Archive - 2011 - ব্লগ

April 23rd

আরগস

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: শনি, ২৩/০৪/২০১১ - ১১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ও অফিসে রওনা হলে আমি নিজের মতো একা হয়ে পড়ি। চুলায় পানি ফোটাতে দেই। ডাইনিং টেবিলে পড়ে থাকা এঁটো থালা আর অর্ধেক চা-সহ চায়ের কাপ সিঙ্কে রেখে পানি ছাড়ি। চায়ের বাকিটা আস্তে আস্তে রঙ পালটে পানির রঙ নিতে থাকে। পানি ফুটে গেলে কাপে ঢেলে চায়ের একটা ব্যাগ ছাড়ি। পানি তার বর্ণ বদলায়। দেয়ালে একটা টিকটিকি টিক-টিক আওয়াজ করে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় আমাদের ছবির পেছনে অদৃশ্য হয়।


আমার বন্ধু রাহাত খানঃ একটি ছড়ার জন্ম কাহিনি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফর রহমান রিটন (তারিখ: শনি, ২৩/০৪/২০১১ - ৫:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


গেরিলা একটি যুদ্ধ বিষয়ক বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৩/০৪/২০১১ - ১:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গেরিলা একটি যুদ্ধ বিষয়ক বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র

গেরিলা দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হল। জানা ছিল এটি মুক্তিযুদ্ধের ছবি এবং নির্মাণ করেছেন একজন মুক্তিযোদ্ধা যিনি বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিত্ব। তাঁর সহায়তায় ছিলেন বর্তমানের কয়েকজন তরুণ নির্মাতা যাদেরকে হরদম মিডিয়ায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ভবিষ্যত কর্ণধার বিবেচনা করা হচ্ছে। তাই ছবিটি নিয়ে জল্পনা কল্পনা ছিল, ছিল প্রবল আগ্রহ। আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য যে এই ছবিটি বেশ বড় বাজেটে নির্মিত; এর কলাকুশলী বেশ দক্ষ ও সৃজনশীল হিসেবে পরিচিত। এরকম বিশদ কলেবরে বাংলাদেশে এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় নাই।


অস্তিত্বহীন অস্তিত্ব

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি
লিখেছেন মৃত্যুময় ঈষৎ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৩/০৪/২০১১ - ১২:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিরোনাম:: 'অস্তিত্বহীন অস্তিত্ব'
মনন:: উৎসবেও নিরবত্ব
লিখিত:: ২২ এপ্রিল ২০১১।

সবাই তোমার ঘরে থাকে, আমি নেই
তাদের আসা যাওয়া পদভারে ভারী আকাশ
মেঘলা দেখি আমি তুমি নেই ওপারে নীলে
সবাই মিশে থাকে হরষে আমি তবু আড়ালে
কাঁপন তুলে পর্দায় তোমাদের সব কথামালা
ছিন্ন করে দ্বার- আসে এখানে আমার একার
পথচলা রাতে, পথ হয় না যে শেষ
শুনি উৎসব ঐখানে হুল্লোড়- আশা কত যে


মেঘ রোদ্দুরের স্বপ্নে

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি
লিখেছেন সাবরিনা সুলতানা (তারিখ: শুক্র, ২২/০৪/২০১১ - ৭:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাবরিনা সুলতানা

-এই যে শুনছেন!
-উমম...
-উহু এসব উম-আম এসব চলবে না, একটু উঠুন তো
-হুমম ...এই ...
-বড্ড জ্বালান! উঠুন, নাহলে পানিতে ভিজিয়ে দেবো
-উফফ...এই রাত ভোরে কি শুরু করলেন!
-যা ইচ্ছা তাই ...এক্ষুনি উঠুন। দেখুন না কি অদ্ভুদ সুন্দর মেঘ রঙা আকাশ! বারান্দায় যাবো
-গেলেই হয়। আমাকে নিয়ে কেনো টানাটানি
-আহহা চলেন না প্লিজ... প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ


এতদিন কোথায় ছিলেন?

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২২/০৪/২০১১ - ৬:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব

আমার বয়স হয়েছে। একটা বয়স ছিলো, সেই বয়সটার চরিত্রই হয়তো বন্য ষাঁড়ের মতো। ক্ষেপে ফুঁসে উঠার গুণে অমিত তেজোদৃপ্ত। সে বয়স আমারও ছিল, এখন নেই। রক্তে তেজ নেই, গতিতে জড়তা থিতু হবার অপেক্ষায়। এখন অসঙ্গতি দেখলে প্রতিবাদী হই না, ব্যথা পাই। যা কিছু অশোভন মনে হয় নিজের কাছে, তা আর আমাকে ক্ষুব্ধ করে না, আহত কিম্বা বেদনার্ত করে।


April 22nd

দয়া-কাঠামো-কর্তৃপক্ষ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শুক্র, ২২/০৪/২০১১ - ১:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]দয়া* ও কাঠামো

দয়া-ক্লান্তি। কমপ্যাশন ফ্যাটিগ ইংরেজদের দেয়া নাম। আমরা এদিকটায় জানি, দয়া ধর্ম। প্রচারমাধ্যমে অতি-প্রচারিত দৃশ্যগুলো আমাদের কারো কারো মনে এখন আর দয়ার জন্ম দেয় না। কান্না, চিৎকার, লাশ হয়ে যাওয়া এইসব কোনো কিছুই। কান্নার প্রতি, চিৎকারের প্রতি, লাশের প্রতি (প্রায়) পর্নোগ্রাফিক আকর্ষণের স্তরটিও আমরা কিছুকাল হল পার হয়ে এসেছি। একদা অতিপ্রচারকে ঐ দয়া-ক্লান্তির উৎস বলে মনে হত। এখন মনে হয় কেবল অতিপ্রচারই নয়, খবরের পুনরাবৃত্ত কাঠামোগুলোরও রয়েছে দয়া কেড়ে নেয়ার বিশেষ ক্ষমতা। কাঠামো আমাদের দয়া-ক্লান্তি দেয়। ক্রসফায়ারের গল্পগুলো মনে করবেন এইখানে।


সিকিম - ঝর্ণা যেথায় বসত করে - ১

দময়ন্তী এর ছবি
লিখেছেন দময়ন্তী (তারিখ: শুক্র, ২২/০৪/২০১১ - ১২:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলের ই-বইয়ে দেব বলে লিখতে বসে দেখি আমি এমন হ্যাজানো পাবলিক যে পুরো সিকিম নিয়ে লিখতে গেলে আস্ত একটা ই-বইই হয়ে যাবে৷ অগত্যা মাঝের এক টুকরো সেখানে দিয়ে বাকীটা ভাবলাম আস্তে আস্তে লিখে ফেলি৷ তা, এই রইল প্রথম টুকরো৷


স্মৃতিপাঠে বিদ্যাপীঠঃ প্রথম প্রাথমিকতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২২/০৪/২০১১ - ৮:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমার প্রথম স্কুলের স্মৃতি তেমন মনে নেই, অল্প কিছু ছাড়া। আমার যে ঘিলু, তাতে না থাকাই স্বাভাবিক। এইনিয়ে আমার আক্ষেপ নেই, শুধু মাঝে মাঝে একটু দুঃখ পাই। আমার পরিচিত বন্ধুরা কী সুন্দর করে তাদের প্রথম স্কুলের নানা স্মরণীয় ঘটনা আওড়ে নিজেদের শৈশবের অমৃত আস্বাদন করে। আর আমি তা শুনে শুনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই। ব্যাপারটা বড়ই বেদনাদায়ক। এবং নিজের কাছে চরম অস্বস্তিকর। মানুষের জীবনের অন্যতম চমৎকার একটা সময়ের স্মৃতি তেমন কিছুই মনে নেই! সব হজম করে ফেলেছি! এ কীভাবে সম্ভব? মাথায় মাঝে মাঝে একান্তে ঝাঁকি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি কোন মডেলের হাঁদারাম এটা। টকটক শব্দ হয় শুধু, আর কিছু মেলেনা। ইদানিং পরিচিত কয়েকজনের স্কুলের প্রথম অভিজ্ঞতার কিছু অসাধারণ রোমন্থন পড়লাম। তারপর থেকে বেশি বেশি মনে করার চেষ্টা করছি নিজের স্মৃতি। কিন্তু ঘুরেফিরে মনে থাকা ঘটনাই আবার চলে আসছে স্মরণে। নতুন কিছু মিলছেনা। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, সাথে একটা সেই সময়ের শোনা


একটি রেসিপি প্রস্তুতপ্রণালীঃ স্পাইসি এন্ড সাওয়ার গার্লিক শ্রিম্প

টিউলিপ এর ছবি
লিখেছেন টিউলিপ [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৪/২০১১ - ১০:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার বাইরে পড়তে আসার সময় বাবা মার সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিলো তাদের মেয়ে খাবে কী? কারণ মেয়ে রান্নাঘরে ঢোকে নি জীবনেও। ছোটবেলায় মা ঢুকতে দিতো না, সেটাই অভ্যেস হয়ে গিয়েছিলো। ভিসা হয়ে যাওয়ার পরে একটু আধটু শেখানোর চেষ্টা চললেও ব্যস্ততার কারণে তাই রান্না বিষয়ে প্রায় শুন্য জ্ঞান নিয়েই চলে আসলাম। ঝুলিতে আছে খালি ভাইয়ার কাছে দেখা একটু বেসিক, আর তাঁর উপদেশ “রান্না হলো কেমিস্ট্রি, যা করছো সেটা কেন করছো চিন্তা করে দেখবে।”