রাত ১১টার ট্রেন।
প্ল্যাটফর্মের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অনেকের সাথে সময়টা দেখে নিলো রিশান। আর ১০ মিনিট অপেক্ষা তারপর ট্রেন ছাড়বে। অনেক দিন পর এই যান্ত্রিক শহর থেকে দূরে যাবার অবসর হয়েছে। নিজের জন্য অবসর। মনের জন্য প্রশান্তি। কাজ আর বাসার অবস্থা এতো বেশী মানসিক যন্ত্রনা দিয়েছে যে শান্তি কি জিনিস তাই মনে করতেই কষ্ট হয় এখন। বাসায় গেলে একটু কান পাতলেই শোনা যায় মার সাথে ভাবির মধুর ঝগড়া। আর বাবা মার মধ্যেকার সমস্যাটা তো আছেই।
আগে জানতাম কুকুর লেজ নাড়ে কিন্তু এখন দেখছি লেজ কুকুরকে নাড়ে
১.
আমার দুপিসি। বড় পিসি ক্ষেপি পিসি। ছোট পিসি পচি পিসি। নামের মতই তারা নির্মল।
এক
পাইলট। তাকে কিশোরও বলা চলে না আবার যুবক বললেও ঠিক হবে না, এই দুইয়ের মাঝামাঝি। বাবা মা শখ করে নাম রেখেছিল পাইলট, ছেলে একদিন বড় হয়ে বৈমানিক হবে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সে ঠিকই পাইলট তবে তিনচাকার যান রিকশার। প্রতিদিন ভার্সিটির বাইরে রিকশা নিয়ে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যেতো পাইলটকে। প্রায় প্রতিদিনি পাইলটের রিকশায় বাড়ি ফেরা হতো। আমি ওর কোন কালের মামা সেইটা আমিও জানি না, ও নিজেও জানেনা। প্রথম দিন থেকেই আমাকে মামা বলে সম্বোধন করে আসছে।
হে ক্ষণিকের অতিথি.......
শামীমা রিমা
আমার বর মাঝে মাঝে খুব দয়াদ্র আর উদার হয়ে যায়। ‘দিহান, আজ আমি আর তুংকা রান্না করবো। তুমি কয়েকটা নিটোল প্রেমের ছবি দেখে ফেলো’। (এইখানে ও খোঁচা! আমি এ্যাকশন মুভি পছন্দ করিনা। বাদবাকি আর সব জনরাঁ’র ছবি দেখলেও আমার বর বলবে আমি নাকি খালি লভ স্টোরি দেখি!) এতো কিছু গায়ে মাখলে চলেনা। রান্না করবে যখন বলেছে, আমি টিভি চ্যানেলগুলো একটু রিভিশন দিয়ে নেই...
উইকিপিডিয়ার সাথে আমার সম্পর্ক প্রায় সাড়ে সাত বছরে গড়াতে চললো। সেই ২০০৪ সালের মার্চ মাসে একাউন্ট খুলেছিলাম ইংরেজি উইকিপিডিয়াতে। তার বছর দুয়েক পর কাজ শুরু করি বাংলা উইকিপিডিয়াতে। এই সাত বছরে উইকিপিডিয়াতে দেখেছি নানা রঙ্গ, আর পরিচয় হয়েছে মানব মনোস্তত্ত্বের নানা দিকের সাথে। এই সিরিজটা আসলে উইকিতে কেনো লিখবেন, তার আহবান নয়, বরং উইকির নানা বৈচিত্র্যময় দিকের উপস্থাপনা মাত্র।
পুরাকালে বাঁশখোর নামের এক পৌরাণিক চরিত্রকে ধাওয়া দিতে দুখী গণ্ডারনামা শিরোনামে একটা সিরিজ লিখেছিলাম। পৌরাণিক বাঁশখোরদা তার গণ্ডারপনায় ইতি টানার কারণে সিরিজটি তার গুটিকয় পাঠকের বহু তাগাদা সত্ত্বেও তেজগাঁও বিমানবন্দরের মত পরিত্যক্ত হয়। খোদাবি ইশারায় তেজগাঁও বিমানবন্দর যেমন বিমানবন্দর হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে, সেভাবে এই সিরিজটিরও পুনরুজ্জীবন আবশ্যক বলে মনে করছেন দুয়েকজন বন্ধু। পৌরাণিক বাঁশখোরদা দুখী ছিলেন, কিন্তু এই সিরিজের গণ্ডারটি সুখী প্রকৃতির, তাই সিরিজের নামে শল্যোপচার করণ ঘটন হওনটা জরুরি ছিলো। তবে অতীতে আমি প্রতিদিনই নতুন একটা গণ্ডারনামা লেখার মতো তাগদ আর তাগিদ ধারণ করন হওন ঘটাতাম, এখন অসুখের কারণে দুবলা মেরে গেছি, তাই এই সিরিজ অনিয়মিতভাবে এগোবে।