Archive - 2011 - ব্লগ

April 8th

বুলগেরিয়ার গল্প-০৪

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৪/২০১১ - ৪:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১. ভালোবাসাবাসির জায়গা

দুপুরে এমা বসের রুমে গিয়ে বললো, “আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। আমি কি এখন চলে যেতে পারি”? কাজের চাপ কম থাকায় যাবার অনুমতি মিললো। অফিস থেকে বের হতে এমা দেখলো অফিস বিল্ডিং-এর বাইরে পল অপেক্ষা করছে। পল ভাবলো, ছ’টা বাজতে এখনো অনেক দেরী। তারমানে এমার স্বামী বাসায় ফেরার আগে যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে। তাহলে আজ কোথায় হতে পারে? শেষবার বড় সুপার মার্কেটটার মাটির নিচের কার পার্কিং-এ হয়েছিলো। কয়েকশ’ গাড়ির মধ্যে কে কোন গাড়িতে কী করছে কেউ সেটা বুঝতে পারেনি। আশে-পাশে লোকজনের আনাগোনার সম্ভাবনা যতোটা বাড়ে, এমার মধ্যে উত্তেজনাও ততোটাই বাড়ে। যে জায়গা যতো বেশি বিপদজনক সেখানে মিলিত হবার মজা ততো বেশি!


মায়ামৃগের সন্ধানে

শেখ জলিল এর ছবি
লিখেছেন শেখ জলিল (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৪/২০১১ - ৮:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মায়ামৃগের সন্ধানে একদিন অভয়ারণ্যে গিয়েছিলাম
এক হাতে ছিলো উদ্যত ধনুক অন্য হাতে তীর
পাকা শিকারীর বেশে ঘুরেফিরে সারা বন
অবশেষে যখন কংসের তীরে পৌঁছলাম
সন্ধ্যার আবির রাঙালো আকাশ, নদীজলে ক্লান্ত ঢেউ
আরেকটি দিবসের অপেক্ষায় রইলো উদ্ভ্রান্ত মন
আমার দুচোখে স্মৃতি দগ্ধময় রাত্রির প্রহর।

তুমি বলেছিলে- এই হাতে সূর্যোদয় হবে একদিন
দিনের আলোয় দেখাবে ভালোবাসার যাতো পথ


বিবাগিনীর এলোপাতাড়ি

বিবাগিনী এর ছবি
লিখেছেন বিবাগিনী (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৪/২০১১ - ৪:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এতদিন পরে এসে খটমটে আর জ্বালাময়ী ধরনের সব লেখা পড়ে মাথা ঝাইঝাই করছে। তাই ভাবলাম সাইসাই করে কিছু লিখে ফেলি তাহলে মাথার ভিতরের হাউকাউটা থামবে। তো ঠিকাছে ‌‌যথারীতি ব্লগরব্লগর। কিন্তু শান্তির মা মারা গেছে।শান্তি নাই।বাংলা লেখা পুরাই গেছি ভুলে। ধুর। কেমন যেন আজকাল সব জট পাকিয়ে যায়। সারা জীবন যত্নে লালিত বৈষ্ণবী কাট দেয়া চুলের জটগুলো মাথার ভেতরে ঢুকে যায়।


স্মৃতির শহরে রাশেদের সাথে

অদ্রোহ এর ছবি
লিখেছেন অদ্রোহ [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৪/২০১১ - ১২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
দিনটা ছিল বোশেখের এক রৌদ্রতপ্ত দুপুর, এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে। খাওয়ার সময় দুদন্ড জিরিয়ে নেওয়ার আগে আলগোছে হাতে তুলে নিয়েছিলাম বইটি। এরপরের ঘন্টাখানেক আমি আক্ষরিক অর্থেই বুঁদ হয়ে ছিলাম, মুহুর্তের জন্যও চোখ সরাইনি(বা বলা ভাল সরাতে পারিনি) বইয়ের পাতা থেকে । চোখের কোনায় পানি চকচক করেছিল কিনা মনে নেই, তবে পড়া শেষে ভেতরটা ভীষণরকম কুঁকড়ে গিয়েছিল, সেটা দিব্যি দিয়েই বলা যায়। রাশেদের সাথে আমার পয়লা মোলাকাত হল এভাবেই, আর প্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের আমার বন্ধু রাশেদ চলে গেল প্রিয় বইগুলোর ছোট্ট তালিকার কাতারে।


| ক্ষুদ্রঋণের সুদ গণনা ও গ্রামীণ ব্যাংক বিতর্ক |

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৪/২০১১ - ১০:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ মাইক্রোক্রেডিট বা গ্রামীণ ব্যাংকের সমালোচকরা তাঁদের আলোচনায় বা বিতর্কে অন্যতম জোরালো পয়েন্ট হিসেবে যে অভিযোগটি উত্থাপনের মাধ্যমে অন্যান্য অভিযোগগুলোকে যুক্তিসিদ্ধতায় অব্যর্থ করে তুলতে সচেষ্ট হয়ে ওঠেন তা হচ্ছে ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার (Rate of Interest)। অথচ এ বিষয়টির স্পষ্ট একটা তথ্যগত ধারণা বা চিত্র খুব স্বাভাবিকভাবে দায়িত্বশীল কোন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হলে বর্তমানে প্রচলিত কিছু মিথজুজুর অদ্ভুত বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতো না এবং অন্যান্য সৃষ্ট অভিযোগগুলোর বস্তুনিষ্ঠতাও অধিকতর সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা যেতো। ]


ঘরেফেরা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৪/২০১১ - ১০:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অমিতাভ দেব চৌধুরী

শেষে ফিরে আসি নিজেরই ঘরের দ্বারে
পৃথিবী তখন ঘন মেঘে অচেতন
আমার ফেরার পথে জাগে অনাদরে
একটি কুকুর---দেবতার আয়োজন ?


স্বপ্ন দেখি তোমায় নিয়ে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৪/২০১১ - ১০:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বপ্ন দেখি তোমায় নিয়ে

হাতে কলম নিয়ে কতদিন ভেবেছি তোমায় নিয়ে কিছু লিখব । কিন্তু লেখা হয়নি । না গল্প, না কবিতা, না একটি ছোট্ট অনুকাব্য । তুমি রয়ে গেছো হৃদয়েই, কখনো ভাষায় প্রকাশ করা হয়নি । কখনো বলতে পারি নি, কতটা ভালোবাসি তোমাকে । তবুও কেন যেন বড্ডো বেশি ইচ্ছে করে বিশ্বাস করতে যে, তুমি জানো আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি । তুমি জানো তোমার ছোঁয়ায়, তোমার স্বপনে, তোমার ভাবনায় আমি কতটা আলোড়িত হই । কতটা অনুপ্রাণিত হই যখন তোমায় স্বপ্ন দেখি । আর তাই হৃদয়ের বদ্ধশিকল ভেঙ্গে ঠিক করেছি তোমায় নিয়ে লিখবই আর চিৎকার করে বলবই, “হে বঙ্গজননী, আমি তোমাকে ভালোবাসি, অনেক অনেক ভালোবাসি ।”


ভীরু ও কাপুরুষ ছেলেগুলোর গল্প: পটভূমি বুয়েট

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৪/২০১১ - ৯:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কেস স্টাডি ০১

শুরুতেই আপনাদের একটা দুঃসংবাদ দিই। দুঃসংবাদটি প্রথম শুনি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে। ওর জবানীতেই বলিঃ


April 7th

স্বপ্নযাপন

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৪/২০১১ - ২:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তখন মেঘলা দিন। পরানমাঝির মাথার উপরে পুরোনো খড়ের চাল; পায়ের নিচে চাল চুঁইয়ে পড়া পানিতে কাদাকাদা মেটেল মেঝে আর বাঁশের খুঁটিগুলো নরম মাটিতে পড়োপড়ো প্রায়...


হুজুর ও হিজাব

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৪/২০১১ - ৯:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার মাঝে মধ্যেই মাথা বানাতে ইচ্ছে করে। চকোরি সেলুনে ঢোকামাত্র সিদ্দিক দাঁত কেলিয়ে হাসে। হাতের কাজ শেষ করেই আমাকে ধরে। খালি কি শুধু বানামু? আমি মাথা নাড়ি। সিদ্দিকের হাতের জাদুতে একটু পরেই চোখ বন্ধ করে ফেলি। এক আধবার চোখ খুললে চশমাবিহীন চোখে আয়না দিয়ে দেয়ালে সাঁটানো ময়ূরীকে দেখে মনে হয় ছোট বৃত্ত, বিশাল বড় বৃত্ত ও মাঝারি সাইজের উপবৃত্ত এই তিনটি পরস্পর গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। চোখের উত্তরাধুনিকতা মালুম করে চোখ বন্ধ করে ফেলি। সিদ্দিকের খুব খারাপ অভ্যাস আছে। ব্যাটা পান খায়। পিচিক পিচিক করে করে পিক ফেলে চিলমচিতে। তবে ব্যাটার হাতটা ভালো। চোখ বন্ধ হয়ে আসলে আমি ময়ূরীকে সরিয়ে হালের সেনসেশান পুনম পাণ্ডের কথা ভাবি। মেয়েটা নিজেকে উন্মোচনের জন্য একটা নিরপেক্ষ ভেন্যু চায়। সিদ্দিক আমার মাথার মধ্য থেকে পুনম পাণ্ডেকে এক ধাক্কায় সরিয়ে দেয়।