজ্বলা রাস্তায়। উদ্দেশ্য একটাই—পথশিশুদের আম খাওয়ানো। যে তরুণেরা একই পিকআপে যাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই কিন্তু একে অপরকে আগে থেকে চেনেন না। সবাই একটা ফেসবুক গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। গ্রুপটির নাম ‘আমরা খাঁটি গরিব...’। সূত্র


২০শে জুলাই প্লট: শ্রদ্ধা এবং ঘৃণার উপলক্ষ্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: শুক্র, ২২/০৭/২০১১ - ১:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শ্রদ্ধা আর ঘৃণা। এই দুটি অনুভূতি আমার কাছে সবচে গুরুত্বপূর্ণ। বাকি বেশিরভাগ অনুভূতির সঙ্গেই লাভ-লোকসানের তীব্র হিসেব জড়িয়ে থাকে বলে সেসবের গুরুত্ব কম। ব্যক্তিগত ভাবেই অন্তত তীব্র ঘৃণা বয়ে বেড়ানো আমার কাছে খুব সুখকর কিছু নয়। ঘৃণিত প্রাণিদের তালিকাটিও তাই খুব দীর্ঘ নয় আমার। সেই তালিকার একজনকে ঘিরে এই লেখাটি।