[justify]
একটু খামখেয়ালী বেপরোয়া স্বভাবটা কবে থেকে গড়ে উঠেছে মনে করতে পারিনা। আসলে সামাজিকীকরণ বা সোশ্যালাইজেশন নামে যে একটা টার্ম আছে, দুখঃজনকভাবে সেটা আমার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবে হয়নি, তাই জানিনা, কি পরোয়া করতে হবে, আর কি হবে না, কোনদিন যা শিখিনি, তা করবো কি করে! সেই আমি আমার মনের একটা ইচ্ছা দীর্ঘদিন ধরে চেপে রেখেছিলাম... খুব ইচ্ছে ছিল ঢাকা শহরের রাস্তায় রাস্তায় সারারাত রিক্সায় করে ঘুরে বেড়াবো। সহপাঠী বন্ধুদের কাছে শুনতাম, সারারাত ফুলার রোডে শুয়ে বসে আড্ডা দিয়েছে... কিংবা রাত্রি তিনটে চারটায় মানিকের চা, ডিম পরোটা ইত্যাদি তো রোজকার রুটিন। খুব হিংসে হত তখন... আমাকে কেন তবে রাত্তির দশটায় হলের গন্ডিতে ঢুকতে হবে, আমিও যাবো তোমাদের সাথে পায়ে হেটে নৈশ কালের অ্যাডভেঞ্চারে... এসব কেবল মুখেই বলা, যাওয়া আর হয়না... যেতে পারিনা। সমাজ কিংবা আমাদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারীরা... কেউই ঢাকার রাস্তায় মধ্যরাতে হেঁটে বেড়াবার নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা দিতে পারেনা। তাই বাঁধনের বাৎসরিক সাধারণ সভার জন্যে সারাবছরের রিপোর্ট একত্রিত করে সুভ্যেনির আকারে ছাপাতে প্রেসের ঘরে সারারাত বসে বসে কাজ করা সম্ভব হলেও এইসব শখের অ্যাডভেঞ্চার আমার আর করা হয়ে ওঠেনি। কারণ একটাই বাংলাদেশের সীমারেখায় ঘরের বাইরে মেয়েদের নিরাপত্তার অভাব, রাত হলে তো কথায় নেই! এসব ভাবতে ভালোলাগে না। একদম না।
#
যে পথে বাড়ি ফেরার কথা সেই পথে বাড়ি ছিল না বলে আমি ঘুরপথে বাড়ি ফিরতে গেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি শূন্যতা, সেখানে কোনো পাখি উড়ছে না। অথচ মা পইপই করে বলে দিয়েছিল আকাশে পাখি না উড়লে বাড়ি ফিরবি না। এই আকাশে পাখি নেই, যে আকাশে পাখি আছে সেই পথে বাড়ি নেই।
স্বভাব বিরুদ্ধ ব্যাপক কসরত করে গ্র্যাড স্কুলে ঢুকেছি, তারপর সবকিছু স্মুথলি চলার কথা। জিআরই, টোফেল, অনিচ্ছুক প্রফেসরদের কাছ থেকে রিকমেন্ডেশন আদায় এবং সবশেষে আটলান্টিক ইত্যাদি নানা সমুদ্র পেরিয়ে জ্ঞানার্জনের টানে সুদূর মার্কিন মুল্লুকে এসেছি, তাতেই মুগ্ধ হয়ে পিএইচডি সহ যা যা আমার করতে ইচ্ছা করে তার অনুমোদন দিয়ে দেয়া উচিত। কিন্তু মার্কিনিরা জা
আজকের জীবটির নাম হলো অল্ডারফ্লাই (Alderfly)।
ঢাকা শহরে ডাস্টবিনের আশে-পাশে জ্যামে বসে থেকে মাছি দেখে যারা অতিশয় বিরক্ত হয়ে ভাবছেন এটা নিয়ে লেখালেখির আবার কি হলো? তাদের জন্য বলছি এর নামের সাথে fly থাকলেও এরা আসলে মাছি নয়।
গ্রীসের একেবারে দক্ষিণের শান্ত শহর কালামাতা। একেবারে মেডিটেরিয়ান সী এর কোলঘেঁষা শহর। শহরের একেবারে দক্ষিণে সাগরের কোল ঘেঁষে চলে গেছে একটা রাস্তা, পসিডোনাস এভিনিউ। এমনিতে খুব বেশী লোকসমাগমস নেই, শহরটার মতই শান্ত, কিন্তু মাঝে মাঝে আশে-পাশের বাড়িঘরের মানুষের কান ঝালাপালা করে প্রচণ্ড গর্জন করে চলে যায় রেসিং কার। কার রেসিং এই রাস্তায় নিত্যদিনের ঘটনা। রাস্তার দক্ষিণে সাগর, নগরের শাসনে অনেকটাই শান্ত। ইয়াট আর স্পিডবোটের জন্যে জেটি করা আছে সেখানে।
এক
নুসরাত মধ্যপ্রাচ্যের একটা এয়ারলাইন্সে জয়েন করেছিলো দুইটা জিনিসের আকর্ষণে। ফ্রি টিকেটে বিদেশে ঘোরা আর বিদেশে ট্রেনিং। চাকরির চারমাসের মাথায় যখন বিদেশে ট্রেনিং এর ব্যাপারটা নিশ্চিত হলো, নুসরাত পুরোপুরি ঘাবড়ে গেলো। আড়াই বছরের বাবুইকে রেখে পনেরোদিন থাকতে হবে। বাবুই এর তেমন অসুবিধা হবেনা, সারাদিন তো এমনিই মাকে দেখেনা। মাঝে মাঝে খুঁজবে হয়তো,মাকে সে মা ডাকেনা, বলবে নুতলাত কই? কিন্তু নুসরাত নিজে মেয়েকে না দেখে থাকতে পারবে? তার ভয়াবহ মানসিক অবস্থা হয়, কতোক্ষণে বাসায় ফিরবে আর কতোক্ষনে রাহাতের সাথে কথা বলবে...
খবরে প্রকাশ সরকারি ও বিরোধী দল নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানে থাকলেও দুই নেত্রী গতকাল ঈদকার্ডের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনময় করেছেন। অন্যদিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বলেছেন সরকার সফল। তার মতে এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের তিনটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে-
ঢাকায় খুব শীঘ্রই বড় আকারের একটি উড়াল সড়ক নির্মিত হতে যাচ্ছে। প্রায় ২৬ কিমি দীর্ঘ এ সড়কটির নাম Dhaka Elevated Expressway, যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে নির্মিত এ প্রকল্পের ২৭ শতাংশ অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকে উড়াল সড়ক প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। উল্লেখ্য, এ উড়াল সড়ক নির্মাণে ইটালি ও থাইল্যান্ডের যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি ইটালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে গত ১৯ শে জানুয়ারি চুক্তি করে সরকার এবং গত ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন।
এক নজরে ঢাকা উড়াল সড়ক প্রকল্প