হ্রদের তীরে একটি মন্দসমীরণপুষ্পবিভূষণকোকিলকূজিত কুঞ্জের কোণে কদম্বতরুর দিকে চাহিয়া ঈশ্বর উলু দিয়া উঠিয়া কহিলেন, "কেউ কি একটি বাঁশি যোগাড় করিতে পার?"
আদম গিবরিলের পঞ্জরে কনুই দ্বারা খোঁচা মারিয়া কহিল, "যাও হে দূত, তোমার ফরমায়েশ খাটিবার ওয়াক্ত নজদিক।"
গিবরিল বিরস কণ্ঠে কহিল, "আমি শুধু বার্তা বহন করি ওহে আদম! বাঁশি সংগ্রহের কর্ম সে আমার নহে।"
পর্ব ৩
পুরো বাগানের সাথে এই অংশটা যেন মিলছে না। একটু বেখাপ্পা ভাব এই অংশটুকুতে। মাটি আলু-থালু। ভদ্রমহিলা পাশের এক জায়গায় অর্ণবকে তাকাতে বললেন। তাকিয়ে অর্ণবের ভেতরটা যেন একটু কেঁপে উঠল। ফুল-লতা-পাতা দেখে মানুষের অন্তর কাঁপে না। কিন্তু তাদের বিন্যাস অন্তর কাঁপাতেও পারে! কেউ নির্মমভাবে কিছু ছিঁড়েছে, গাছ উপড়ে ফেলেছে। তারপর সেগুলো মাটিতে সাজানো হয়েছে একটি জ্যামিতিক নকশায়।
পরীক্ষামূলকভাবে নোটিফিকেশন চালু করা হয়েছে। একটি পোস্টের নোটিফিকেশন পেতে চাইলে পোস্টের নীচে লিংক চেপে গ্রাহক হতে পারেন। নতুন মন্তব্য প্রকাশিত হলে দৈনিক মন্তব্যগুলোর একটা সংক্ষেপিত ভার্সন পাবেন। যেহেতু পরীক্ষামূলক, ভবিষ্যতে এর পরিবর্তন হতে পারে।
ছোটবেলায় একটা প্রবাদ বাক্য পড়তাম, মনে আছে “ All work and no play makes Jack a dull boy”.
[justify]ভালোবাসা পেয়ে কোনো কোন সময় আমরা হারিয়ে ফেলি। হারিয়ে যায় স্বপ্ন সুখ। মিশে থাকে বহুদিনের বিবর্ণতা। ডুম্বুরভ্যালীতে এসে আমি যেন দুটোই খোঁজে পেয়েছি। ভালোবাসা এবং বিবর্ণতা। বিবর্ণতা পেয়েছি মানুষের দুঃখে, হতাশায়। তাদের নিত্যদিনের দিন যাপনে। কি করে যে মানুষ গুলো বেঁচে আছে?
"তুই কি ছাত্র??"
এই বলে হাতে পত্রিকাটা নিয়ে ছিঁড়ে ফালি ফালি করে ফেলেছিলেন পিতৃদেবতা, বেশ সিনেমাটিক ভঙ্গিতেই। অনেকক্ষণ ধরেই চুপচাপ থেকে যেভাবে গুমরে গুমরে উঠছিলেন তাতে বেশ একটা বিপদ যে আসন্ন তা বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু ব্যাপারটা যে এতোটা সিনেমাটিক হবে তা ধারনাও করতে পারি নাই। কোথায় চোখেমুখে ফিটিয়ে তুলার দরকার ফাঁসির আসামীর মত অনুতাপ, সেই জায়গায় ভুরভুরিয়ে কোত্থেকে যেন রাজ্যের হাসি পেয়ে গেলো। হাসি চাপতে চাপতে মনে করছিলাম কবে কোন সিনেমাতে এমন চমৎকার নাটকীয় দৃশ্যটা দেখেছিলাম। ভাগ্যিস সে মুহূর্তেই পিতৃদেবতা অনুধাবন করতে পারলেন পরীক্ষার আগের দিন নির্বিকার চিত্তে বইপত্র ছেড়ে পত্রিকায় মনোনিবেশকারী ধর্মবিমুখ ছেলের মস্তিষ্কের অসারতা, আর তাই সে যাত্রা অল্পের উপর দিয়েই বেশ বেঁচে গিয়েছিলাম।
শাহিদা বেগমের বয়স ষাটের কাছাকাছি ।তিনি থাকেন তার বড় ছেলে শিহাবের সঙ্গে ঢাকা শহরের এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ।যদিও তার মন পড়ে থাকে ছোট্ট গাঁয়ে,যেখানে তিনি সংসার শুরু করেছিলেন অনেক বছর আগে।কিন্তু সংসারটা ঠিকমতো গোছাতেও পারেননি।হঠাৎ এক সড়ক দুর্ঘটনা স্বামীকে তার কাছ থেকে কেড়ে নেয়।তখন ছেলেটির বয়স ছয় আর মেয়েটি দুই বছরের ।সেই থেকে তার একলা চলার সংগ্রাম শুরু ।রাতদিন খাটা খাটনি করেছেন ছেলেমেয়ের জন্য ।
১.
অন্ধকারের যুবকেরা অন্ধকার খুঁজে ফেরে। মূলত জায়গাটা তাদের চেনাই। তবু তারা আরো রাত বাড়ার অপেক্ষায় থাকে। আরো অন্ধকারের অপেক্ষায় কিংবা গাঢ় অন্ধকারের অপেক্ষায়। যুবকদের যেকোন নামই হতে পারে। সুমন, বিল্টু কি মন্টু! নামে কি আসে যায়? তারা অন্ধকারের মানুষ। নামগুলোও তাই অন্ধকারেই থাকুক।
২.
[justify]নিওলিবারেল (নয়া উদারতন্ত্র) ধারণার প্রবর্তন হয় ১৯৩০ সালের দিকে। জার্মান অর্থনীতিবিদদের একটা ক্ষুদ্র গোষ্ঠী এই ধারণা প্রথম চালু করেন। এরা যুক্ত ছিলেন ‘ফয়েরবাগ স্কুল’-এর সাথে। আর নিওলিবারেলিজম শব্দটি প্রথম চালু করেন লুইস রোগেয়ার। এই তত্ত্বে প্রাচীন লিবারেলিজম মতবাদকে কিছুটা ঢেলে সাজিয়ে নতুন একটা চেহারা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। রিকার্ডোর মুক্ত বাজার অর্থনীতি তাঁর সময়ে ভালো প্রচারণা না পেলেও স