[justify]বাবলা রাগে ফুঁসতে লাগল। বাসা থেকে বের হয়ে অন্ধের মতো হাঁটতে লাগল। আচ্ছা, বাবা সারাদিন খেটে এসে কেন তার সাথেই এইরকম চিৎকার করেন? আর ভালো লাগে না।
হালকা গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। ভিজতে কখনই খারাপ লাগে না বাবলার। বিকেল হলে কোয়ার্টার মাঠে ফুটবল খেলা যেত। এখন সন্ধ্যা, তাই ইচ্ছে করলেও খেলা যাবে না।
১
সুমনের বিস্ফোরিত চোখজোড়ার পলকহীন দৃষ্টি সহ্য করতে পারেনা মুরাদ। সরে গিয়ে জানালার সামনে দাঁড়ায়। বেশি সময় নাই ওদের হাতে। দ্রুত এখান থেকে সরে পড়তে হবে।
আপাততঃ গা ঢাকা দিতে হবে কিছুদিনের জন্য। মোটা অংকের টাকার টোপ হিসেবে সুমনকে মুরাদ আর ওর গুটি কয়েক বখে যাওয়া বন্ধু মিলে তিনদিন আগে উঠিয়ে এনেছিলো।
তোমায় নিয়ে ভাবনা আকাশ কুসুম,
পাইলে তোমায় ‘কেতনা যে ম্যায় খুশ্’ হুম,
জীবনটা পায় ভালোবাসার উষুম।
তোমায় আমি অনেক ভালবাসুম,
ইচ্ছামতো তোমার কাছে আসুম,
খুশীর ঠেলায় অট্টহাসি হাসুম।
প্রথম যুদ্ধ
বানু বিবি যখন নিতান্তই অপ্রাপ্তবয়স্কা কিশোরি, রুস্তম বেপারী তখন বয়:প্রাপ্ত যুবক। দুজনের বাড়ি ছিল নদীর দুই পাড়ে—পূর্বে বানু বিবি আর পশ্চিমে রুস্তম বেপারী। কিন্তু প্রকৃতির কী খেয়াল, নদীর ভাঙন বানু বিবিকেও নিয়ে এলো এই পাড়ে। ভাঙনের পর বানু বিবির বাবা নতুন ঘর তুললেন শরিয়তপুর এসে। পাশের বাড়িটিই ইকবাল আহমেদ বাচ্চুর—যেই বাড়িতেই দিনমজুরের কাজ করেন রুস্তম বেপারী। সেখানেই বানু-রুস্তমের প্রথম পরিচয়।
[justify]এসব দুপুরের রোদ আরো কড়া হয়। বাইরের আগুনের হলকা ঘরের মধ্যেও তাপ বিকোয়। রাহেলা এই ক্যাম্পে পড়ে আছে আজ প্রায় তিন মাস। তার নিজের গায়ের ঘামের গন্ধ ঘরের মধ্যে কর্কশ মৌতাত ছড়িয়ে দেয়। বাবা-মা, ছোটভাইয়ের চেহারাগুলো এই তিন মাসে একটু একটু করে আরো ঝাপসা হয়। প্রাণ বাঁচানোর একাগ্র সব আর্তনাদ কানে এখন আর গাঢ়ভাবে এসে লাগে না।
শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম সত্যজিৎভক্ত। যেমন তেমন ভক্ত নয়। ভয়াবহ ভক্ত। সত্যজিৎভক্ত আমিও। তবে আলী ইমামের মতো না। স্কুল জীবনে পথের পাঁচালি দেখে আলী ইমাম কাঁদে। অপুর জন্যে কাঁদে। দূর্গার জন্যে কাঁদে। পথের পাঁচালি দেখে আমারো মন খারাপ হয়। অপুর জন্যে। দূর্গার জন্যে। কিন্ত
গোগলের ওভারকোট পড়ার পরই আমার আলি মনসুরের কথা মনে হল। সেই গল্পের প্রসিদ্ধ কেরানি, যে মরে গিয়ে উন্মাদ ভুত হয়ে যায়, অন্যায়ের প্রতিশোধ নেয়, তার সাথে মনসুরের মিল আছে যৎকিঞ্চিৎ। প্রথমে যদিও গোগলের ওভারকোটটাই উল্টা করে লিখে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কিন্তু পরে মনে পড়ল আলি মনসুরের গল্পটাও অনেকদিন লেখা হচ্ছে না।
সবাই বাড়িতে যা আছে তাই দিয়ে দ্রুত রন্ধন বিষয়ক পোস্ট দিচ্ছে, আমারও একটু আগ্রহ হল রেসিপি ব্যাপারটা ক্যাম্নে কী একটু ট্রাই করতে। কয়দিন আগে এক বন্ধুর অনুরোধে তাকে একটা রেসিপি লিখে দিয়েছিলাম, তাতে আবার জরুরি দুই তিনটা উপকরণ লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম, তো আবার পুনঃ মেইল করে জানালাম যে, ভাইরে, এইটা এইটা না দিলে কিন্তু কোন লাভ নাই। তো সেটা ছিল জীবনের দ্বিতীয় রেসিপি লিখন, প্রথমটা লিখেছিলাম ক্লাস সেভেনের গার্হস্থ্য পরীক্ষায় এবং তা ছিল ব্যাপক জটিল একটি রেসিপি – ‘সালাদ’!!
বাহিরটা আজ দেখা হয়ে উঠেনি।হয়তো সেখানে প্রখর রৌদ্রতাপেও মানুষ ছুটে চলেছে জীবনের তাগিদে।আমার ভুবনে আমি একা আছি,নিজেতে ডুবে আছি।জানালাটা খুলে দেখি বেলা পরে আসছে।তবু বন্ধ করে দিলাম ওটাকে।থাক,একটা দিন সময় ভুলেই দেখিনা।হোক বাইরে দিন কিংবা রাত।আমি শুধু জানি,আমার এখন সময় বয়ে যাচ্ছে।দিন-রাত বুঝতে ইচ্ছে করছেনা।