[justify][১]
সপ্তসপ্ততিতমে বর্ষে সপ্তমে মাসে সপ্তমী/ রাত্রিভীমরথী নাম নরাণাংদুরতিক্রমা ... সপ্তসপ্ততিতম বৎসরের সপ্তম মাসের সপ্তম দিবসের রাত্রি ভীষণ, কারণ, ইহা দুরতিক্রম, অর্থাৎ সাধারণে এরূপ দীর্ঘজীবী হয় না। ভীমরথী থেকে ভীমরতি।
বৃদ্ধ পুরুষের চিত্তবৈকল্যের একটা কারণ এই বাংলা বাগধারায় আছে - তিনি সাতাত্তর বছর সাত মাস সাত দিনের তক্তা ডিঙিয়েছেন। বাগধারা যদি ঢালাওভাবে নির্দিষ্ট বয়সের লোকের প্রতি নিষ্ঠুর হয়ে থাকে সে দায় বর্তমান লেখকের না। কিন্তু আনন্দেই হোক, বা বার্ধক্যের দানে, এরূপ লোক আচরণ ও ভাষার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। লোকমানসে এই নিয়ন্ত্রণহীনতা পরিহাস্যকর যৌন ব্যর্থতা দ্বারা সংজ্ঞায়িত।
আমাদের জাতীয় সাহিত্যের লোকপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ ভীমরতিপ্রাপ্ত হয়েছেন।
[justify]শাহাদুজ্জামানের সাথে পয়লা মোলাকাত হয়েছিল কয়েকটি বিহবল গল্প বইটিতে। আক্ষরিক অর্থেই গল্পগুলো পড়ে বিহবল হয়েছিলাম, বাঁধাগতের বাইরে একেবারেই আলাদা ঢঙ্গে লেখা, তারিয়ে তারিয়েই পড়েছিলাম। এরপর প্রথম মওকাতেই পড়ে ফেললাম তাঁর দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ, পশ্চিমের মেঘে সোনার সিংহ। এই বইটিতেও নিরীক্ষা নিয়ে লেখকের প্রয়াস লক্ষণীয়, প্রথাগত ধারার বাইরে গিয়ে এই বইতে আমি আবিষ্কার করি নতুন একজন শাহাদুজ্জামানকে।
[justify]দিনটা ছিলো ২৬ এপ্রিল, গতবছর, ২০১০ সাল। বরাবরের মতোই একটা দিন। ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশন ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর) এর একজন কর্মকর্তা বন্ধু জানালো যে বিকেলে ওরা কয়েকজন একটা সেটেলমেন্ট পরিদর্শনে যাবে। জায়গাটার নাম বুলো তাওয়াক্কাল। বুলো মানে ক্যাম্প বা গ্রাম, দুটোই হয়। ৮০০’র মতো পরিবার এখানে বসবাস করে। সোমালিয়ার সেমি অটোনোমাস স্টেট পুন্টল্যাণ্ডের প্রায় সব সংস্থাই এখানে কাজ করে। তারমধ্যে আমাদে
*
তুমি বাড়ীর পথে ছিলে, যখন তুমি মারা যাও।
গাড়ীতে ছিলে, ভেঙ্গেচূড়ে পড়েছিলো তোমাকে নিয়ে। তোমার স্ত্রী আর দুই সন্তান রয়ে গেলো। মারা গেলে। সাদা এপ্রনের ওরা সব করেছিলো, যা কিছু করা যায়- কিন্তু। খুব করে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিলে তুমি, যেমন তোমার গাড়ীর সব কাঁচ, কিংবা সব স্বপ্ন তোমার। বিশ্বাস করো তোমার চলে যাওয়াই ভালো ছিলো সব থেকে।
তারপর, আমাকে দেখলে তুমি। আমি, তুমি।
এই বিশাল জীব-বৈচিত্র্য দেখে যখন আমরা খোদার কেরামতির উপর ভক্তিতে গদগদ হয়ে যাই, তখন আজাইরা জীববিজ্ঞানীরা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন, বাছা! কুয়ার ব্যাঙের মতো ফাল পাইরো না। একটু শোনো। তারা শোনাতে চান, সাড়ে তিনশ কোটি বছর আগে প্রাণের উৎপত্তির সূচনা থেকে আজ অবধি প্রকৃতিতে উদ্ভব হওয়া ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ প্রাণী পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বিকাশের সাথে সাথেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। টিকে আছে দশভাগেরও কম। ভিন্ন প্রজাতির কথা বাদ দেই। নির্দিষ্ট একটি প্রজাতির দিকে তাকালেও ঠিক একই ঘটনা আমাদের চোখে পড়ে। আপনার নিকটবর্তী আম গাছে লক্ষাধিক মুকুল থেকে কয়টি আম ধরে? দশভাগ বললে তো বোধ হয় বেশি হয়ে যাবে। খোদা সবকিছুতে সর্বশক্তিমান হলেও সৃষ্টিতে তাঁর হাত কাঁপে। ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর' এর মাধ্যমে একটি ভালো প্রজাতির উদ্ভব ঘটানোর জন্য তিনি বিনা গ্লানিতে হত্যা করেন অসংখ্য।
নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা বাপটাকে দেখে একবার।
বাড়ির সামনে বসে ধূপের ধোঁয়ায় হেরোইনের গন্ধ ঢাকবার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় রত।
বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই দেখে গৃহশিক্ষক বসা।
এই লোকটাকে তার খুব একটা পছন্দ না। তবুও রেখেছে। কথা বেশি বললেও যন্ত্রণা দেয় না। কোন অনর্থক নালিশ করে না।
দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায় দোতলায়।
[justify]
পাবলো নেরুদার কিছু কবিতা অনুবাদ করেছিলাম। সেগুলো পড়ে আহসান ভাই (ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাই, দারুণ ছোটগল্প লিখেন) আরও কিছু কবিতা দিয়েছিলেন ব্যোদলেয়ার ও গার্সিয়া লোরকার। এর মধ্যে থেকে ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকার দুটি কবিতা আজ অনুবাদ করছি।
বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া আর আসার ব্যাপারটা অনেকদিন ধরেই দেখি। ঝিনাইদহে দেখেছি। খুলানাতে দেখেছি। ঢাকতেও দেখছি। তবে ঢাকার ব্যাপারটা একটু বাড়াবড়ি রকমেরই। অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তিত হবেন - এটা খুবই স্বাভাবিক। আর আমাদের রাস্তাঘাটও দিন দিন আরো অনিরাপদ হয়ে উঠছে যেন। হেটে চলার মত পর্যাপ্ত জায়গা আমাদের রাস্তাতে নেইই। তার উপর যে রাস্তা যন্ত্রযানের জন্যই নিরাপদ না তা মানুষের জন্য কতটা নিরাপদ হ
মা শৈশবে খুব দুরন্ত ছিল। তার দুরন্তপনার নানান গল্প ছড়িয়ে আছে গ্রামে। নানিজীর মুখে সেসব শুনেছি আমরা। গ্রামের বড়রা গল্প করতো, মা নিজেও বলে। অন্যদের মুখে শোনার চেয়ে মায়ের নিজের বলাটা শুনতে বেশি ভালো লাগে। তার গল্প বলার এমন চমৎকার ভঙ্গি, এমন জমিয়ে গল্প করে, আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার শৈশব গিলতে থাকি। দম ফাটানো হাসি, রুমাঞ্চ কিংবা কান্নার গল্পগুলো। মা খুব বুদ্ধিমান, কোন গল্পটা শুনলে আমাদের মন খারাপ হয়,