এক সপ্তাহ থেকে এমন মেঘলা আর বৃষ্টি বৃষ্টি যেন বর্ষাকাল চলছে। এসময় কালবৈশাখির। কিন্তু দিনগুলি দেখে কেবল-ই মনে হচ্ছে জুন-জুলাই বা অগাস্ট মাস।যেন এখনি ঝুম ঝুম করে বৃষ্টি নামবে আকাশ-বাতাস আর মন অন্ধকার করে।
হরতালের দিন। অফিসে বসেই মন উসখুস করছিলো। সাড়ে পাঁচটায় বের হয়ে যাব করতে করতে সাড়ে ছ’টা বাজালাম। নিচে নেমে দেখি মেঘলা সন্ধ্যা। রাস্তায় রিকশাও কম। অস্থির লাগছিলো। ঘরে ফিরতে একদম-ই মন চাইলো না। পার্লারে ফোন দিলাম, খোলা আছে কিনা। কিন্তু ৮ টার আগে পৌঁছুতে পারবো কিনা এই ভাবতে ভাবতে বাসায় যাবার রিকশা ধরালাম।
মানুষটা পৃথিবীর সব দুঃখ ধারণ করে
নীলকন্ঠ হবে বলে কোথায় যে হারিয়ে গিয়েছিলো,
একদিন সে ফিরে এলো কবি হয়ে,
যদিও একটাও কবিতা সে ল্যাখে নাই,
তবুও লোকে তাকে কবি বলেই জানে।
আমাদের যতোরকম দুঃখ আছে
ছোট, বড়, মাঝারি,
আমরা তাকে জমা দিয়ে আসি,
সে তাতে ফোটায় ফুল,
জুঁই, জবা, শিউলী -
যেমন তার সাধ হয়।
তার সর্বাঙ্গে কাঁটা ফুটে আছে,
সে বিষে নীল হয়ে আছে,
সে একটাও ল্যাখে নাই কবিতা,
আপাদমস্তক উত্তেজিত অবস্থায় ফোনে অন্বেষাকে কনট্যাক্ট করি। কথা বলতে বলতে হাঁপাই, "টেঁপি রে, মারাত্মক কান্ড হয়েছে।"
অন্বেষা কিন্তু ধীরস্থিরই থাকে। ভারিক্কী গলায় বলে, "হয়েছে টা কী? আর, কী কুক্ষণেই যে আমার ডাকনামটা বলেছিলাম তোকে। "
এদেশের নাস্তিকেরা, আল্লাহ মানে না, কোরান মানে। আল্লাহমানা মুসলমানের মতই - সে মদ খায়, জুয়া খেলে, জেনা করে। কিন্তু কোরানমানা মুসলমানের মত দিন শেষে তওবা করে। বলে, "সব দোষ শালা উদারপন্থী মাদারচোদদের"!
১.
জহির সাহেব এর মেজেজ খারাপ। তার টেবিলের ওপাশে বসে থাকা খোঁচা খোঁচা দাড়ির ছোটোখাটো শুকনো গড়নের মানুষটির দিকে তাকিয়ে অনর্থক কয়েকবার গলা খাঁকড়ি দিলেন। তাতেও কোনো কাজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। মনে মনে বললেন ‘বেকুব কোথাকার’। নিজের উপর ও এখন তার রাগ হচ্ছে। এতদিনেও তিনি ঘুষ খাওয়াটা ভালমত রপ্ত করতে পারেন নাই। অথচ তার টেবিলের উত্তর দিকের টেবিলটায় বসা রহমত সাহেব কি অবলিলায় পান চিঁবুতে চিঁবুতে চোখের পলকে বাম হাতের কাজ সেরে ফেলেন।
গত দুই দিনে দেশের হরতাল ও হরতাল পরবর্তী সংবাদে আমি কিছুটা হতাশ। নারীনীতি ও শিক্ষানীতির বিরোধীতা করে আমিনীর ডাকা এই হরতালে বেশ কিছু মানুষের সরব ও নীরব সমর্থন আশংকাজনক। পত্রিকায় ছবিগুলো দেখে আমি খুব অস্থিরতায় ভুগছি। কোরান শরীফ হাতে হরতালে অংশগ্রহণকারী এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর ছবি দেখলাম। কষ্ট পেলাম। পত্রিকা খুললেই হরতালের মুহূর্তকালীন ছবি। এই আলোকচিত্রগুলো রূঢ় বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। ছবিগুলো এতই বাঙ্
প্রিয় শচীন,
আমাদের ড্রইংরুমের শোকেসের কাঁচটায় আপনার একটা স্টীকার লাগিয়েছিলাম ক্লাস থ্রি-ফোরে পড়ার সময়। ১৬-১৭ বছর পরে স্টীকারটা এখন পুরনো হয়ে গেছে, কিন্তু পুরনো হয়ে যাননি আপনি। ছোটবেলা থেকে পেপার কাটিং জমানো শখ আমার- পুরনো কাগজগুলোর বেশিরভাগ জুড়েই আপনার ছবি আর খবর। আমার কাছে পৃথিবীতে দুই ধরণের ব্যাটসম্যান আছে — এক, পৃথিবীর শুদ্ধতম ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার; দুই, বাকি সবাই।
বিদেশে আসার পর কিছু কিছু দিন আসে যখন কোন কিছুতে মন বসাতে পারি না। চোখের সামনে উজ্জ্বল মনিটরে খুলে রাখা গবেষনা নিবন্ধ মস্তিষ্কে কোন আলোড়ন সৃষ্টি করে না। শরীর জুড়ে একটু পর পর একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি। ফেসবুক খুলে পুরনো ছবিগুলো দেখতে থাকি বারবার। মনের পর্দায় হাজার মাইল দূরের প্রিয় ঢাকা শহর। পহেলা বৈশাখ সেরকমই একটা দিন।
অনুগল্পের সংজ্ঞা কী আমি জানি না, এজন্য এগুলোকে অনুগল্প বলতে সাহস পেলাম না। পরমানু গল্প, হলেও হতে পারে।
আচ্ছা, সাধারণ একজন মানুষ যখন বোঝে সে খুবই সাধারণ তখন তার মানসিকতা কেমন হয়?
অসহায়ত্বের??তুচ্ছত্বের?নাকি অসন্তুষ্টির?কিংবা সুখের?
অনেককিছুই হতে পারে।
আমি প্রায়ই এ অনুভূতিগুলোর শিকার হই।
প্রথম প্রথম নিজেকে প্রবোধ দিতাম, “আরে ও কিছু না। সবার মাঝেই কিছু না কিছু লুকানো থাকে।তোরও আছে। অপেক্ষায় থাক।”
কিন্তু নিজের দীনতাকে ঢাকবার চেষ্টা স্ববিরোধী তো বটেই কেমন যেন একটু কষ্টের। পীড়া শুরু হল।