কয়েকদিন আগে নাট্যকর্মীদের একটা রবীন্দ্রমন্থন আড্ডা গড়াতে গড়াতে এসে পড়ে গান্ধারীর আবেদন- কর্ণ-কুন্তী সংবাদ আর বিদায় অভিশাপ; তিনটি কাব্যনাটিকায়। তিনটাই রবীন্দ্রনাথের মহাভারত পুনর্লেখন কিংবা পুনর্পাঠ। আমি ভাবার চেষ্টা করি রবীন্দ্রনাথ কি এই তিনটা কাহিনীর বাইরে মহাভারতের আর কোনো কাহিনী পুনর্লেখন করেছেন?
প্রস্তাবনাটা এসেছিল এই মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগেই সচল অমিত আহমেদের কাছ থেকে, যে এবারের পহেলা বৈশাখ ১৪১৮ তে অন্যান্য বারের মতোই সচলায়তন থেকে কোন ই-বই বের হবে কিনা। আসলেই, পহেলা বৈশাখের ই-বই বের করার প্রতিবারের ঐতিহ্য না ভেঙে বরং দ্রুত সিদ্ধান্ত হয় এবারের ই-বইয়ের বিষয়, লেখা জমা দেবার তারিখ এগুলো। এবারের বিষয় নির্ধারণ করা হয় ‘ভ্রমণ’। সম্পাদনা পরিষদ থেকে নজরুল ভাই পোস্ট দেন লেখা চেয়ে। সকলের কাছ থেকে চমৎকার সাড়া মেলায় শুরু হয় ই-বুকের কাজ।
সাঁই, ত্রিশটি বঙ্গাব্দ জীবনের গ্লানি টেনে-টুনে
কীভাবে যে হারিয়ে গেল! একত্রিশে এসে তোমার
কাছে এই প্রশ্ন— এত ঋতু চোখের সামনে গেল
বর্ষা-বসন্ত এলো, একটুও বদলাইনি আমি…
যেমন বদলায়নি হ্যান্ডসাম-রুচি, অপেক্ষাবাগান
কেন যে আমি সেই আমারই মতন!
তোমার তুলনা কেবলি তুমি— যায় দিকে আয়নাও
ফিরে-ফিরে তাকায়। পিছে কেবল একজন দোটানায়
তেটানায় ভাবে ১৪১৭ বঙ্গাব্দ শেষমুহূর্তভাবনা…
সবাইকে নববর্ষের বালতি বালতি শুভেচ্ছা! আজ সবারই ফূর্তির দিন, ঝাকানাকা-কিংকু-বদরু কেন একে অন্যকে তাড়া করে বেড়াবে?
মূল শিরোনাম:
বাউল নিপীড়ন, শহুরে বাবু সংস্কৃতি ও তার বিরুদ্ধে লালনের লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষা...
রচনাকার: যিশু মহমমদ
০১.
‘না জেনে মজো না পিরীতে
জেনে শুনে করো পিরীত
শেষ ভালো দাঁড়ায় যাতে’
শিরোনাম:: 'দহনাহ্বান'
মনন:: স্মৃতিচর।
কালো পিচের প্রশস্ত পথ
ছড়ায় বিষণ্নতা শতাব্দীকাল;
হলুদ দুপুর গড়িয়ে গোধুলিবেলা,
হেঁটে চলেছি পদছাপ ফেলে রেখে পিছনে,
কোনো আড়ষ্টতা ছোঁয়নি আমায়;
আকাশে সফেন মেঘ জমেছে,
নীল বেদনায় ভারী এপাশ ওপাশ,
তবু হেঁটে চলেছি অদেখা দিগন্তে,
ছুঁয়ে দিতে বছরের শেষ অস্তাচল!
হাতে ছোঁয়া রক্তিম রঙ ছড়ায় কোমল অনুরাগ;
পৃথিবীকে দেবার কী থাকে আর-
অশীতিপর বৃদ্ধ যখন অভুক্ত শরীর নিয়ে ঘর্মাক্ত দেহে রিক্সায় প্যাডেল মারে,
তখন প্যাসেঞ্জারের সিটে বসে প্রিয়ার সাথে নির্জনতার সুযোগ নিতে নিতে ভাবি;
ভালোই তো আছি।
রাস্তার পাশে ধূলোধূসর দেহে যখন অভুক্ত মা তার শিশুকে নিয়ে ভিক্ষা করে,
তখন চোখটাকে রঙিন কাঁচ দিয়ে আড়াল করে, দুটি টাকা ছুড়ে দিয়ে মহত্বের বুলি আউরে ভাবি;
ভালোই তো আছি।
গভীর রাতে যখন অজস্র কিশোরীর সম্ভ্রম বিকোয় একমুঠো ভাতের দামে,
বইটা শেষ করার পর পপীপ আমাকে বলল, 'কী-ই? কেমন মনে হয়?'
আমি হাসি। জোরালো হাসি নয়, হালকা হাসি।
পপীপ জোর করে কথা আদায় করতে চায়। 'হাসলে হবে না, তোমাকে বলতে হবে।'