শুরুর আগেও শুরু আছে।
তাই এখানে ভূমিকা জরুরী কিছু নয়। বলেছিলে, ভূমিকাগুলো ভনিতা হয়ে যায়। তাই আগে কী হয়েছিল সেসব সরিয়ে রাখি আজ। স্মৃতিকাতরতার দিন এখনো ফুরিয়ে যায়নি। বুদ্ধদেব বসুর পুরানা পল্টনের সুর এখনো বাতাসে ভাসে। আমরাও নিশ্চয় একদিন কাতর হবো ইয়াহু মেসেঞ্জার, অর্কুট, জিমেইল প্রসঙ্গে। হয়তো ফেসবুকও বিগত হবে একদিন, হবে স্মৃতি। পুরনো সবকিছু স্মৃতি হয় কিনা জানিনা, তবে অনেক পুরনো কিছু মুছে যায়।
শুরুতেই পুরনো সতর্কবাণী আবারও দিয়ে নিচ্ছি। জগাখিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ।
[justify]আমাদের পরিবার অনেক আপস এন্ড ডাউনসের মধ্যে দিয়ে এপর্যন্ত এসেছি। পরিবারের মধে ভাঙ্গন এসেছে। মায়ের লিডারশীপে পরিবারের নতুন স্ট্রীম তৈরী করেছি। তাই জীবনে ঈদের অভিজ্ঞতা বিভিন্ন রকমের। আমাদের সচ্ছলতার কোনও ধারাবাহিকতা ছিলোনা। কখোনো খেয়ে পরে খুব ভালোভাবে থাকতাম আবার কখনওবা নিদারুণ কষ্টে। আমার চাচারা বিত্তশালী ছিলো কিন্তু তাদের জীবনদর্শণ ছিলো বাস্তবমূখী। আমার পিতা তার পিতার জমিদারী বেচে নষ্ট করে
শঁবেরী( chambery) স্টেশনে নেমেই শুনলাম ঝামেলা। গ্রোনব্ল( Grenoble) যাবার ট্রেনরুটে নাকি কাজ চলছে। তো কী হবে এখন?
- কী করিস?
- পড়ে আছি।
- কোথায়?
- বিছানায়।
- বিছানায়?
- ব্যাচেলর আবার শুয়ে থাকে নাকি?
- তুই একটা বাঁদর!
- এই কদিনেই মানুষ থেকে বাঁদর বানিয়ে দিলি? যাক, হাতে একটা সুযোগ এসে গেল?
- মানে?
- মানে, বাঁদরে নানা রকম দুষ্টুমি করবে। ওটা তার স্বভাব। দোষ দেওয়া যাবে না কিন্তু?
- মেরে ঠাং ভেঙে হাতে ধরিয়ে দেব। খুব বাড় বেড়েছে, না?
[এটি একটি রূপকথা। বাস্তব কোনও ঘটনা বা পারম্পর্যের সাথে এর কোনও মিল নাই।]
পুরোন টাইপমেশিন, লোহার হরফ, নাট-বল্টু, কল-কবজা,
ভাঙ্গা-দরজা, কাষ্ঠের টুকরো, চাল থেকে খসেপড়া টালি,
এককোণে পাতা দুটো জংধরা লোহার টেবিল
কিছু যেন বলবে,
বিলুপ্তির যোগসূত্রধরে?
মধ্যবর্তীদরজা-
বন্ধ-ঘোষণা করেছে ঘুণেখাওয়া গাদাকরা চেরাইকাঠ, টালি
আর ভেঙেপড়া দেয়ালের ভগ্নস'প। বাইরের দরজা দিয়ে অন্য
কয়েকটি কামরায় যাওয়া যায়। একটিতে, তীব্রকাচ ছিটিয়ে
খসেপড়ে আছে কয়েকজোড়া জানালা ;
হাজার কথার এক শক্ত বাঁধন
যাচ্ছে খুলে শত অজানা ঝড়ে
সূতোর ওপার থেকে মারো তুমি টান
স্বপ্ন-বাসর তাই বড়ো নড়বড়ে
ঐ দারুচিনি দ্বীপটা যাচ্ছে সরে।।
যাই না এখন আর রূপকথা দেশে
মেঘের ভেলায় চড়ে রাজার বেশে
জমাট আঁধার মেঘ দিগন্ত নীড়ে
আমি চেনাপথে অচেনা থাকছি পড়ে।।
অদেখা তোমার রূপ সন্দেহ ছবি
গড়ছে মনের ভুল হৃদয় কবি
বাসর রচনা যেন ধূ ধূ প্রান্তরে
তুমি নিশিদিন অধরা জনম ভরে।।
[justify]নগর পরিবহনের আর জনপথগুলোর অবস্থা বেহাল কি সুহাল তা নির্নয় করা আমার লেখার উদ্দেশ্য নয়। এই নগরে চলতে গিয়ে আমার কি হাল হয়েছে তাই বিবেচনায় আনতে চেষ্টা করব। এ নগরটা বড়ই আজিব, তারচেয়ে আজিব এই নগরের মানুষগুলা। এরা প্রতিনিয়ত আমারই মত কসরত করে যাচ্ছেন কিন্তু এদের কোন ক্লান্তি নাই। রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে, মাইলের পর মাইল হেটে, রিক্সা, বাস, সিএনজি, ক্যাবের পেছনে ছুটেও এনারা
তুমি চলে গেলে
আরো খানিকটা নির্জন দিন পাবো
নিভৃত আঁধারে মসৃণ সুরে সত্ত্বাকে গড়ে নেব