Archive - 2011 - ব্লগ

January 20th

বাংলা ভাষায় বাঙালিয়ানা কতটুকু?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/০১/২০১১ - ৮:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলা ভাষা মানুষ বা তরুর মত জন্ম নেয়নি, কোন কল্পিত স্বর্গ থেকেও আসেনি।—হুমায়ুন আজাদ

গবেষকদের মতে বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় সাত হাজার ভাষা প্রচলিত আছে। অবশ্য সব ভাষার লিপি নেই। আবার লিপি আছে, কিন্তু কিছু ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহারের মানুষ নেই। যেমন, লাতিন ও সংস্কৃত ভাষা। আর পৃথিবীতে প্রচলিত প্রধান ভাষাগুলোর একটি সম্পর্ক লক্ষ করে ভাষাবিজ্ঞানীরা এদের পরিবারভুক্ত করেছেন। এই ধারায় আমাদের বাংলাসহ গ্রিক, ল্যাটিন, ইংরেজি, হিন্দি, ফারসি, ফরাসি, ডাচ, নেপালি ইত্যাদি ভাষা হচ্ছে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশের অন্তর্ভুক্ত। [১]


January 19th

চার মিশালী

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৯/০১/২০১১ - ১:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১। সেল বাজার

কি বললি, বলতো শুনি, সেল বাজারের কেসটা?
ফোন না শুধু, যা খুশী তোর বেচতে পারিস বেশটা।
আরেব্বাস, করবো নাকি দেশটা বেচার চেষ্টা?
পারবি নারে, তুই কোথাকার ক্যাবলা কান্ত কেষ্টা
তুই কি বেটা পারবি হতে মন্ত্রী-উপদেষ্টা ?

২। শিল্পীর লিমেরিক

দাদার জন্মে দাদাবাদের নাম শুনিনি আমি
প্রকাশ বাদের কথা শুনে কুলকুলিয়ে ঘামি
ইমেজিসম তুলিতে নেই
স্যুরিয়ালিজম ঝুলিতে নেই
চাষাবাদের হাভাত ঠেলেই শিল্পী আমি নামী।

৩। বিবরে বিলাস

নির্জনে যদি অরণ্যে খুঁজি শ্রান্তি
খোলা দরজায় সাহসী দাঁড়াবো ঘুরে
মাধুকরী মাগি যদি বা শীর্ণকান্তি
গোলাপকে নেব পুরোটা হৃদয় জুড়ে।

৪। নরকের দেউরী


পাহাড়

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বুধ, ১৯/০১/২০১১ - ৩:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঠিক সূর্যাস্তের সময়ে তারা পৌঁছায় পাহাড়ের পাদদেশে। কোন প্রাণের অস্তিত্ব নেই সেখানে। একফোঁটা পানি কিংবা কোন বৃক্ষ.. কোন পাখির ছায়া, কিচ্ছু না। শুধু শূন্যতার উপর ভর করে ওঠা শূন্যতা আর সেই প্রকাণ্ড পাহাড়, যার চূড়া হারিয়ে গিয়েছিলো ওই স্বর্গে।

বোধিসত্ত্ব তাকান তার সহযাত্রী যুবকটির দিকে, বলেন, -
“তুমি যা দেখতে চাও, তাই তোমাকে দেখানো হবে। কিন্তু তা এখনো অনেক দূর, আর যাত্রাপথ বড়োই দুর্গম। আমাকে অনুসরণ করো, ভয় পেয়ো না। শক্তিই তোমাকে আশ্রয় করবে।”


ভালো না থাকা

বালক এর ছবি
লিখেছেন বালক (তারিখ: বুধ, ১৯/০১/২০১১ - ১:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বপ্নে নয়, কবিতায় নয় সত্যি সত্যি আমার একটি পাহাড় ছিলো। তার উপরে উঠে মেঘ ধরা যেতো। আমি ধরতাম ও, হাতের তালুতে পুষতাম একটা সময় মেঘ প্রজাপতি হয়ে উড়ে যেতো; উড়ে যাওয়া দেখতে ভালো লাগলেও মনটা জানি কেমন হয়ে যেতো! কেমন হতো সেটা আমি বুঝিনি কখনও! আজও না...
আজ পাহাড় নেই আর, মেঘ আছে ঠিকই কিন্তু ধরার মিথ্যে চেষ্টা করিনা, করতে উচ্ছে করেনা কোনো। মনটাও কেমন কেমন করে না আর; এই "কেমন" "কেমন" করেনা বলে আমি ভালো নেই!
বহুবার ভেবেছি যে কোন বিনিময়ে আমি ভালো থাকবোই আর এই জিদটার জন্যে আমি আরো বেশি করে বুঝতে পারি আমি আসলে ভালো নেই! ভালো থাকা হচ্ছে না আমার।


প্রপঞ্চময় পঞ্চক (পরবর্ত্যাংশ)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/০১/২০১১ - ১২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ধৈবত

প্রপঞ্চময় পঞ্চক (প্রথমাংশ)

নিম্নোক্ত গল্পের সমস্ত চরিত্র এবং ঘটনাই বাস্তব। কাল্পনিকতার সাথে এর সংলগ্নতা কল্পনা করা নিতান্তই অনভিপ্রেত অতিকল্পনা মাত্র দেঁতো হাসি

[justify]


বলয়

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০১/২০১১ - ৬:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাবলুর মেজাজটা খারাপ। আব্বা এখানে এসে সেই কখন থেকে বসে আছে। নড়েও না চড়েও না। কথাও বলেনা। বাবলু একজায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেনা। তার হাত-পা কামড়ায়। সে অনেকক্ষণ গা মুড়ামুড়ি করেছে । তারপর বলেছে তাকে মশা কামড়াচ্ছে। সেকি একটু ঘুরে আসবে? কিন্তু আব্বার কোনো সাড়া নাই। তারপর ক্ষিদা লাগসে বলে সে শুরু করেছে ঘ্যানঘ্যান। তারও বেশ কিছুক্ষণ পরে আব্বা তার দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে বললো, বাবলু একটা কাজ করতে পারবি বাবা?

কি?

কাজটা আমরা দুইজন মিলা করবো, বুঝছিস?

কাজটা কি?

লোকজনের কাছে টাকা চাবো

কি বলবো?

বলবি, তোর মা হাসপাতালে, অপারেশনের জন্য টাকা দরকার। আমাদের সাহায্য করেন। পারবি না?


January 18th

সাকিন সুন্দরবন ৬। জল প্রহরী

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০১/২০১১ - ৪:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পদবি নৌকা চালক। প্রশিক্ষণ বন্দুক চালনায়। নাম রতন সরকার


অছ্যুৎ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০১/২০১১ - ১১:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]অবারিত নীলাকাশ ছাপিয়ে নিস্পৃহ চেয়ে থাকা দীর্ঘশ্বাসকে ক্রমশ দীর্ঘায়িত করতে থাকে। আকাশের সব আলোতেই আমরা সন্তুষ্ট, অন্তত আমি। অথচ সূর্যের অনবরত দগ্ধ চেহারার বেদনাক্লিষ্ট রূপ একাকী ভেসে যায় একই পথে প্রতিদিন, কেউ তাতে ভুলে দেখলেও, কখনও সমবেদনা জানায় না। শুধুমাত্র জোছনা ধরে রাখে সেই দগ্ধ ইতিহাস, কালান্তরে। আর সেথায় জন্ম নিতে থাকে সহস্র কবিতা, যা আজও টিকিয়ে রেখেছে তথাকথিত পবিত্র ভালবাসাকে, মানুষের পিঞ্জরে। আঁধারের সাথে মিলিয়ে যাওয়া স্বপ্নহীন ঘুমে আমি নিজের পিঞ্জর খুজে বেড়াই। উপস্থিত সব শূণ্যতা আমায় সঙ্গ দিয়ে নিয়ে চলে রাত্রের নদীতীরে। হালকা শিরশিরে বাতাসে আমি ধূসর ঘ্রাণ নিতে থাকি


দিরুর জীবনের স্ন্যাপশট, গল্প নাই

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০১/২০১১ - ৮:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাখি কখন জানি উড়ে যায়
একটা বদ হাওয়া লেগে খাঁচায় ...

একদিন যখন তুমি আশ্বস্ত হবে, জানবে, এই মৃত্যু চোখের পলকে তোমাকে ভ্রমণ করে যায়, তখন তুমি, প্রতিবার চোখ খুলে দেখবে, এই পৃথিবীতে বস্তুতপক্ষে নির্লিপ্ততাই মানুষের স্বভাবধর্ম।

সুতরাং ছেলের নাম নির্লিপ্ত নিরহংকার। মা বলছিল আরবি নাম রাখতে। সেই মা বাঙালির ইতিহাস কমবেশি ঠিকঠাক জানে। জানলেও, তার ছেলে ভাষানিরপেক্ষ হয়। ভাষা ইতিহাসনিরপেক্ষ না হউক।


January 17th

গল্প প্রচেষ্টা-০৬

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: সোম, ১৭/০১/২০১১ - ৫:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মুখের ভেতরটা তেতো হয়েছিলো সকাল থেকেই। বর্তমান নিবাস থেকে পুরনো শহরে মায়ের কাছে যাবার সময় রাস্তায় লম্বা জ্যামে পড়তে হল। রাস্তা খুঁড়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। বিরক্ত হয়ে বাসে বসে থাকা ছাড়া গতি নেই। মায়ের বাসা থেকে সন্ধ্যায় বেরোবার সময়ও দেখি ভাগ্য সহায় নয় - গলির মোড়ে একটাও রিক্‌শা নেই। রিক্‌শা সব গেল কোথায়?