"ওই, তোরা আরেকটু পা চালায় আগা।"
"কুদ্দুস, তোর লাইগা সবতে বামে হাটতেছে, আরে আরে রহিম, করছ কি? চউক্ষের মাথা খাইছছ? আমাগরে মারবি নি তুই?"
"হ, ওস্তাদ, উপরে থাইকা এইসব কওন খুব সস্তা, এইদিকে আমগোর জানে পানি নাই।"
"হ, এম্নেই এত্তবড় একডা ওজইন্যা জিনিস লইসেন, তার উপর কই আমাদের লগে ধরবেন, তা না খালি উপ্রে থাইকা ফাল পারতাছেন।"
"বাপরে, তগো লাইগাই তো সব, এইডাও বুঝস না! আর উপরে তো কাউরে না কাউরে থাকন ই লাগব, নইলে আর এইটা লইয়া যাওন লাগত না তগো। "
"কেন বাকি লোকগুলারে লইয়া আইলে কি হইতো, খালি আমাগোর উপর দিয়া সবতে খাইব ক্যান?"
[justify]পিচ্চিবেলায় আমার বিকাল-সন্ধ্যা গড়াইত ক্রিকেট খেলিয়া। সুদূর মালয়-মুল্লুকে আকরাম-বুলবুল বাহিনীর বিজয়ের পর হইতে শুরু, এই খেলা যেন আমাদের হাফপ্যান্ট আর স্যান্ডোগেঞ্জি শোভিত শৈশব পুরাটাই দখল করিয়া লইয়াছিল। হাটে-বন্দরে, ঘরে-অন্দরে, প্রমাদে-প্রমোদে, প্রলয়ে-প্রহলাদে, সাজঘর কিম্বা শ্রেনীকক্ষে, আলস্যে কিম্বা দক্ষযজ্ঞে- প্রায় সর্বত্রই এই ক্রিকেটীয় আলোচনা, পর্যালোচনা আর শিশুতোষ সমালোচনায় সর্বক্ষন আচ্ছন্ন থাকিতাম। কিছুক্ষেত্রে এই ক্রিকেটপ্রীতি স্বাভাবিকতার সংজ্ঞা অতিক্রম করিয়া যাইত। কোন কোন কিশোর বোলিং চর্চা করিবার ছলে জোরসে পাথর ছুঁড়িয়া পাড়ার জেঠুমনির ঝাঁ-চকচকে চাঁদিখানি মনের অজান্তেই অব্যর্থভাবে
ছোট দুটো শয়তান, পা ছড়িয়ে বসে ছিলো, অন্ধকার ঘুপচি বারান্দাটার কোণে।
দুপুরবেলার রোদ, ঝাঁ ঝাঁ করছে ছাদ গুলোয়।
তবে, এ গলিটা ভালো। মাথায় মাথায় বাড়ি, কোনায় কোনায় পড়ে থাকা আবর্জনার ঢিবি। মুখ খোলা নালায় পাঁক খাচ্ছে অন্ধকার কালো কালো জল। রোদের ছায়াও নেই মুখোমুখি বারান্দা গুলোয়।
একটা শয়তান অলস আঙুলে একটা খয়েরি প্রজাপতির ডানা ছিড়ছিলো আস্তে ধীরে, প্রজাপতিটা কেঁপে কেঁপে উঠছিলো। শয়তানের ঠিক হুঁশ আছে, মরতে দেয় নি প্রজাপতিটাকে।
'ধুস্...'
বিরক্ত হয়ে শব্দ করে আরেকজন।
ডানা ছেড়া সাময়িক ভাবে বন্ধ করে তার দিকে তাকায় শয়তান। কি হলো?
কিছু হলে তো আর এ প্রশ্ন ওঠে না, ঝাঁঝের সাথে উত্তর করে অন্য শয়তান।
সময়ের প্রধান কবিদের একজন কবি বেলাল চৌধুরী। কবিতায় মাত করে রেখেছেন
এপার ওপার। কবিতার সাথেই যার ঘর সংসার। আপন আলোয় সাহিত্যাঙ্গন
সমুজ্জল করে রাখছেন দীর্ঘদিন ধরে। কবিতার বরপুত্র বেলাল চৌধুরীর সাথে
দৈনিক ফেনীর সময়’র পক্ষে রাশেদুল হাসান সম্প্রতি ঢাকায় তার নিজ
বাসভবনে সাহিত্যে নানা দিক নিয়ে আলাপরিচারিতায় মেতে ওঠেন। বাংলা
সাহিত্যের এ বরপুত্রের সাথে আলাপে কবিতাসহ সাহিত্যের নানা দিক
উঠে আসে। তারই আলাপচারীতার চুম্বক অংশ পত্রস্থ করা হল।
[justify]
স্যার রোনাল্ড ফিশার। প্রখ্যাত স্ট্যাটিস্টিশিয়ান। এবং সেই সঙ্গে বিখ্যাত ম্যাথেমেটিকাল/স্ট্যাটিস্টিকাল জেনেটিস্ট। দুর্ভাগ্যবশত, ইনি স্ট্যাট এবং জেনেটিক্স দুই মহলেই একটা ভ্রান্ত ধারণা বিস্তারের উৎস হিসাবেও সুপরিচিত, যে মেন্ডেল তাঁর সর্বজনবিদিত মটরগাছের গবেষণায় জালি করেছিলেন।
গেলো বছরের ২৫ আগষ্ট আমি আর আমার দুস্ত কাম উস্তাদ জনি ভনভন কইরা বহুৎ ভাইব্বা ভুইব্বা ঠিক করলাম আমাগো একটু 'আলাদা' কিছু করা উচিৎ। হেইদিন ছিলো শুক্কুরবার, তাই সিদ্ধান্ত হইলো বায়তুল মোকাররম মসজিদে গিয়া নামাজ পড়া মানুষের ছবি তুলুম। একে তো শুক্কুরবার, তার উপরে রমজান মাস - আমরা আশায় বুক বানলাম যে গিয়া বিরাট এক মুসল্লি সমাবেশ পামু। কারণ, রমজানে আবার 'সিজনাল মুসল্লি'গো আনা-গোনাটা একটু বাড়তির দিকেই থাকে আর কি!
দুনিয়াতে ধর্ষণ আর ধর্ষিতার অবাঞ্ছিত সন্তানের ইতিহাস কত পুরানা আমি জানি না। কিন্তু মাতৃলাঞ্ছনার অনন্তকালব্যাপী প্রতিশোধ সম্ভবত একটাই আছে দুনিয়ায়; কৃষ্ণ দ্বৈপায়নের মহাভারত
রাজবংশজাত মুনি পরাশর জেলেকন্যা সত্যবতীকে নৌকায় ধর্ষণ করলে লজ্জিত মৎস্যগন্ধা পাটনি যমুনার দ্বীপে স্বেচ্ছাদ্বীপান্তর নিয়ে জন্ম দেয় জেলেদের মতো এক কালা-কৃষ্ণ দ্বীপের মানুষ দ্বৈপায়ন। তারপর...
তারপর অর্জুনেরা মরে যাবার বহুকাল পরে অর্জুনের ছেলের ছেলের ছেলে জন্মেজয় যখন রাজা। তখন চব্বিশ হাজার শ্লোকের একখান বিশাল পুথি নিয়ে হাজির হয় দ্বৈপায়নের শিষ্য বৈশম্পায়ন- নিন রাজা। গুরু দ্বৈপায়ন লিখেছেন আপনার বংশের বীরত্বের কথা...
এসএসসি পাস করার আগে থেকেই আমি জানি আমাকে ঢাকায় পড়তে যেতে হবে। এমন না যে, আমি ঢাকা সম্পর্কে অনেক জানি, বা একবার বেড়াতে গিয়ে ঢাকার প্রেমে পড়ে গেছি। মূল ব্যাপার হল আমার ভাইয়েরা, কাজিনেরা ঢাকায় পড়াশোনা করে, এখন আমি যদি না যাই, সেটা প্রেস্টিজ ইস্যু। আমার নিজের সম্পর্কে যতই উচু ধারণা থাকুক, আমার বাড়িতে সবাই ভয় পাচ্ছিল, যদি নটরডেম বা ঢাকা কলেজে চান্স না পাই, তাহলে তো স্থানীয় কলেজের ফর্ম কিনে রাখা দরকার। তো মান-সম্মান রক্ষার তাগিদেই হোক আর যে কারণেই হোক চান্স পেয়ে গেলাম নটরডেমে। তারপর নয়ন আর মৃদুল সায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে গিয়ে আমাকে বিদায় দিয়ে আসল।
‘একটি জটিল আয়ুরেখা’ চিরকাল হাত খুলে দেখায়
হারিয়ে যাওয়া; না-যাওয়া; সেও এক চিন্তানুভবফুল
যেহেতু তুমিও আত্মকাহিনিতে লেগে আছো; বাদবাকি
স্বার্থরক্ষার ভয়ে জড়িয়ে রাখছো আঁকাদৃশ্য; অস্থিসার
চুপিচুপি ফিরিয়ে দাও স্মৃতি-সম্পর্ক, চিহ্ন ও সুতায়
প্রথম-প্রথম কোন কথা বললে, দ্বিতীয় কথার ভেতর
বদলে ফেলা যায়; শুধু কিঞ্চিৎ মিথ্যা বলার ফর্মূলা
-জানা দরকার
জানার ভেতর যে রহস্য, তা কোত্থেকে আসে? তাকে
কি খাবো? মনে পরাবো? না বুকে রেখে ঠোকরাবো?
কারণ— ধ্বংস হবার পূর্বে আমাদের হৃদপিণ্ডের
বিষফল কাটছে করাত, আলজিভও কাটছে দ্বিধা ও ধার
তোকে জড়িয়ে ধরার শখ যেন স্মৃতি, সেই ছোট্টবেলাকার