[justify]বিচার মানে কী? আমার চোখের সামনে সাক্ষাৎ যে খুনিকে খুন করতে দেখলাম, তাকে পিটিয়ে মারতে পারলেই কি বিচার? না কি পিটিয়ে ছেড়ে দিলে তখন গিয়ে বিচার? না কি কান ধরে ঘুরপাক খাওনো? বা পা কেটে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা? নাকি পুলিশকে দিয়ে পিটাতে থাকা? বা র্যাবকে দিয়ে পঙ্গু কিংবা ক্রসফায়ার করে দেয়া? না কি বিচার মানে এটাই যে আদালতের সামনে সাব্যস্ত হবে সে দোষী!
কল্পনাগুলো হারিয়ে যায়
নিস্তব্ধ অন্ধকারে।
চার দেয়ালে ঘেরা বন্দী জীবন
অস্ফুট আর্তনাদগুলো
প্রতিধ্বনি হয়ে ভেসে বেড়ায়
অভিশপ্ত এ কারাগার।
প্রতিদিন লড়াই করে যাওয়া
নিঃশব্দ জীবনের অব্যক্ত অভিপ্রায়ের সাথে
ছোট্ট ঘরে একা বসে ভাবা
কিছু অসংলগ্ন ভাবনায়,
অথবা মিথ্যে অনুভূতির অণুরণন জাগানো
রাত-জাগা কথোপকথনে
খুঁজে যাওয়া সুখের হাতছানি...
এক মুঠো সুখের জন্য
নিশ্চুপ আর্তনাদ
গজমোতির কূল থেকে
-সুমাদ্রি শেখর
ডান হাতে বিকটাকার একটা বই, সাথে চক-ডাস্টার। বাম হাতে একটিমাত্র জিনিস- তিন ফিট লম্বা, লিকলিকে, চকচকে একটা বেত। স্মিতহাস্যে সদা উজ্জল দু'খানা ঠোঁট আর পুরু লেন্সের কারণে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ছোট মনে হওয়া একজোড়া পিটপিটে চোখ- তাঁর শুধু এই দুইটি জিনিস যিনি দেখবেন, তিনি তাঁকে নিতান্ত-ই কোমল মনের রসিক একজন মানুষ বলে ধরে নিবেন। যিনি শুধু তাঁর ডান হাতের দিকে তাকাবেন, তাঁকে প্রচন্ড বিদ্যানুরাগী, জ্ঞান-তাপস একজন মানুষ বলে নির্দ্বিধায় স্বীকৃতি দিবেন। কিন্তু এই দুইয়ের সাথে, বাম হাতের অদ্ভূত ভয়ংকর ভঙ্গিমায়, তীব্রভাবে দোদুল্যমান বেতখানি যিনি দেখবেন, অভিন্ন একজন মানুষের বিভিন্ন অংশের চরমতম বৈপরীত্য দৃষ্টিগোচর হবার প্রচণ্ড প্বার্শ-প্রতিক্রিয়ায়, হৃদযন্ত্রের যাবতীয় কার্যকলাপ সাঙ্গ করে তৎক্ষনাত তার ইহধাম ত্যাগ করার সমূহ সম্ভাবনা আছে বৈকি!
নজরুল ইসলামের ই-বইয়ের প্রকল্প এবং নজমুল আলবাবের কবিতা প্রকল্প দুই প্রকল্পের জন্যই লেখা লিখব, এইরকম ভাবতেছি। ভাবতে ভাবতেই, ফেসবুক নোট হিসাবে লিখা পুরান দুইটা কবিতা(?) পত্রস্থ করলাম। পুরান জিনিস বিদায় করলেই না নতুন লিখা লিখতে সুবিধা ...
মেইন গেট থেকে দৌড়ে এসে মূল বাড়ির সামনের বারান্দা থেকে ডানে টার্নিং নিয়েই পানির পাম্পের ঘর থেকে মূল বাড়িতে ঢুকবার অন্য দরজাটার সামনে থমকে যায় রানু। শুক্কুরবারের দিন, বেলা বারোটা ছুঁইছুঁই। বরফ-পানি খেলা চলছে পুরোদমে। অন্য সময়ে ব্যাপারটা বাড়ির সামনের উঠানেই সীমাবদ্ধ রাখতে হয়, নানু মোটেই এতগুলো বাঁদরের সারা বাড়ি হুড়াহুড়ি করে এটা সেটা ভেঙে, তছনছ করে তাঁর ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দেয়া পছন্দ করেন না। তাতে যে ছোট মর্কটেরা খুব একটা থেমে থাকে তা নয়, তবে তাঁর বাজখাঁই ধমককে ভয় পায় বৈকি।
নভেম্বর ২০১০
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে সাধারনত নভেম্বর মাসে বৃষ্টি হবার কথা না, তারপরও সেদিন বিকেলে সিঙ্গলটনে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সেঁতসেঁতে ঠান্ডা সেই বিকেলে সেনাবাহিনীর স্বল্প-ব্যবহৃত Dochra এয়ারফিল্ডে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সুখই-গালফস্ট্রিম এস-২১ মডেলের একটা সুপারসনিক প্রাইভেট-জেট অবতরন করল।
নিরাপত্তা কর্মী ছাড়া জেটে মাত্র দুজন আরোহী। এডওয়ার্ড স্টিফেন বুশ পেন্টাগনে কাজ করছে প্রায় ২৫ বছর হল। সেই তুলানায় সারা ব্রুককে তরুণীই বলা যায়, বয়স মাত্র ২৮। দু’বছর হল পেন্টাগনে যোগ দিয়েছে। ডিপ্লোমেটিক ফরমালিটি শেষ করে সারা এগিয়ে গেল পাশের রুমে বসা বিজ্ঞানীর দিকে। বিশাল জানলার সামনে বসে বিজ্ঞানী উদাস মনে কফিতে আয়েশী চুমুক দিচ্ছেন।
‘গ
আরো অসংখ্য সঙ্কট আর দূর্ভোগের মত শেয়ার বাজারের সংকটটিও আমাদের কাছে নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবকিছুতেই এক সময় আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাই। তেমনি এখন যারা এই বাজারের সাথে জড়িত না তারা এটাকে "দূরবর্তী ঘটনা" ধরে নিয়ে শান্তিতে আছেন। অনেকেই আছেন যাদের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ থাকলেও এটা দিয়ে ঘর-সংসার চালাতে হয় না বলে আপাতত ভুলে আছেন। ভবিষ্যতে কোন একদিন সংকট কেটে গেলে তারা ভুস করে মাথা তুলবেন। তবে কিনা দেশে ধৈর্য্য
[ডিস্ক্লেইমার : সচলে অনেক বাঘা বাঘা ফটুরে আছে। তাদের ফটুক দেখলে অন্য ফটুক দেখতে মঞ্চায় না। তারপরেও সাহস করে আমার অ-ছবি গুলো আপ্নাদের পাতে দেওয়ার দুঃসাহস দেখাচ্ছি।]
গত আগস্টে আমরা চারজন ফেনী-নিঝুম দ্বীপ-চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি-বান্দরবন-কক্সবাজার জয় করতে বের হলাম। আমাদের পরিকল্পনার ভুলে নিঝুম দ্বীপ অদেখাই থেকে গেল। তো যাই হোক ফেনীতে বন্ধুর বাড়িতে এক রাত থেকে চট্রগ্রাম গেলাম। চট্রগ্রাম ঘুরে পাহাড়ীকা-ই চড়ে রাঙ্গামাটি। গাড়ি থেকে লেক-পাহাড় পরিবেষ্টিত রাঙ্গামাটি দেখে এক কথায় বলা চলে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। তখন ছিল রমজান মাস। পুরো রাঙ্গামাটিতে পর্যটক বলতে আমারা চারজন। রাতে থাকার জন্য পর্যটনে হানা দিলাম। আমাদের পরম দূর্ভাগ্য যে বউ ছাড়া হানিমুন কটেজে রাত্রিযাপন করতে হলো।
মেঘের পরে মেঘ জমে গেছে
প্রতিদিনই বৃষ্টি পড়ছে টাপুর টুপুর টুপুর টাপুর
নদেতেও বান ডাকছে
মুড়ি, চানাচুর, ঘুগনি, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, তেল, মশলা আচার, আলুরদম, মাংসকুচি, লবন দিয়ে মাখিয়ে জম্পেশ করে খেতে খেতে পড়ার জন্য এখন একটা ইবই দরকার। বর্ষার ইবই।