[justify]বিষ্যুৎবারে সন্ধ্যা ঠিকই নামে। রাত আটটার আগেই বাবা আমার ব্যাগ রেডি করে রাখে। বোবা দরজার কাছে চুপ করে বসে থাকে। অনুপদের বাসায় শান্ত হয়ে থাকার কথা একবার মাত্র বলে বোবার হাতে আমাকে দিয়ে আস্তে করে দরজা বন্ধ করে দেয়। আমার সামনে তখন ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, গাছমণ্ডলী আর পুকুর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। বোবা হাঁটতে থাকলে আমিও তার সাথে চলতে শুরু করি। কুকুর ভোলা কিছুক্ষণ কুঁইকুঁই করে আমার সাথে এসে পরে আবার বাবার
ধন নয় মান নয় এতটুকু বাসা, করেছিনু আশা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
[justify]বসতবাড়ির প্রতি এই আশা সার্বজনীন। তা মানুষ-ই হোক আর পশুপাখি। বাড়ি তো কেবল আশ্রয় নয়, জীবনযাপনের অনুষঙ্গও বটে। বাড়ির সৌকর্যে রুচির প্রকাশ, নির্মাণে প্রতিভার। বাবুই পাখির মত ওস্তাদ কারিগর, মৌমছির মত স্থপতি বিস্ময়ের উদ্রেক করে। কিন্তু নির্মাণশৈলীতে যারা অপটু? আলোকচিত্রে আজকে তাদের কথাই বলবো।
[right][i]“আমি তোমায় সন্তান দিতে পারব। উত্তম বীজ উত্তম ফসল। তোমার সন্তান খাঁটি মুসলমান হবে, খোদার ওপর ঈমাণ রাখবে, আন্তরিক পাকিস্তানী হবে, চাওনা সেই সন্তান?
বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেট কোচ জেমি সিডন্স। মাত্র গত সপ্তাহেই তিনি নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেলেন। চার বছরে বাংলাদেশকে তিনি কম চিনেননি। আমরাও তাঁকে কম জানিনি। যাওয়ার আগে এদেশের অনেক ক্রীড়ামোদীর শ্রদ্ধামিশ্রিত ভালোবাসা তাঁকে ঘিরে ছিল। কিন্তু নিজের দেশে ফিরে যেতে না যেতেই তিনি যেসব কথাবার্তা বলতে শুরু করেছেন তা শুনলে অবাক হতেই হয়।
কোকিল ডেকেই চলে মগডালে
কোকিলারা আসে না শিমুলতলে!
আজকাল কোকিলারা বড়োই সংসারী
ভাল্লাগে না কোকিলের বাউলেপনা স্বভাব
নির্মল বাতাসে বসন্তের গান পৌঁছে না হৃদয়কোণে
গাছে গাছে ওড়াওড়ি, দিনভর একটানা গান- আদিখ্যেতা
বরং কাকের কা কা ডাক অনেক মধুর, অনেক সুরেলা
ছিমছাম পরিপাটি বাসায় এলানো যায় ক্লান্ত দেহ
পরিশ্রান্ত দিনের শেষে আনন্দ প্রহর, পরিতৃপ্ত সঙ্গম
কোকিলের কি আছে সে মুরদ বানাতে বাসা!
সমীকরণ
ভূমিকা :
শ'র যখন মন খারাপ থাকে,স তখন মনমরা থাকে।স বলে এটা নাকি ভীষণ সংক্রামক।শ থেকে স-এ নাকি এটা মারীর মত ছড়ায়।
স'র মন খারাপ হলে শ'র তোড়জোড়টা হয় দেখার মত।মনমরা তো নয়ই,বরং উচ্ছাসটা ফুলেফেপে ওঠে শ'র। "ভালো থাকা" টা ভাগাভাগিও করতে শ'র ভারি উৎসাহ।
উপসংহার :
মায়েস্থেনিয়া গ্রাভিচ (এম জি) অতি বিরল আমরন এক অসুখ, যার পরীক্ষিত কোন চিকিৎসা বা ঔষধ নেই; আছে কিছু পরীক্ষনীয় ঔষধ। ভয়াবহ সেই অসুখের সাথে যুদ্ধ এবং তা জয় করার সত্য গল্প।
চার
প্রথম সন্ধ্যাটির কথা মনে আছে স্পষ্ট। খালের দুই পাশে খাড়া পারে সটান ভুরু কুঁচকে দাঁড়িয়ে প্রকাণ্ড সব ঋজু নাম না জানা বৃক্ষ, তাদের পাতার আড়ালে লুকানোর নিরর্থক চেষ্টা করছিলো আমার পিছু নেয়া চেরা চাঁদ, তাই আমার ছোট্টো ডিঙিযাত্রার পুরোটাই ছিলো গাছের পাতার বীভৎস সব ছায়ায় রঞ্জিত। সরু খালে নিরুদ্বিগ্ন কুমীরের মতো লগির ঠেলায় ভেসে চলছিলো আমার ডিঙি, যতক্ষণ পর্যন্ত পারুলবালার ঘর বরাবর খালের পাশে একটা হিজল গাছের গোড়ায় লাল কাগজে মোড়ানো হারিকেনটা এসে না দাঁড়ালো। পারুলবালা রেখে গিয়েছিলো সেই লণ্ঠন, হয়তো সূর্য ডোবার পরপরই।
নিয়মিত, ছন্দময় পতন। শাড়ি উঠে গিয়ে কালো উরু ঝিক ঝিক। রোদটা চড়া খুব, চামড়ার উপর মোমের মত গলে গলে পড়ে। প্রতিপতনে ভেঙ্গেচুড়ে আসে নিঃসংকোচ সুঠাম দেহ। চাপড়া চাপড়া কালো মাটির সঙ্গে মিশে যায় গুড়ো গুড়ো হয়ে, মুহূর্তেই আবার ঝিকিয়ে ওঠে কালো উরু।
পাহাড়ি, স্যার!কয়লা তুলে
হুম? রূপক চমকে তাকায় , তোতা মিয়া অবশ্য বাঙালি, এ যাত্রায় তাদের গাইড।
এইখানে নদীতে কয়লা পাওয়া যায় স্যার, আর চিনামাটি।
শিরোনাম:: 'এক বিষাদ সন্ধ্যা নেমে আসুক বিষাদে'
মনন:: নাগরিক সন্ধ্যা যদি তার রূপ বদলায়।
এক বিষাদ সন্ধ্যা নেমে আসুক বিষাদে
ধূসর হবে না, হবে না ধূলিনির্ঝর;
অথচ পাতার মর্মর শব্দ থাকবে, শুকনো হলুদ
আভা বুনে গেঁথে যাবে শহর সরু পথ
ক্রিং ক্রিং আড়ষ্টে কুপোকাত হবে না বার্ধক্য
সোনালি মুখের শৈশব হাতে হেঁটে যাবে দিগন্তাবির ছুঁয়ে।
পাশে নদী থাকতে পারে, থাকতে পারে শীতল হাওয়াও!