ঘন্টাদুয়েক ধরে মরমিয়া সুফীবাদের ছয়েনছবিলা বিজ্ঞাপন দেখার পর মনে হল, এপারবাংলার দরদিয়া শ্যামাসাধনাই বা বাদ যায় কেন? এই সিনেমার যে মূলার্থ কালীর মতনই ন্যাংটাভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়েছে, তাকে রামপ্রসাদী ছাঁচে ফেললে দাঁড়ায়:
দে মা আমায় বেলুচ ধরি–
আমি পাকিসেনারেই পিরিত করি।
(ওমা) মেহের বলে এমন রূপের জ্বালায় জ্বলে আমি মরি–
(এখন) ধবল সবল পুরুষ পেলে কোমল বুকে চেপে ধরি॥
দে মা আমায় বেলুচ ধরি...
তোমার দোরে ফিরছে দূরের গাড়ির ঘোড়া
তোমার বাবা ঘোড়ার পায়ে পরাচ্ছে নাল
একটু দূরে জ্বলছে আগুন, কয়লা কালো
দেখছে তোমায়, পুড়ছে, জ্বলে হচ্ছে সে লাল
তোমার কুটির খুঁজছে দূরের অন্ধ নদী
চাইছে বুঝি বাঁকের হদিশ তোমার কাছে
একটু দূরে চুপটি ঝোলে একলা বাদুড়
তোমার পোষা অন্ধকারে হিজল গাছে
মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় spina bifida (দ্বিভঙ্গ মেরুদন্ড) নামক একটি জন্মগত ত্রুটির কথা জেনেছিলাম। এর লক্ষণ হল: ‘মনযোগের অভাব জনিত অতি কর্মব্যস্ত ভাবাপন্নতা’ (Attention Deficit Hyper Activity Disorder), দৃষ্টি-কর্ম অসংলগ্নতা (Hand-eye in-coordination), অপরিপক্ব বুদ্ধিবৃত্তি ইত্যাদি। বাংলাদেশের শিক্ষার 'ত্রিভঙ্গ' দশা, মেডিকেলে পড়া সেই রোগটির কথা লক্ষণ সমেত স্মরণ করিয়ে দেয়। সেই সাথে মনে পড়ে বহুল পঠিত
বারান্দার এককোনার জবা ফুলের গাছটির সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর অতনুর চোখ দিয়ে আপনা আপনিই কফোঁটা জল বেরিয়ে পড়ল। ফুলগাছটায় এখনও একটা ফুল বিকেলের সবটুকু আলোকে ম্লান করে দিয়ে হেসে হেসে এদিক ওদিক দুলছে। পরম মমতায় গাছটার গায়ে, পাতায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মনে মনে অনেক কথা বলে যায় সে। সেই কবে এক শীতের ছুটিতে ডিসি হিল পার্কের বাহাদুর নার্সারি থেকে ছোট্ট একটা চারা কিনে এনেছিল, সেদিনের রোগা গাছটা আজ
ঈশ্বর গলা খাঁকরাইয়া কহিলেন, "ব্যাপার কী আদম, এই প্রাতঃকালে তোমার এইরূপ উত্থিত দশা কেন? চুরি করিয়া নিষিদ্ধ ফল ভক্ষণ কর নাই তো?"
আদম গোঁ গোঁ করিয়া কহিল, "ঈভের জামাকাপড় ঠিক নাই।"
ঈশ্বর কহিলেন, "তাই বলিয়া তুমি এইরূপে তোমার শ্রীলঙ্কাটিকে বাগাইয়া চলাফিরা করিবে?"
একটি ছেলে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে সেটা জানলে আমার কিশোরবেলায় যে অনুভূতি হত সেগুলো এরকম:
১. ছেলেটি ইংরেজি জানে। ইংরেজিতে কথা বলতে পারে। (ইংরেজি জানা তখন একটা মারাত্মক ব্যপার ছিল। ইংরেজি জানা মানেই শিক্ষিত!)
২. সে ধনী পরিবারের সন্তান এবং সে স্মার্ট।
৩. সে আমার আশাপাশের কেউ নয়। আমার সীমানার বাইরে তার বসবাস। তার সঙ্গে আমার সাবলীল কোনো সম্পর্ক হতে পারেনা!
[justify]হাতে টাকা ছিলনা। ডুম্বুরভ্যালীতে গিয়ে থাকা এবং শুটিং এর কাজ সারতে যে পরিমাণে টাকা দরকার তার চার ভাগের একভাগও আমার কাছে ছিলনা। কি করা যায় তাই ভাবছিলাম। যদিও শুটিং এর ক্যামেরাম্যান থেকে শুরু করে স্পটবয় সব আমি নিজে, তবুও অনেক খরচ আছে। আর আমার পকেটে টাকা নেই। বাড়িতে টাকা চাইতে লজ্জা করে। কয়েকজন বন্ধুর কাছে চাইলাম। একেবারেই যে নিরাশ হলাম তা নয়। কিন্তু..., আচ্ছা একটা ঘটনা বলি তাহলেই বোঝা যাবে।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
রবীন্দ্রনাথ জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জমিদার পরিবারের সন্তান।
[justify]জাফর ইকবাল স্যারকে নিয়ে সম্প্রতি বেশ তর্কবিতর্ক চলছে ফেসবুক আর ব্লগে। দু পক্ষই যুক্তি কিংবা কুযুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থান থেকে বেশ কয়েক ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। আমি এ বিতর্কে হয়ত নতুন কিছু যোগ করতে পারব না, তবে নিজের চিন্তাটুকু সবাইকে জানাতে চাই।
অতসীর হাতে একটা গল্পের বই। তথাকথিত এক বাজারী লেখকের বই। দিয়ে গেছে কাকলী। নতুন বই। বইমেলা থেকে কেনা। অতসী নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেয়। কি মিষ্টি গন্ধ। মনের পর্দায় কিছু ভাসা ভাসা দৃশ্য ভেসে ওঠে। গতবছর বইমেলায় এই লেখকের সাথে তার দেখা হয়েছিল। তিনি বইতে অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন। সাথে ছিল তার শিশুপুত্র, স্ত্রী। বাচ্চাটা শান্ত স্বভাবের ছিল। অতশী যখন একটা বই এগিয়ে দেয় তিনি তখন অতশীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “আমা