গত কয়েকদিন ধরে দুপুর বেলা বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। আমাদের দেশের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা রাস্তাঘাট অবরোধ করছেন, ইচ্ছেমতো গাড়ি ভাংচুর করছেন। দুপুর বেলা তাই এই রাজধানী শহরে লোক চলাচল কমে গেছে। আগামী রবিবার সিলেটবাসী হরতাল ডেকেছেন, দেশে যে কেউ হরতাল ডাকলেই সেটা পালিত হয় সুতরাং নিশ্চিত বলা যায় এই হরতালও পালিত হবে, হরতালের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে এমনকি সারাদেশে একটি হরতাল আহ্বান করা হলেও আশ্চর্যের কিছু থাকবে না।
বিরোধী দল বিএনপি ইতিমধ্যেই শেয়ার বাজারের ধ্বসকে পূঁজি করতে শুরু করেছে।
সাড়ে পাঁচটার দিকে শুনলাম আশেপাশের কিউব থেকে লোকে বলতেছে, সারছে রে সারছে, গ্রিডলক। বাইরে তাকায় দেখি ফাটায়ে স্নো পড়তেছে। আকাশ দেবী মনে হয় পুরা কাপড় খুইল্যা ছাড়তেছে।
সকালে বিরাট দেরী হইছিল অফিস যাইতে। এমনিতেও তাই ৭টার আগে বাইর হওয়া যাবে না। সুতরাং গ্রিডলক ছুটুক। তারপর বাড়ি যাবো। এই লক্ষ্যে কাম করতে করতে খিয়াল কইরা দেখলাম লোকে গ্রিডলকের তোয়াক্কা না কইরা ছুটছে। আর কিছুক্ষণ থাকলে আমি পার্কিংলট থেইকা বাইর হইতে পারুম কিনা কেডা জানে?
অনেকদিনের অনেক পুরানো সব লেখা, হলদে হয়ে গেছে খাতার পাতাগুলো, কেমন যেন জীর্ণও হয়ে গেছে। কোণাগুলো ভেঙে ভেঙে গেছে, কাগজের গুঁড়ো জমা হয়েছে মধ্যের ভাঁজে ভাঁজে। ইচ্ছে করে হাত দিয়ে ছুঁতে, খুব সাবধানে হাত রাখি, হাত বোলাই। পাছে আরো ভেঙে ঝুরো ঝুরো হয়ে যায়, তাই এই সাবধানতা।
যে দিন গেছে চলে---। জীর্ণপাতার ওই খাতার মধ্যে রয়ে গেছে তার পায়ের চিহ্ন, ধানগন্ধী হেমন্তবেলা মরিচগন্ধের গ্রীষ্মদুপুর, ইলিশগন্ধী বৃষ্টিবেলা ..... সবার চলে যাবার শব্দ রয়ে গেছে।
বছর আষ্টেক আগের ঘটনা। ঘটনাস্থল বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও এক বিভাগের প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ক্লাস রুম। ছাত্র ছাত্রীরা অধির আগ্রহে বসে আছে, যথা সময়ে বিভাগের প্রবিণতম শিক্ষকদের মধ্যে একজন, হাতে লেকচারশিট ও হাজিরা বই নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হলেন। ছাত্র ছাত্রীরা তটস্থ হয়ে দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক অপেক্ষা করতে লাগল কখন শিক্ষক মহাশয় তাদেরকে বসতে বলেন সেই জন্য। মহাশয় তার টেবিলে বসলেন এবং হাজিরা বই খুলে একে একে নাম ডাকা শুরু করে দিলেন। ক্লাসের ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা খুব বেশি না ২৫/৩০ জন মাত্র, কাজেই নাম ডাকতে বেশি সময় লাগার কথা না।কিন্তু উনার আবার নিজস্ব স্টাইল ছিল নাম ডাকার। উনি শুধু নামই
সচলায়তনের নতুন ইন্টারফেইসে ব্লগের প্রথম পাতা আগের মতো দুই কলামের হলেও ভিতরের পাতা এক কলামের। এতে করে লেখার এডিট বক্সটা অনেক প্রশস্ত হয় এবং ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেক বড় ক্যানভাস পাওয়া যায়।
গোয়েন্দা ঝাকানাকা কমিক সিরিজের প্রথম ইস্যু, "গোয়েন্দা ঝাকানাকা ও জাদুঘরে চুরি রহস্য"-এ জাদুঘরের কিউরেটর চরিত্রটি নিয়ে অনেক চিন্তা করতে হয়েছে। আক্কাস আলি মৃধার দেখতে কেমন হওয়া উচিত?
সরকারী কর্মকর্তাদের বেশভূষার কিছু স্টেরিওটাইপ আছে। সেগুলোকে কমিকে ধরে রাখা জরুরি কি না, কিংবা ধরে রেখে কীভাবে গল্পের রসটা ফুটিয়ে তোলা যায়, এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে নানা ব্যক্তি আর চরিত্রের চেহারা নিয়ে ঘাঁটতে হয়েছে। আমলাদের ছবি সহজে পত্রিকায় আসে না, আরো ঘন ঘন আসা উচিত। আমাদের সরকারের কাজকর্ম যারা করছেন, তাদের চেহারা মানুষের নাগালে, কিংবা আরো ভালো করে বললে, গুগলের নাগালে থাকা জরুরি।
সামনের পা দুটো পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রিতে টানটান করে পুরো শরীরের ভার লাফ দেবার জন্য পেছনের পায়ে নিয়ে শণ ঝোপের মধ্যে খাপ ধরে বসেছিল বাঘটা। বছর দশেকের পূর্ণ পুরুষ বাঘ। আমাকে দেখে শরীরটা আরো গুটিয়ে লাফ দেবার জন্য সামনের পা দুটো তুলতে তুলতে হঠাৎ করে থেমে গেলো। মাত্র হাত দশেক দূরত্ব। আমি কী করব না করব বুঝে উঠার আগেই দেখলাম বাঘটা খাপ ছেড়ে শরীর নরম করে পেছনের পায়ের উপর বসে পড়ল। মুখটা একটু হায়ের মতো ফাঁক হয়ে এলো- ভাগিনা সালাম...
আমি এখনও ভাবছি দৌড় দেবো কি না। এমন সময় আবার শুনলাম- দাঁড়িয়ে রইলি কেন? আয় এদিকে আয়
কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার সুবাদে আমি দেখেছি অনেক আর্টিস্ট বা গ্রাফিক ডিজাইনার আছেন যারা অ্যাডোবের নতুন কোনো ভার্সন বের হলে সেটি ইউজ করতে ভয় পান (কম্পিউটারের পারফর্মেন্সের ব্যপারটি বাদ দিয়ে)। আজকে থেকে প্রতি দিন আমি ৫টি করে মোট ৫ দিনে ২৫ টি ফটোশপ সিএস৫ এর টিপস নিয়ে আলোচনা করব আপনাদের সাথে। নতুনদের কাজে তো লাগবেই সেই সাথে নতুন ভার্সনের ফোবিয়াগ্রস্থরাও আশা করি নতুন ভার্সন ব্যবহার করার লোভে পড়ে যাবেন
আমার দাদাবাড়ির উঠানে একটা ইন্দিরা বা কূঁয়া ছিল। সেই ইন্দিরার বাঁধানো পাড়ে পা পিছলে আছাড় খাওয়ার অভিজ্ঞতাও আছে। শীতের সকালে কূঁয়ার পানি থাকতো কুসুম গরম। এদিকে কেচ্ছা কাহিনী শুনতাম যে রাজার বাড়ির কূঁয়ার ভেতর দিয়ে সুড়ঙ্গ থাকতো, যা দিয়ে নদীপথে নৌকায় করে পলায়ন করা যেত আক্রমনের শিকার হলে শেষ উপায় হিসেবে। আমাদের দেশে নাকি মাটির নিচে পানির অভাব নাই, পানির উপর দেশ ভাসতেছে। হাকলবেরি ফিনের গল্পেও আমাজান নদীতে ভাসমান দ্বীপের কথা পড়েছিলাম। দুইয়ে দুইয়ে চাইর মিলাতে সময় লাগে নাই ... ... নির্ঘাৎ আমাদের কূঁয়ার পানিও নদীর সাথে সংযুক্ত, নাইলে এ্যাত পানি আসে কোত্থেকে।
সচলায়তনের নতুন অ্যাজাক্স ভিত্তিক মন্তব্যের সুবিধাটি বার বার অন্য পাতায় গিয়ে মন্তব্য করার কষ্ট বাঁচালেও কিছু অযাচিত সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এর একটি হোলো মন্তব্য পোস্ট করার পর নিজের মন্তব্যকেই নতুন মন্তব্য হিসেবে দেখানো। এই সমস্যাটির সমাধাণ করার আগে দুটি পরষ্পরবিরোধী বিষয় লক্ষ্য করা প্রয়োজন:
১। যদি মন্তব্য করার পরপরই সর্বশেষ মন্তব্যের তথ্যাবলী আপডেট করা হয় তাহলে এই মন্তব্য লেখার সময়টিতে অন্য মন্তব্যকারীর করা মন্তব্য গুলোকে আর নতুন মন্তব্য হিসেবে দেখাবে না।