[justify]
বইটা পড়া অনেক আগেই। বড্ড কাঁদিয়েছিলো বেয়াড়া অক্ষরগুলো। যুদ্ধ, প্রেম, কৈশোর, বন্ধুত্ব, উত্তেজনা, বুদ্ধিমত্তা-সব মিলিয়ে নিটোল বেদনার্ত দাগকাটা পাঠোপকরণ। আমারও হাল্কা স্বপ্নালু ইচ্ছে হয়েছিলো আমার সন্তানের নাম রাশেদ থাকুক না হয়।
যে বাড়িটিতে আমি বড় হয়েছি, সেই চারতলা বাড়ীটির তলায় একটি আর ছাদে আরেকটি পানির ট্যাঙ্ক ছিল। নিচতলার সিঁড়ির তলায় লোহার খাঁচায় বসে থাকতো এক ময়ূরকণ্ঠী নীল রং এর পেড্রলো পাম্প। সকাল বিকেল সিঁড়িঘরে মৃদু ঝাঁই ঝাঁই শব্দ তুলে সেই পাম্প নিচের ট্যাঙ্ক থেকে পানি ছাদের ট্যাঙ্কে তুলত। ভোরে ঘুম ভেঙে শুনতে পেতাম। আবার আসরের আজান পড়তে পড়তেই। বিকেলেও সিঁড়ি বেয়ে নিচে খেলতে নামার সময় বেখেয়ালে শুনতাম আমি সেই পাম্পটার আও
[justify]
১.
পয়লা এপ্রিল এগারো সাল। রোজ শুক্রবার। খোশ মেজাজে অফিসে গিয়েছি। রাত আড়াইটার ফ্লাইটে ভারতে যাচ্ছি। দেশের বাহিরে প্রথম কোথাও যাওয়া, ভাল না লাগার কোন কারন নেই। ভারতের সর্বদক্ষিণবিন্দু কণ্যাকুমারিতে কনফারেন্সে গিয়ে একটা পেপার পড়ব, এই হল প্রাথমিক উদ্দেশ্য। কিন্তু শুধু একটা পেপার পড়ে দেশে ফেরত আসার লোক আমি না। অফিস পেপার রেজিস্ট্রেশনের শ'চারেক ডলার দিয়েছে, যাতায়াতের একটা সিংহভাগ দেবে, সাথে দিন সতেরো ছুটি তো আছেই। এত সব পেয়ে শুধু একা যাব বলে একটু এদিক সেদিক ঘুরব না, এটা তো কোন কাজের কথা না। আমি অকাজের লোক হতে পারি কিন্তু অতটা না। ভারতের পু্র্ব থেকে দক্ষিণ, দক্ষিণ থেকে উত্তর এবং উত্তর থেকে আবার পূর্বে ফেরার জন্য তাই প্লেন-ট্রেনের হাজার ত্রিশ টাকার টিকেট কেটে ফেলেছি। সব প্রস্তুতি শেষ, এখন শুধু শেষ মুহূর্তের অপেক্ষা। কিন্তু হঠাৎ করে দুপুরের পর সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেতে শুরু করল।
[justify]এই মুহূর্তে আমাদের মাঝখানে স্পেস ঠিক ছয় ফিট। বছর দু’য়েক ধরে আমাদের মধ্যে যে স্পেস সৃষ্টি হয়েছিল তার থেকে এটা অনেক কম, যদিও এই ছয় ফিটের স্পেসটা এমুহূর্তে ঠাণ্ডা, স্যাঁতস্যাতে মাটিতে ঠাসা।
আমি তোমাকে খুব মিস করি সোনা।
[justify]আমি ঋক। বন্ধুরা ফাজলামি করে ডাকে রিগ বা গর্ত। পাঁড় নাস্তিক বাবা কেন আমার নাম ঋক রাখে সেটা প্রথমে না বুঝলেও পরে আস্তে ধীরে বুঝি। বাবার কথাবার্তার মধ্যে জার্গন ফেনা তোলে। দর্শনের শিক্ষক হিসেবে কিছুদিন কাজ করে বাবা কাজ ছেড়ে দেয়। তার নিজের বাবার অনেক সম্পদ থাকায় টাকার কোনো সমস্যা হয় না। বাবার নিজে নিজে কথা বলার রোগ আছে। একসময় আমরা জানতে পারি বাবা তার জটিল দার্শনিক সমস্যাগুলো কোনো এক অদৃশ্য বন
বিকেলটা ঘাপটি মেরে বসেছিল মেঘের আড়ালে। দুপুর গড়িয়ে দিনটা তাই সরাসরি সন্ধ্যার কবলে। আষাঢ় বিকেলে মেঘের অন্ধকারই সত্য। বৃষ্টির সাথে বুনো গন্ধ বাতাসে ভর করে ছুটোছুটি। এইসব দামাল চঞ্চলতা আজকাল কপালে বিরক্তির কুঞ্চিত রেখা বৃদ্ধি করে। লাঠি ঠুকে ছাতার ভারসাম্য রেখে বয়সী শরীর বর্ষা প্রণয়ে অক্ষম। শরীরটা নিরাপদ আশ্রয়ে স্বেচ্ছা-বন্দী।
তোমায় আমি প্রতিক্ষণে স্বরী
ভালোবাসি সারাক্ষন -
যার ভালোবাসা সমুদ্রসম
তার কি আর এক দিবসে চলে বলো?
আমি অপমানিত হয়
সুর হারিয়ে ফেলি
লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে আসে
দৃষ্টির সীমানায় শূনত্যা দেখি
প্লিজ আমার আবেক নিয়ে বানিজ্য করো না।
বানিজ্যকরনে আমি নিঃপেষিত।
--------------------
নিত্যানন্দ রায়
বৈদেশিক সাহায্য নামক ব্যাপারটির সঙ্গে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। উন্নত দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রদত্ত আর্থিক ও দ্রব্য সহায়তাই হলো মুলত বৈদেশিক সাহায্য। সাধারণত ঐসব দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য এইসব সাহায্য প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এগুলো উন্নয়ন ঘটায় কিনা তা নিয়ে তর্কের অবকাশ রয়েছে।
বেল পাকলে কাকের কী? সক্কাল বেলাতেই শুনিয়া আসা কথাটা রইসের মাথায় ঘুরিয়া চলিছে সারাদিনমান। কাকের চিন্তায় তাহার ক্ষুদ্র হৃদয়ের মূল যেন বিদীর্ণ হইয়া গেল। বেল পাকলে কাকের কী? বেল পাকলে কাকের কী? বেল পাকলে কাকের কী? বলিতে বলিতে তাহার মুখমন্ডল গৌরবর্ণ হইয়া উঠিল। জগৎকে উষ্ণ, ঘুর্ণিমস্তিষ্ক, রক্তনয়ন মাতালের কুজ্বটিকাময় ঘূর্ণমান ব্রহ্ম বলিয়া বোধ হইল।
বয়সের অপশনটা আসতেই আজকে একটা ঘটনা ঘটলো, আমি ‘যুবা’তে চাপ দিলাম। হতে পারে চল্লিশ এই বুঝি আসে আসে, হতে পারে হাইপ্রেশারে নিত্যরাতে ওষুধ খেতে হয় একটা করে, হতে পারে মাথার কাচা চুলের ভাজে ভাজে সাদা চুলের উকি দেয়া বেশ প্রবল - আমার তাতে কিচ্ছু আসে যায়না! আমি ‘এইটিন টিল আই ডাই’ – জ্বি মশাই, ঠিকই বলছি।